আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে মাদরাসা শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

[[[

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে মাদরাসা শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ২৩ মার্চ ২০২৪ সকালে মাদরাসা এবং বাংলাদেশ স্কাউট, দারুল উলূম কামিল মাদরাসা শাখার যৌথ আয়োজনে বুয়েট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া মাদরাসা কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন করে কাজ করতে শুরু করে। মূলত এর পর থেকেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যাপক প্রসার লাভ করতে থাকে। মাদরাসা শিক্ষাকে মূল শিক্ষার সাথে অর্ন্তভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অšে^ষণের অবারিত সুযোগ করে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রতিটি মাদরাসায় শেখ রাসেল আই.টি ল্যাব স্থাপনের মধ্য দিয়ে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হতে থাকেন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি নতুন ভবন তৈরী, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং নতুন নতুন বিষয় সংযোজনসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে মাদরাসা শিক্ষাকে আলোকিত করা হয়েছে। ফলত মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও এখন তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে। এরই ধারবাহিকতায় বুয়েটে আতিক উল্লাহ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মাইশা, ইশরাত জাহান ও কাওকাব চান্স পান দারুল উলূম কামিল মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে। এ গৌরব মাদরাসার পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকবৃন্দের। তাই এগিয়ে যাওয়ার এ ধারাকে ধরে রাখতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। দারুল উলূম কামিল মাদরাসা সদা সর্বদা এগিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন গর্ভনিং বডির সভাপতি। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় চান্স পাবে তাদের আর্থিক সহযোগিতাও করা হবে বলে জানান তিনি। তাই শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, বিনোদন, কোরআন প্রতিযোগিতাসহ নতুন নতুন উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তাই পড়ালেখায় মনোনিবেশ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্সের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করে আধুনিক বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের যে কাজ চলমান রয়েছে সে কাজে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সারথী হওয়ার আহবান জানান গর্ভনিং বডির সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। মাদরাসা অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মুহসিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মুজিবুল আলম, ফরিদুল আলম ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রিজুয়ানুল করিম প্রমূখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জামালপুরে অপহরণ মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন

জামালপুরে অপহরণ মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। তারা হলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ভাংগুনী ডাংঙ্গা গ্রামের মুন্না@মোনাফ এর মজনু মিয়া(২৫), রান্ধনীগাছা গ্রামের মরহুম হাতেম আলী খন্দকারের ছেলে হানিফ খন্দকার (৫৯), মো: আবুল কাশেম এর ছেলে মো: মমিন মিয়া(৪০), ভাংগুনী ডাংঙ্গা গ্রামের মো: ইমান আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৭)।

রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি)মো: ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে পাচ টায় ভিকটিম স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ীতে আসার সময় জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর বাজারের পশ্চিম পার্শে থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা ভিকটিম মোছা: হাবিবা আক্তার চৈতিকে জোর পুর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেলে ১১ ফেব্রুয়ারী ভিকটিমের বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২৭ এপ্রিল মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৭ ধারায় মমিন মিয়া এবং একই আইনের ৭/৩০ ধারায় হানিফ খন্দকার,মমিন মিয়া, জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। তিনি আরো জানান, আমরা রাষ্ট্র পক্ষ ৪ জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করেছি । প্রায় ৪ বছর আইনী লড়াই শেষে মামলায় আসামীরা দোষী প্রমানিত হওয়ায় আদালত ৪জনকেই যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার করে টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে।

চট্টগ্রামে প্রবাসীর ১৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট, আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দাম হোসেন ভোলার লালমোহন থানার দুলা মিয়া এলাকার মো. ফারুকের ছেলে।

র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত ২১ জুলাই সাড়ে ৮টায় দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুদ্দিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এ কে খান বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে লিংক রোড় এলাকায় ডাকাতদল নগদ টাকাসহ ১৯ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি ৩/৪ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে এ মামলার আসামি সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ