
জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”
এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।