আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মৌলভীবাজার:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে অবহেলা: কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের জেলার জুড়ী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলার খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে, অত্রাঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হলো উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায়। দক্ষিণ সাগরনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতোকটিতে ১জন করে প্রধান শিক্ষক এবং একাধিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন সকাল ৯টায় এবং প্রস্থান বিকেল শোয়া ৪টার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই কতৃপক্ষের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ২টি বিদ্যালয় যথাক্রমে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায় সকাল ১০টা ৮মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক নাজমুন নাহার খানম ১০টা ৫মিনিটে, সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশীদ ৯টা ৫৫মিনিটে, সহকারী শিক্ষক বীনা রাণী মাহাত্ম্য সকাল ৯টা ৪৮মিনিটে আগমন করেন। দক্ষিণ সাগরনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নয়ন মণি সিংহকে বিকেল ২টায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। ওইসব এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সাথে কথা হলে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষক ও দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকরা সময়মতো আসে না।
এজন্য আমাদের ছেলে মেয়েসহ আমরা স্কুলের গেইটের সম্মুখে তালা খুলার অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকি। আমরা ওই শিক্ষকদের বিচার চাই।

আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী বলেন, আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাবিতে ৪ হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়া গোপ মডেল স্কুল’ নাম দেন তাঁরা।

এর আগে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যান। পরে তাঁরা হলটির নামফলক, উদ্বোধনী ফলকসহ শেখ মুজিবের চিহ্ন–সংবলিত স্থাপনাগুলো রড, হাতুড়ি ও কোদাল দিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় তাঁরা হলটির নতুন নাম ‘বিজয় ২৪’ ঘোষণা করে রং দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নাম লিখে দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নামফলক পরিবর্তনের সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দিকে স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাইরে থেকেও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হলে অবস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রীরা হল ফটকে টাঙানো নতুন নাম ফলকের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

হলের ভেতর থেকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হলের নাম পরিবর্তন আমরা করব। বাইরে থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে কেন সেটি করবে? যেহেতু আগে থেকে ব্যানার নিয়ে আসা হয়েছে, এর মানে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এ বিষয়ে আমাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তন করেছেন। তবে এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও অংশীজনদের আলোচনার মাধ্যমেই করা হবে।

চট্টগ্রামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের “মার্চ ফর জাষ্টিস” পালিত

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের যথাযথ বিচার এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে চট্টগ্রামে কেন্দ্র ঘোষিত “মার্চ ফর জাষ্টিস“ পালন করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মোঃ সুমন আলীর নেতৃত্বে নগরীর প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রদল কতৃক কেন্দ্র ঘোষিত “মার্চ ফর জাষ্টিস” পালিত হয়। এসময় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ছাত্রনেতা মোঃ আরমান হোসাইন, মোঃ মানিক রতন তারেক, আহসান আলমগীর চৌধুরী, সাফায়েত মাহমুদ আলিফ, রিদওয়ান মাহফুজ হৃদয় এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রনেতা মোঃ রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ , মোঃ সিয়াম, মোঃ সান, মোঃ মাসুম, আতিকুর রহমান সহ ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ