আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালের পরিবর্তে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতে বরাদ্দ করার দাবি

ডেস্ক নিউজ:

আইএসডিই-বাংলাদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় বক্তাগণ

এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালের পরিবর্তে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতে বরাদ্দ করার দাবি।আইএসডিই-বাংলাদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় জানানো হয় যে, প্রতি বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি আমদানি করা হয়। এর একটা বড় অংশ চলে যায় এলএনজি আমদানিতে। চালু থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের ঘাটতি থাকার পরও বিগত চার বছরে সরকার ১১টি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে। এর চারটি নির্মাণাধীন ও সাতটি নির্মাণকাজ শুরু করার অপেক্ষায় আছে।

গ্যাসের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ২০১৮ সাল থেকে তরলীকৃত গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুটি বেসরকারি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হয় যার সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রতিদিন সাড়ে চার লাখ ডলার দিতে হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি ঘনমিটার এলএনজি আমদানিতে ৭৯.৩৩ টাকা ব্যয় হলেও বিদ্যুৎখাতে বিক্রি করা হচ্ছে ১৪.৭৫ টাকায়। ফলে প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে ৬৪.৫৮ টাকা। এলএনজি সরবরাহ না করতে পারলে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসে থাকবে। বিদ্যুৎ না পেলেও সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদেরকে ১৭ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। অলস বিদ্যুৎকেন্দ্র বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপাসিটি চার্জও হু হু করে বাড়ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবার পর এলএনজি ও পেট্রোলিয়ামের সরবরাহ ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন এলএনজি টার্মিনাল ও এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলে তা দেশের অর্থনীতির গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি, প্রতি বছর প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার জ্বালানি আমদানির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপরেও অসহনীয় চাপ তৈরি হচ্ছে। জাতীয় বাজেটের উপর জ্বালানি আমদানি ও ক্যাপাসিটি চার্জের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও শিক্ষার মতো অতি জরুরি খাতে বরাদ্দ কমছে যা সামগ্রিকভাবে জনকল্যাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

উৎপাদন, পরিবহণ ও ব্যবহার-প্রক্রিয়ায় এলএনজি দিয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ৯৫০ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে নির্গত হয়, যা প্রায় কয়লার কাছাকাছি। অপরদিকে, সৌর বা বায়ুশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে নির্গমন হয় না বললেই চলে। এছাড়া, সৌর বা বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য কোনো জ্বালানি দরকার হয় না, যা প্রতি বছর কমপক্ষে দুই বিলিয়ন বৈদশিক ডলার সাশ্রয় করতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয় না বিধায় বিদেশে পাচারের সম্ভাবনাও শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে।

১০ মার্চ ২০২৪, রোববার নগরীর পর্যটন হোটেল সৈকতের হালদা কনফারেন্স হলে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট(বিডাব্লজিইডি), উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট(ক্লীন) এর যৌথ আয়োজনে এলএনজি এক্সপানসন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মূল সহায়ক ছিলেন বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট(বিডাব্লজিইডি), সদস্য সচিব হাসান মেহেদী, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট(ক্লীন) এর কর্মসুচি সমন্বয়কারী মাহবুবুল আলম প্রিন্স, ক্যাম্পেইন সমন্বয়কারী শেখ বাহলুল আলম। আলোচনায় অংশনেন বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী ও এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সিআরসিডি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, বনফুলের নির্বাহী পরিচালক রেজিয়া বেগম, দৃষ্ঠির হেলাল উদ্দীন মাহবুব, উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, মিরেরশ্বরাই’রর নির্বাহী পরিচালক জোবায়ের ফারুট লিটন, তাড়না ট্রাস্ট পটিয়ার নির্বাহী পরিচালক মোঃ সোলাইমান, পিসিডিএস শম্পা চৌধুরী, পল্লী গ্রগতি সংস্থা (পিপিএস) চন্দনাইশের নির্বাহী পরিচালক নুরুল হক চৌধুরী, ইলমার ফোরকান মাহমুদ, নারী ঐক্য বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস, সমতা নারী উন্নয়ন সংস্থা কর্নফুলী’র মোমেনা আক্তার, শৈলী সীতাকুন্ডের প্রধান নির্বাহী নাসির উদ্দীন অনিক, ইশিকা ফাউন্ডেশনের জহুরুল ইসলাম, সিএসডিএফ’র প্রকল্প সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহার, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, গতবছরের ঘুর্নীঝড় মোখার কারনে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্থ হলে চট্টগ্রামসহ পুরো দেশ ৩ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। মানুষের জীবন জীবিকা ও শিল্প কলকারখানা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। একদিকে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা খরচ করে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। আবার এলএনজি দেশের জ্বীবাশ্ম জ্বালানী খাতে চরম পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসছে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। আলোচনা সভায় বক্তারা অবিলম্বে প্রস্তাবিত এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনাল বাতিল করে সমপরিমাণ অর্থ সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের জন্য বরাদ্দ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাবিতে অনুষ্ঠিত হলো স্টাটআপ সামিট – ২০২৫

তরুণদের স্টার্টআপ ভাবনা বিকাশ ও উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পথ সুগম করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হল ‘ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট ২০২৫ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীব।

উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য বলেন, ‘তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের জন্য এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। এই সামিট থেকে তারা শিখবে কিভাবে স্টার্টআপ গড়ে তুলতে হয়, সমস্যা সমাধান করতে হয় এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে হয়।’

আইসিটি বিভাগের অধীনে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সামিটে ছিল- মাস্টার ক্লাস: যেখানে স্টার্টআপ লিডাররা নতুন উদ্যোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা শেয়ার করেছেন। ফায়ারসাইড চ্যাট: সফল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ। প্যানেল আলোচনা: যেখানে বিশেষজ্ঞরা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনার খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলেন।

সামিটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল ‘ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’, যেখানে তরুণ উদ্ভাবকরা নিজেদের অনন্য আইডিয়া উপস্থাপন
করেন।

ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের রাজশাহী ও রংপুর পর্বে ১ম স্থান অর্জন করে ‘অনন্দপথ’ প্রকল্প, ২য় স্থান অর্জন করে ‘সিস্টেমসেইজ সলিউশনস’ প্রকল্প এবং ৩য় স্থান অর্জন করে ‘স্কিনকেয়ার এআই’ প্রকল্প। ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জকারী প্রকল্পসমূহকে যথাক্রমে ৩ লক্ষ, ২ লক্ষ এবং ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খান।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, ‘এই সামিট কেবল উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিই করবে না, বরং তাদের নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগও করে দেবে। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ হওয়ায় তারা নিজেদের স্টার্টআপ বাস্তবে রূপ দিতে পারবে।’

শুধু রাজশাহী নয়, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশের আরও চারটি শহরে-সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা-এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সামিটে তরুণ উদ্যোক্তারা নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ পাবেন। এই আয়োজনে শতাধিক তরুণ উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, একাডেমিশিয়ান ও আইটি বিশেষজ্ঞরা।

তরুণদের স্বপ্ন পূরণে এই সামিট নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের। অংশগ্রহণকারীরাও জানিয়েছেন, এই আয়োজন তাদের স্টার্টআপ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পাবলিক প্লেসে শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,নারীদের সুস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাবলিক প্লেসে পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা জরুরি। তিনি বলেন,আমাদের শহরগুলোতে নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বা¯’্যসম্মত পাবলিক টয়লেটের অভাব রয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তির অন্যতম কারণ।

পথচারী ও নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্যানিটেশান ব্যবস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জ সমুহ এবং যথাশীঘ্র করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা এবং “চলতি পথে টয়লেট হোক শান্তির জায়গা” ক্যাস্পইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নারীদের স্বাস্থ্য ও সম্মান রক্ষায় শহরের পার্ক, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের সংকট প্রকট। নারীরা কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

করছেন। তাদের যাতায়াত ও জনসমাগমস্থলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
“টয়লেট সুবিধার অভাবে নারীরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘ সময় টয়লেট ব্যবহার না করলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ, কিডনি সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এছাড়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদেরও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। নারীরা অনেক সময় সঠিক টয়লেট সুবিধার অভাবে পানি পান কমিয়ে দেন, যা ডিহাইড্রেশনসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট না থাকায় তারা রাস্তার পাশে বা অনিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হন, যা তাদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে। সী-বিচ এলাকায় ইতোমধ্যে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় আরও আধুনিক ও নারীবান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট নিশ্চিত করতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। পাশাপাশি, এসব টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকার।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইডের প্রকল্প সমন্বয়ক কে,এ, আমিন পাবলিক টয়লেটের উপর সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, ওয়াটারএইডের অর্থায়নে বর্তমানে ৫৪টি পাবলিক টয়লেট সারা বাংলাদেশে আছে । আমরা পাবলিক টয়লেট শব্দটি টি আস্তে আস্তে ব্যান্ডিং করছি যার নাম হবে পথের দাবী টয়লেট। আধৃুনিক ও দৃষ্টিনন্দন

প্রতিবন্ধীবান্ধব এই পাবলিক টয়লেটে রয়েছে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, লকার,মাতৃদুগ্ধ কর্নার, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরি”ছন্নকর্মী ও মহিলা তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়াটারএইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ মোট ৭টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে এবং ১টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্বোধন করা হয়েছিল।সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় আমরা কাজ করে যেতে চাই আগামীতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয় ,চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র আর্কিটেক্ট, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিএসকের ওয়াশ ডিরেক্টর এম এ হাকিম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষক,

ছাত্র,ছাত্রী, সহ বিভিন্ন সরকারী,বেসরকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে যৌথভাবে উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এ্যাডভোকেসী এক্সপার্ট নুররুন নাহার ও আরেফাতুল জান্নাত প্রকল্প ব্যবস্থাপক দু:স্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকের)।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ