আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ:

সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটির নাবিক দুটোকেই সুষ্ঠুভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করাটাই সরকারের প্রচেষ্ঠা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপুি ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী জসিম ও নুরুল করিম বেবি চৌধুরীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে ব্যাপারে সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে, এবং পিএন্ডআই ক্লাবের মাধ্যমে জাহাজটিকে এবং জাহাজের যারা নাবিক তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছি সেটি বলতে চাই না, কারণ এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা- বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন, একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ কয়েক বছর আগে ২০১০ সালে হাইজ্যাক হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০দিন সময় লেগেছিল। আমাদের প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই। আমরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, ইনশাল্লাহ আমরা আশা করছি অতীতের মত এবারও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।
মায়ানমারে বিশৃঙ্খলার কারণে আবারো ১৪৯ জন বিজিপি সৈন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিপূর্বেও মায়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক আমাদের দেশে এসেছিল, আমরা মায়ানমারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদেরকে যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছি এবারও তাদেরকে একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।
এরআগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, গণ মানুষের দল। যাদের স্মরণে আজকের এই স্মরণসভা তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামীলীগকে দুঃসময়ে সংগঠিত করেছিল। তাদের মতো তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের কারণেই আজকে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায়। যারা গত ১৫ বছর ধরে দল করছে কিংবা আগে আমাদের দল করেনি তারা কিন্তু দুঃসময়ে এই নেতাদের অবদানের কথা জানে না। বিরোধী দলে থেকে রাজনীতি করার যে যাতনা তা আজকের অনেকেই জানেনা। এই সমস্ত নেতার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।
বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত। রাজনীতি সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের কিংবা ভিত্ত বৈভব অর্জনের সোপান নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেননি। বঙ্গবন্ধু যদি ক্ষমতার রাজনীতি করতেন তাহলে আইয়ুব খানও তাকে প্রধানমন্ত্রী হতে বলেছিলেন, তিনি সেটা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বাঙালিদের মুক্তি চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, প্রয়াত নেতৃবৃন্দের পরিবারের পক্ষ থেকে ডা. সুলতান মাহমুদ, ঈসা মোহাম্মদ সিরাজ, কাজী মো. হাশেম, মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

৯ মাসে রেকর্ড ১৩.৯৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক পেল দুবাই।

 

দুবাইয়ের পর্যটন খাত ২০২৫ সালে তার ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রেখেছে, বছরের প্রথম নয় মাসে ১৩.৯৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের মধ্যে ১৩.২৯ মিলিয়ন ছিল।

পরিসংখ্যানগুলি অবসর, ব্যবসা এবং সাংস্কৃতিক ভ্রমণের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় গন্তব্য হিসাবে আমিরাতের স্থায়ী বিশ্বব্যাপী আবেদনকে পুনরায় নিশ্চিত করে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ৫১,১০০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী দুবাইতে এসেছেন, যা আগের বছরের ৪৮,৭০০ জনেরও বেশি দৈনিক আগমনের তুলনায়, প্রতিদিন প্রায় ২,৩০০ অতিরিক্ত দর্শনার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতার ফলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ দুবাইতে পর্যটক আগমনের রেকর্ড ভঙ্গকারী বছর হবে। শহরে হোটেলে থাকার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছর ৩১.২ মিলিয়নের তুলনায় ৩২.৭ মিলিয়ন রুম রাতের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি। এর ফলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫,৪৯৫ রুম রাত বুক করা হয়েছে, যা আমিরাত জুড়ে আবাসনের টেকসই চাহিদা প্রতিফলিত করে।

পর্যটন বিশ্লেষকরা আশা করছেন যে বছরের শেষ প্রান্তিকে এই গতি আরও ত্বরান্বিত হবে, যা দুবাইয়ের শীতকালীন ইভেন্ট মরসুম, প্রধান প্রদর্শনী এবং উৎসব উদযাপনের দ্বারা সমর্থিত, যা ঐতিহ্যগতভাবে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে এবং পর্যটন ব্যয় বৃদ্ধি করে।

ডিইটি দ্বারা ট্র্যাক করা সাতটি মূল কর্মক্ষমতা সূচকে, যার মধ্যে দর্শনার্থীদের আগমন, গড় দৈনিক হার, প্রতি উপলব্ধ কক্ষে রাজস্ব, দখলের স্তর এবং থাকার সময়কাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, দুবাইয়ের আতিথেয়তা খাত লাভ করেছে।

হোটেলের ধারণক্ষমতা ক্রমাগত সম্প্রসারণ সত্ত্বেও, গড় হোটেল দখলের হার ৭৮.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালে একই সময়ের মধ্যে ৭৬.৪ শতাংশ ছিল।

কার্লটন হোটেলসের সিইও হুসনি আব্দুলহাদি বলেন, ফলাফলগুলি এই খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনযোগ্যতা তুলে ধরে।

হোটেল সরবরাহ বৃদ্ধি সত্ত্বেও, দখলের মাত্রা উচ্চ রয়ে গেছে, এমারাত আল ইয়ুম আব্দুলহাদির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন। দুবাইয়ের আতিথেয়তা শিল্প দৃঢ়ভাবে কাজ করে চলেছে, যা অবসর এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসাবে আমিরাতের খ্যাতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন যে দর্শনার্থীর সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি, বর্ধিত হোটেল ধারণক্ষমতা এবং টেকসই দখল শক্তিশালী চাহিদা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে, উল্লেখ করে যে পরিসংখ্যানগুলি বিকশিত বাজারের গতিশীলতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দুবাইয়ের পর্যটন খাতের পরিপক্কতা এবং নমনীয়তা প্রদর্শন করে।

দুবাই সফলভাবে তার উৎস বাজারগুলিকে বৈচিত্র্যময় করেছে এবং নতুন দর্শনার্থী বিভাগে তার আবেদন প্রসারিত করেছে, আব্দুলহাদি বলেন। এটি ব্যবসা, অবসর এবং সম্মেলন পর্যটনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসাবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

তিনি আশা করেন যে বড় ইভেন্ট, উৎসবের ছুটির মরসুম এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগকারীদের আস্থার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে বছরের শেষ পর্যন্ত এই খাতের শক্তিশালী কর্মক্ষমতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, দুবাইয়ের দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া, উদ্ভাবন এবং স্মার্ট পরিষেবাগুলিতে ক্রমাগত বিনিয়োগের সাথে মিলিত হওয়া, শহরের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং একটি শীর্ষ পর্যটন ও আতিথেয়তা গন্তব্য হিসাবে এর অবস্থানের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।

এদিকে, তথ্য দেখায় যে ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে হোটেলের আয় ১৩ বিলিয়ন দিরহাম ছাড়িয়ে গেছে, যা গত বছরের একই সময়ের মধ্যে ১১.৬ বিলিয়ন দিরহাম ছিল, যা ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চ গড় দৈনিক হার এবং ব্যস্ত কক্ষের রাতের বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি ঘটেছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ, গড় দৈনিক কক্ষের হার ৫০৯ দিরহামে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালে ৪৮৭ দিরহাম ছিল, যেখানে প্রতি উপলব্ধ কক্ষের আয় ৪০১ দিরহামে পৌঁছেছে, যা এক বছর আগের ৩৭২ দিরহামের তুলনায়, যা বছরের পর বছর ৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে।

হোটেল অতিথিদের মধ্যে থাকার গড় সময়কাল ৩.৬ রাত স্থির ছিল, যা আকর্ষণ এবং বিশ্বমানের আতিথেয়তা অফারগুলির ক্রমবর্ধমান পোর্টফোলিওর মধ্যে দর্শনার্থীদের ব্যস্ততা বজায় রাখার দুবাইয়ের ক্ষমতা প্রদর্শন করে।

আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সংবর্ধনা আলোচনা সভা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিডিওস) দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মানকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শারজাহের হুদাইবিয়া রেস্তোরায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি প্রকৌশলী কাউছার শফি। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিবির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেকুল ভূইয়া, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী খন্দকার মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম খান ও সদস্য প্রকৌশলী মাহে আলম।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ন সম্পাদক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল বাকের, প্রকৌশলী এস এম করিম উদ্দিন, প্রকৌশলী মাইনুর রহমান, প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সোহেল, প্রকৌশলী শাহিনুর আলম, প্রকৌশলী সুমন ও প্রকৌশলী সাকিলা চৌধুরী লুনা সহ আরো অনেকে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমিরাতে বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশী প্রকৌশলী আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

সংবর্ধনা শেষে আলোচনা সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দুবাইয়ের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য সংবর্ধিত অতিথিকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমিরাতের সকল প্রকৌশলীদের একসাথে মিলেমিশে বাংলাদেশের সুনাম কুড়াতে ভূমিকা পালন করার আহবান জানানো হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ