আজঃ সোমবার ১৭ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আইন-শৃক্সখলা কমিটির সভা সভা

পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানা নয়, জেল দেয়া হবে ঃ জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম

ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন প্রথমে পাইকারী মার্কেটগুলোতে গিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইও এ কাজ করছে। পাইকারী-খুচরা প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়মূল্য টাঙিয়ে রাখার জন্য বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরেও তা অমান্য করে চলেছে। গত দু’দিন আগেও বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এবার অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানায় না হলে জেল দেয়া হবে। আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবীর প্রেক্ষিতে পাহাড়তলীর উত্তর কাট্টলীতে ৩০ একর জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও যাদুঘর নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকৃত জায়গায় অস্থায়ীভাবে একটি স্মৃতিসৌধ করে আগামী ২৬ মার্চ সেখানে মহান বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃক্সখলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ ও পণ্যের কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করতে প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সভা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ক·বাজার মহাসড়কে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখাসহ বঙ্গবন্ধু টানেলে দুর্ঘটনা রোধকল্পে আইন-শৃক্সখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমšি^তভাবে কাজ করতে হবে।
সড়কে গাড়ি থামিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের কোন বৈধতা নেই-বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রে¶িতে জেলা প্রশাসক বলেন, ট্রাক ও পণ্য পরিবহণ থামিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি চলবে না। পরিবহণ শ্রমিকেরা চাঁদা নিলে অফিসে নেবে, সড়কে নয়। যারা চাঁদাবাজি করে তাদের ব্যাপারে পরিবহণ নেতৃবৃন্দরা আনঅফিসিয়ালি নোট দেবেন, ব্যবস্থা নেব। সড়কে চাঁদাবাজি রোধে র‌্যাব ও আইন-শৃক্সখলা বাহিনীরা সদস্য কঠোর অবস্থানে থাকবে। হাটহাজারী পৌরসদরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসন ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহণে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দেড়গুন বা দ্বিগুন ভাড়া নিলে গাড়ির চালক-সহকারীকে জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে।
সভায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ বিপিএম-সেবা, পিপিএম বলেন, আইন-শৃক্সখলা নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারে সমগ্র বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলা প্রথম এবং মাদক উদ্ধার ও সার্বিক মূল্যায়নে দ্বিতীয়। সে জন্য আমাকে পিপিএম পদক দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এটা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, প্রতিনিধি বা যেই হোক, সড়কে গাড়ি থামিয়ে কোন ধরণের চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। যদি কোন গাড়িতে অবৈধ জিনিষ থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে কোন আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, চলতি রমজান ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, জাল টাকার ব্যবসা ও চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশ বাহিনী সতর্ক রয়েছে। হাটহাজারী সদরসহ অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান বলেন, ইতোমধ্যে ফাইজারের ১৯ হাজার ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে এসেছে। এগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। ২য়, ৩য় বা ৪র্থ যে কোন ডোজ হিসেবে এগুলো দেয়া যাবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বিপিএম-সেবা, পিপিএম, এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালকমোঃ মাজাহরিুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী ¯^পন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, হাটহাজারী পৌর প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, র‌্যাবের এএসপি মোঃ নাফি উদ্দিন, ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি হরিপদ চক্রবর্তী, মহানগর পিপি এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির ও বিজিবি’র সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ প্রমূখ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, পৌর মেয়র, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জুলাই অভ্যুত্থান কারো একক নেতৃত্বে হয়নি, বৈষম্য বিরোধী প্লাটফর্ম গুটিয়ে নেয়া অবান্তর।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মেলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা বলেছেন, ইদানীং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছে এই প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কারো একক নেতৃত্বে হয়নি। যখন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীরা অনেকটা আপোষের দিকে যাচ্ছিল, তখন আমরা চট্টগ্রাম থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলাম। আমরা

লাশের উপর দিয়ে আপোষ করতে পারব না, প্রয়োজনে ঢাকাকে বাদ দিয়ে আমরা আন্দোলন চালাব। তাছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আমরা অনেকেই আছি, যারা নতুন রাজনৈতিক দলে যাইনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম জোনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের সমন্বয়করা।

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সদস্যসচিব হোসাইন মাসুম, মুখ্য সংগঠক রুবায়েত সম্রাট ও মুখপাত্র তানিয়া আক্তারসহ অন্যান্য সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই মাসের চেতনাকে ধারণ করে এই কমিটি ন্যায়বিচার ও সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করবে। শিক্ষার্থীরা যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং তাদের ন্যায্য অধিকার পায়, সে লক্ষ্যে এই কমিটি সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাঈম, চৌধুরী সিয়াম এলাহী এবং রিদুয়ান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কমিটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, এই কমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, “আন্দোলনের মাঝামাঝি সময়ে যখন সব স্থানে পুলিশ র‍্যাব যৌথভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিল, তখন ঢাকায় রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের হাল ধরেছিল। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাদের শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন, এখন তারা কথা বলতে শিখেছে। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই বিপ্লবের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা, মুজিববাদী আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করা এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে একটি সার্বজনীন ব্যানার হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহাত্ম্য বজায় রাখা হবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহী বলেন, ‘  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আমরা অনেকেই আছি, যারা নতুন রাজনৈতিক দলে যাইনি। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে খুব শীঘ্রই নতুন করে ঢেলে সাজাব এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অসম্পূর্ণ কাজগুলো, যেমন আন্দোলনকারীদের মামলা নিষ্পত্তি, আহত-নিহত পরিবারের পুনর্বাসন, গণহত্যা কারীদের বিচারের জন্য কাজ করব। অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম
হিসেবে আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারের আলোচনা সমালোচনা করেছি, তেমনি গণ-অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়ানো দলের আলোচনা এবং সমালোচনাও করব। তরুণদের রাজনীতিতে আসার যে নতুন সুগম পথ তৈরি করে দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল, তার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের স্বাগত জানাই, আমাদের প্রত্যাশা তাদের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাঈম বলেন, “সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কোনো প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি জুলাইয়ের ২০ তারিখেই আমাদের আহ্বায়ক মঞ্জু ভাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় এবং এতে ৩৫ জন সদস্য ছিল। সুতরাং, জুলাইয়ের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একক সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারবে না। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর নবগঠিত কমিটির সবাই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে এবং তাদের কর্মপরিকল্পনা আপনাদের জানিয়েছেন। আশা রাখছি তাদের হাত ধরে জুলাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে।”

এতে আরও বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, “জুলাই কারো একার না, জুলাই কারো বাবারও না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসী ছাড়া কারো অবদানকে ছোট করে দেখার কোনোভাবেই সুযোগ নেই। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী দেখা গেছে আন্দোলনের অন্যতম স্টেকহোল্ডার প্রাইভেটিয়ান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অনেক দিক থেকে মাইনাস করার পাঁয়তারা করছে। অথচ আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত দেখে বসে না থেকে প্রাইভেট পাবলিক সবাই একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন সফল করি। এখন কেন বেসরকারি, মাদ্রাসা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক বলে আড়চোখে দেখবে? আমাদের কথা হবে চোখে চোখ রেখে, কাজ হবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কেউ দাদাগিরি করতে আসলে তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা।

আমাদের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কাজ করবে জুলাই স্পিরিট ধারণ করে। কাজ করবে জুলাই আকাঙ্ক্ষা পূরণে। হাসিনার ফ্যাসিবাদী সময় থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত যত গুম, খুন, ধর্ষণ, হত্যা হয়েছে, সব কিছুর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই করব। আমরা কাজ করব আমাদের নিহত ও আহত সহযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে। এবং আমাদের আরও কাজ হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে।”

নবনিযুক্ত সদস্য সচিব হোসাইন মাসুম বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সবখানে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা নতুন কমিটির পক্ষ থেকে এই বৈষম্যের অবসান চাই।”

মুখপাত্র তানিয়া আক্তার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব বিপ্লবীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অচিরেই মামলা থেকে খালাস দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা আহত হয়েছিল, তাদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

এখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম সোহাগ, সহ-মুখপাত্র হুরাইন হুরে, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এর আহবায়ক মুহাম্মদ রাফিউ প্রমুখ।

বন্দরটিলা শাহ্ প্লাজা জামে মসজিদে পবিত্র খতমে তারাবীহ হাফেজদের ফুলেল সংবর্ধনা।

নগরীর দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় ঐতিহ্যবাহী শাহ প্লাজা মার্কেটস্থ শাহ প্লাজা জামে মসজিদে ১৫ মার্চ দিবাগত ১৪ রমজান রাতে পবিত্র খতমে তারাবীহ নামায সম্পন্ন করায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে কোরআন হাফেজ আদায়কারীদেরকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

অত্যন্ত সুন্দর ও সুলীল কন্ঠে তিন ক্ষুদে কোরআন এ হাফেজ মুহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, হাফেজ মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ও হাফেজ মুহাম্মদ ওমর বিন খালেদ শেষ পর্যন্ত নির্ভুলভাবে খতমে তারাবীহ নামায আদায় করে। তাদেরকে হাদিয়া, উপহার সামগ্রীসহ এক অনন্য সম্মান জানানো হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোতোয়াল্লীদের পক্ষে মোহাম্মদ শাহরিয়ার রুবেল, মোঃ শাহনেওয়াজ, শাহ্ প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংস্কৃতি সংগঠক মোঃ শাহজাহান সাজু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিঠুন, অর্থ সম্পাদক মোঃ হাসান ইমাম মনি, মোঃ সোলায়মান সওদাগর, মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ বেলাল উদ্দিন ,খতিব মাওলানা মোঃ সেলিম উদ্দিন কুতুবি, মোয়াজ্জেম মোঃ ফোরকান , মোঃ জামাল হোসেন সওদাগর সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী গণ, কর্মচারীদের প্রতিনিধি এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খতমে তারাবীহ নামায আদায় শেষে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ সেলিম উদ্দিন কুতুবি সাহেব। পরিশেষে বিশেষ তবারুক বিতরণ করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ