আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা বিভিন্নস্থানে গড়ে উঠেছে ভাণ্ডার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। নানা উদ্যোগেও তা বন্ধ হচ্ছে না। বিশেষ করে নগর ও গ্রামে এসব নিম্নমানের ওষুধের ছড়াছড়ি। আর এসব নকল ওষুধ মজুদ রাখতে গড়ে উঠছে বিভিন্নস্থানে ভান্ডার। এসব ভান্ডার থেকে গোপনে গোপনে নকল ওষুধ সরবরাহ হয়ে থাকে। মূল কোম্পানির ওষুধের মতো হুবহু লেবেলে নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। আর এসব ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসা নকল ওষুধের বিষয়টি বহুল আলোচিত। এক শ্রেণির অসৎ ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রয় করছেন বিভিন্ন ধরনের নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবসা জমজমাট। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম্য কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার মেহেদীবাগ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকার নকল ও অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুইজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের মোট সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গত বুধবার দুপুরে শহীদ মির্জা লেইনের নূর ভিলা নামক ভবনে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই ফ্ল্যাটে মো. আহসানুল কবির (৫৬) এবং সুলতানা রাজিয়া (৩৫) মিলে কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়াই এজেন্ট পরিচালনা করছিলেন। পাশাপাশি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদদ এবং দামের তারতম্যের মতো অপরাধও করেছেন তারা। এসময় সেখান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ এবং আভিযানিক টিমের সরকাড়ি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে মো. আহসানুল কবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে ঔষধ ও কসমেটিকস লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রাজিয়া সুলতানা জরিমানা পরিশোধ না করায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আওতায় সাজা পরোয়ানামূলে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুজন অপরাধীই স্বীকার করেছে তারা নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় ও বিপণন এর সাথে জড়িত। পাশাপাশি জব্দকৃত সমস্ত ওষুধ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও এই অবৈধ ওষুধ সমূহের সম্ভাব্য বিপপণ দোকানসমূহে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে এবং যে সকল চিকিৎসক এই সব নকল, ভেজাল ও অনুমোদনহীন ঔষধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, নকল-ভেজাল, অনিবন্ধিত ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুত বন্ধের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর সাথে আর কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ।

চট্টগ্রামে খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় এসব আদেশ দেন। দণ্ডিত দুজন হলেন, মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায়।

অন্যদিকে, একই আদেশে লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামী ফরহাদ ও তার মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। আগের স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় জেসমিন তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় তিনি সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জেসমিনের স্বামী ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। ভোলায় তার স্ত্রী থাকলেও সেটা গোপন রেখে তিনি জেসমিনকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছিল। পরে ফরহাদ তার মামা সেলিম মনিরের সঙ্গে জেসমিনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তারা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে খুন করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফরহাদ ও চটগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে দুঘন্টা বিক্ষোভ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের।

চট্টগ্রাম নগরীতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করে প্রায় দুঘন্টা বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যানবাহন আটকে দেওয়ায় সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা, দুঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে যানবাহন চালকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর শিক্ষার্থীরা দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে গিয়ে অবস্থান নেন।ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন,ব্যবহারিক ক্লাসের প্রশিক্ষক পদের নাম ‘ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর’ না করাসহ ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শ্যামলী, এমআইটিসহ বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় দু শতাধিক শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নন টেক, মুক্ত করো, কারিগরি পথ খুলো, ২৪ আমার অহঙ্কার, কারিগরি আন্দোলন আমার অহঙ্কার, মামা এখন মাস্টার, মামার বাড়ির আবদার, এক,দুই, তিন, চার, কারিগরিতে দুর্নীতি ছাড়’- সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।চলতি বছরের ২০ মার্চও একই দাবিতে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আড়াই ঘণ্টা সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলেন।

ছাত্রদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ তাদের সড়ক ছাড়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা সেটা মানছিল না। দুই ঘণ্টা পর তারা সড়ক ছেড়েছেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এদিকে দুই ঘণ্টা পর নগরের গুরুত্বপূর্ণ দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে সরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে স্বাভাবিক হয়েছে ওই এলাকার যান চলাচল। তীব্র যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ