আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সামেক হাসপাতালের ১৯টি ডায়ালাইসিস মেশিনের ১৬টি বিকল।। দুর্ভোগে সেবা।প্রার্থীরা

ইব্রাহীম হোসেন

জেলার শতাধিক কিডনী রোগী ঝুঁকিে রয়েছেন

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে কিডনি ডায়ালাইসিসের অধিকাংশ মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এতে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটে জট বেঁধেছে রোগীদের।

গত মঙ্গলবার ১৯ মার্চ হঠাৎ করে সপ্তাহে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ডায়ালাইসিস করার ঘোষণা দেওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এতে চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন জেলার শতাধিক কিডনি রোগী। অভিযোগ উঠেছে, অদক্ষ ব্যক্তি দিয়ে মেশিন পরিচালনা করায় হাসপাতালের ১৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ৩টাও নষ্ট হওয়ার পথে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯টি যন্ত্রের মধ্যে ১৬টি বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনটি সচল মেশিন দিয়ে সপ্তাহে একদিন রোগীদের ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের কিডনি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা ছাড়াও আশপাশের রোগীদের এখানে ডায়ালাইসিস হচ্ছে। ইউনিটে ১৯টি যন্ত্র চালু ছিল। কিন্তু ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ইতোমধ্যে ১৯টির মধ্যে ১৬টি বিকল হয়ে পড়েছে। বাকি তিনটি দিয়ে একদিন কাজ চলছে। প্রতিদিন প্রতিটি যন্ত্রে দুই থেকে তিন জন রোগীর ডায়ালাইসিস হতো। ইউনিটে গড়ে ৩৫-৪০ জন রোগীর প্রতিদিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস হয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে ৬০-৭০ জন সিরিয়ালে থাকতেন। একজন রোগীর সপ্তাহে দুই দিন করে ডায়ালাইসিস হয়। যন্ত্রগুলো বিকল হওয়ায় নিয়মিত রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে তারা পড়েছেন বিপাকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়ালাইসিসের জন্য ২০০ টাকা ফি নেওয়া হয়। এতে সাধারণ ও দরিদ্র রোগীরা কম খরচে সেবা পান। জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী আসছেন। কয়েক মাস আগেও ১৯টি যন্ত্রের সবগুলো চালু ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে একটি একটি করে যন্ত্র নষ্ট হতে থাকে। ফলে চাপ বাড়তে থাকে বাকি যন্ত্রগুলোর ওপর। অকেজো যন্ত্রগুলো সময়মতো মেরামত না করায় বর্তমানে তিনটি চালু আছে। তা দিয়ে তালিকাভুক্ত শতাধিক কিডনি রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার (২০ মার্চ) থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে মাত্র একটি ডায়ালাইসিস করানো হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় পর বিপাকে পড়েন রোগীরা। বর্তমানে আতঙ্কে ভুগছেন তারা।

শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুরের আজিজ মোড়লের ছেলে জয়নাল বলেন, মা ভিক্ষা করে আমার ডায়ালাইসিস খরচ চালান। এখন যদি এখানে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেয়, তাহলে যেকোনো সময় আমার মৃত্যু হবে। কারণ প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস করানোর সামর্থ্য আমার নেই।

সাতক্ষীরার সাংবাদিক জহুরুল কবীর জানান, তিনি জমি-জায়গা বিক্রি করে সাতক্ষীরা সামেক হাসাপাতালে কিডনি আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়ে আসছিলেন। ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই। কম খরচে এই হাসপাতাল থেকে ডায়ালাইসিস সেবা নিয়ে স্ত্রীকে কোনও রকমে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি আক্রান্ত রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হবে। খবরটি শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন। বর্তমানে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

জহুরুল কবীর আরও বলেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে তিন সেশনে ১২ ঘণ্টা করে ডায়ালাইসিস করানোর কথা থাকলেও যন্ত্র বিকল এবং রোগীর চাপের কারণে দুই সেশনে চার ঘণ্টা করে সপ্তাহে আট ঘণ্টা করানো হতো। এখন হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে মাত্র একটি ডায়ালাইসিস করানো হবে। সপ্তাহে চার ঘণ্টা ডায়ালাইসিস করালে অধিকাংশ রোগী বাঁচবে না। খবরটি শুনে কেঁদেছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক যোগদানের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো। যোগদানের পর থেকে এই সমস্যার কথা তাকে বারবার বলার পরও কোনও গুরুত্ব দেননি। ফলে এখন সবগুলো যন্ত্র বিকল হয়ে গেছে।

কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগী রাবেয়া ও আসমা আক্তারের অভিযোগ, পরিচালককে দীর্ঘ দেড় থেকে দুই বছর ধরে যন্ত্রগুলো মেরামতের কথা বলে আসলেও তিনি ‘চেষ্টা করছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করেছেন। এতে সবগুলো যন্ত্র বিকল হয়ে গেছে। এখন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের।

জেলা শহরের কিডনি রোগী মহিউদ্দিন, ব্রোজেন ও জয়নাল আবেদীন জানান, সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানোর ঘোষণা দিয়ে তাদের মত আরও শতাধিক রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ নমিতা রানী বলেন, ১৯টি মেশিনের মধ্যে একটি ভালো থাকলেও অপর দুটি মেশিনে জোড়াতালি দিয়ে চলছে রোগীদের ডায়ালাইসিস। ফলে এখন থেকে সপ্তাহে দুই অথবা তিনবার ডায়ালাইসিস দেওয়া সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে সামেক হাসপাতালের পরিচালক শীতল চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট ডায়ালাইসিস মেশিন ১৯টি। যার মধ্যে বর্তমানে তিনটি সচল আছে। নষ্ট হওয়ার কারন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অদক্ষ ব্যক্তি দিয়ে মেশিন পরিচালনা করায় মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নষ্ট মেশিনগুলো মেরামত প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মেরামতের জন্য কয়েক দফায় টেকনিশিয়ান এসেছেন। কিন্তু খুচরা যন্ত্রাংশ না পাওয়া যাওয়ায় মেশিনগুলো ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নষ্ট মেশিনগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ