আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা:

ফটিকছড়িতে দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন।

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা, উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় ফটিকছড়ির ২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়।
এই দুই টি ইউনিয়ন হল ২১ নং খিরাম ইউনিয়ন ও ১৪ নং নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ। নানুপুর ইউনিয়ন নিয়ে সবার দৃষ্টি ছিল নানুপুরের দিকে কারন এই ইউনিয়নে ছিল দুই জন দায়িত্ববান হেভি ওয়েট দুই রাজনীতিবীদ। একজন ফটিকছড়ির বর্তমান এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও আরেকজন হল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পুরাতন রাজনীতিবীদ এটি এম পিয়ারুল ইসলাম। দুজনেরই ইউনিয়ন হল এই নানুপুর। তাই পুরো উপজেলার পোকাস ছিল এই ইউনিয়নের দিকে। আর শিল্পপতী হিসেবে এম পির চাচা নূরু নবী রোশনের রয়েছে আলাদা একটা ইমেজ আর অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান  শফিউল আলম অপেক্ষাকৃত বয়সে অনেক ছোট এবং সম্পদের দিক দিয়ে রোশন থেকে পিছিয়ে হলও বিগত পাঁচ বছরে নানুপুর ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধন করেন। বর্তমানে নির্বাচন করতে হলে অর্থ সম্পদেরও আলাদা একটা কদর আছে। আর অপর দিকে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনে খেলেছেন  ২১ নং খিরামের বর্তমান প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন। তুলনা মূলক ছোট ইউনিয়ন হলেও প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। ২ জন প্রার্থী একই এলাকার হওয়ায় অন্য প্রার্থী সোহরাব ছিলেন ভোটের অংকে এগিয়ে এবং সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি তার স্বপদ আবার ধরে রেখেছেন।
দু বিজয়ী প্রার্থীর মার্কা ছিল আনারস। রসিক মানুষ বলে বেড়াচ্ছে ২ ইউনিয়নের জনগণ মজেছে রসালো ফল আনারসে। আবার বলে বেড়াচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতিক এখন আনারস। কারন, বিগত উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তৈয়ব আনারস নিয়ে জয় লাভ করেন, আবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে  এটি এম  পেয়ারুল ইসলামও আনারস প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেন।  উল্লেখ্য, নানুপুর আর খিরাম আগে এক ইউনিয়ন ছিল। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর বিগত পাঁচ বছর আগে খিরামে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে শহীদুল্লাহ্ নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত বয়সে অনেক ছোট টগবগে তরুণ সোহরাব তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াই করে চমক দেখান। মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী কে হারিয়ে খিরামের মসনদে বসেন। প্রথম ২ বছর খিরামে বিভিন্ন বিছিন্ন ঘটনা ঘটে এবং অনেকটা ইমেজ সংকটে পরে এই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোহরাব। পরবর্তী ৩ বছর অনেকটা ঘুছিয়ে আনেন এবং বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে চমক দেখান। পরিস্থিতি মোটামুটি নিজের অনুকূলে নিয়ে আসেন এবং ভোটের মাঠ গোছাতে সক্ষম হয়। অপর পক্ষে দুই প্রার্থী একই ঘরনার হয়ে যাওয়ায় তাদের নির্বাচনী মাঠ কিছুটা কঠিন হয়। আজকে ৯ মার্চ এর নির্বাচনে সোহরাব আনারস প্রতিক নিয়ে ২৫৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত খিরামের অভিভাবক নির্বাচিত হন। অপর দিকে শিল্পপতি নরুনবী রৌশন ১৪ নং নানুপুর ইউনিয়ন হতে আনারস প্রতিক নিয়ে ৭১৫৩ ভোট পেয়ে নানুপুরের নতুন অভিভাবক নির্বাচিত হন। এই দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ হার্ডলাইনে। নির্বাচনী এলাকায় ২ একজনকে একজায়গায় দাঁড়াতে দেয়নি। পুলিশ, RAB, বিজিবি, ছিল কড়া নজরদারিতে। উপজেলা প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ তৎপর। দুই ইউনিয়নে ছিল ২ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ম্যাজিসট্রেট, মেবাইল কোর্ট সহ সকল নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা একটু সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলেন এবং জনগণ কে ধন্যবাদ দেন।
এখন জনগণের জল্পনা কল্পনা রমজানের পরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এখন হতে এই নিয়ে চলতেছে নানা নাটকীয়তা। শেষ মেস অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১১ মে পর্যন্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ