আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বে-টার্মিনালের জন্য পাঁচশ’ একর জায়গা প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে হস্তান্তর করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতের সাথে আমাদের হাজার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত এবং কিছু সীমান্ত বাণিজ্যও হয় বৈধভাবে। আসলে ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপি’র মূল উদ্দেশ্য। এতে দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যেরমূল্য বাড়ে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন সেহেরি খাবেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন – এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনকিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যেও মূল্য বাড়ানো।
গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যশেষে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কে সাংবাদিকরা সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের যারা ডাক দিয়েছে, তাদের সাথে শামিল হয়ে রিজভী সাহেব নিজের পরনের শালটিও জ¦ালিয়ে দিয়েছে। আসলে শালটি ভারত থেকে কিনেছিল, নাকি বঙ্গবাজার থেকে কিনেছে আমি জানি না।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কি ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি হাইজ্যাক হয়েছিল তাদেরকে মুক্ত করতে ১শ’ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতিমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে আমাদেরকে সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সাথে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ^স্ত। আশা করছি, আমরা সহসা নাবিকদেরকে উদ্ধার করতে পারব।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সমন্বয়ের ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, প্রকল্প শেষ হতে আরো আড়াই বছর বাকি আছে। এই আড়াই বছর সময়ের মধ্যে জনগণের যাতে কোন ভোগান্তি না হয় সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একইসাথে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর যাতে নিয়মিতভাবে মেনটেইনেন্স করা হয় সেটিকেও গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আজকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বে-টার্মিনালের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচশ’ একর জায়গা প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আরো তিনশ’ একরের বেশি জায়গা তারা পাবে, সেটির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। ইতিমধ্যেই ডিপি ওর্য়াল্ড এবং সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির সাথে চট্টগ্রাম বন্দর এমওইউ স¦াক্ষর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে তিনটি ভাগে কাজ হবে। একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও সেখানে যুক্ত হচ্ছে। এটা একটি বড় অগ্রগতি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বে-টার্মিনাল হলে সেটি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে আরো বড় একটি নতুন বন্দর হবে। যেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্পদ হবে এবং একইসাথে এই বে-টার্মিনাল দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পণ্য সরবরাহ আমরা করতে পারব। এছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়কাটা বন্ধ ও যানজট নিরসনসহ সার্বিক অনেক বিষয় নিয়ে সমন্বয় সভায় আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, প্রতি তিনমাস পরপর আমরা এরকম সমন্বয় সভা করব।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ ছালাম, এম এ মোতালেব সিআইপি, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল্যস্রোত ধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবায় অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃওি কর্মসূচী বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল্যস্রোত ধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচীর তাৎপর্য বিষয়ে ১২ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন দাশ এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফ আফজাল রাজন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোসা: উম্মে কুলসুম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ।

বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধিতা কেবল একটি ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা নয়। এটি একটি সামাজিক ও কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, যা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। সমাজসেবা অধিদপ্ততরের প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপের ২০ অক্টোবর/২৫ এর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ৩৬,৭১,৭৪৮ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস, ২০২৩’ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ মানুষের বিপরীতে ২৮.২ জন কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরো বেগবান করতে হলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে রাষ্ট্র ও সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ সময় বক্তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচীর তাৎপর্য বিষয়ে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন পেশাজীবিরা মতবিনিময় করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও প্রতিবন্ধী অভিভাবকগন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া হিরোইনসহ গ্রেফতার।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয় কর্তৃক অভিযান চালিয়ে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া খাতুন (৩১) কে হিরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২.২০ মিনিটের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপপরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে, দুই গ্ৰাম হিরোইন সহ তাকে গ্ৰেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর মহল্লার মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও গেলুনুর ওরফে গেলের মেয়ে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও বিক্রয়ের অপরাধে, উপ পরিদর্শক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ