আজঃ রবিবার ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে এক যুবক সর্বস্ব হারিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন খুলশী টাউনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবকের নাম ইকবাল ছিদ্দিক (২৮)। গত রোববার রাত ৮ টার সময় তিনি নিউ মার্কেটে গিয়ে নিখোঁজ হন। মলম পার্টির শিকার ইকবাল ছিদ্দিক কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অলি বাড়ির ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে। ইকবাল ছিদ্দিকের বড় ভাই মো. অলি আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮ টার সময় মো. ইকবাল ছিদ্দিক ঈদের কেনাকাটা করবেন বলে নিউ মার্কেটে যান। ওখানেই মলম পার্টির খপ্পরে পড়েন। পরে রাতে বাসায় না ফেরায় ইকবালের পরিবার সবদিকে খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু ১৪ ঘন্টায়ও খোঁজ মিলে না ইকবালের। তখন চিন্তা আর টেনশনে থানায় বিষয়টি অবগত করলেও ৭২ ঘন্টা সময় পার হলে জিডি করা যাবে বলে পুলিশ আশ্বস্ত করেন। এরমধ্যে নগরীর খুলশী টাউনের সামনে ইকবালের খোঁজ মিলে। তখন পরিবার লোকজন ওখানে গিয়ে ইকবালকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, ইকবাল মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রায় ১৪ ঘন্টা তাদের কবলে ছিলেন। ততক্ষণে মলম পার্টির লোকজন ইকবালের দামি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। ইকবালের বড় ভাই অলি আহমেদ বলেন, ভাইকে খুঁজে পেয়েছি সেটাই শুকরিয়া। মোবাইল ও টাকা গেছে সেটা বড় কথা না। ভাইকে নিয়ে এখন হাসপাতালে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, ইকবালের সঙ্গে তেমন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। বা আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। ধারণা করছি, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, আমার এলাকায় মলম পার্টির খপ্পরে পড়েনি। শুনেছি অন্য জায়গায় পড়েছে। পরে খুলশী টাউনের সামনে থেকে একজনকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে বোয়ালখালীতে মো. জয়নাল আবেদীন (২১) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বোয়ালখালী পৌরসভার বাহির সিগন্যাল ঠাণ্ডা মিয়া চৌকিদার বাড়ি ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।জয়নাল পটিয়া উপজেলার মালিয়ারা ইউনিয়নের মালেক ডিলারের বাড়ির মৃত মো.আবু ছৈয়দের ছেলে। সে ট্রেনের ছাদে করে পটিয়ায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজারগামী ট্রেনের ছাদে ৩ যুবক হাতাহাতি করছিলো। এ সময় তারা তিনজনই নিচে পড়ে যায়। এর মধ্যে জয়নাল আবেদীন গুরুতর আহত হন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

গ্রীন–ক্লিন–হেলদি–সেইফ সিটি গঠনে সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনা।

 

চট্টগ্রামকে একটি গ্রীন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের লর্ড মেয়র জাফর ইকবালের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সৌজন্য বৈঠকে দুই নগরের নেতৃত্ব শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং আধুনিক নগর উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

বৈঠকে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম—বিশেষ করে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজায়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, নগর নিরাপত্তা এবং জলবায়ু–সহনশীল শহর গঠনের পরিকল্পনা—সম্পর্কে লর্ড মেয়রকে অবহিত করেন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দীর্ঘমেয়াদি নাগরিকবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনাও তুলে ধরেন।

লর্ড মেয়র বার্মিংহামের স্মার্ট সিটি অভিজ্ঞতা ও টেকসই নগর উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে চট্টগ্রামের সঙ্গে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রগতি ও মেয়রের নেতৃত্বে চলমান ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ ভবিষ্যতে স্মার্ট সিটি গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল উদ্ভাবন,জলবায়ু–সহনশীল নগর পরিকল্পনা,আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,পরিবেশবান্ধব শহরের বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকের চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন লর্ড মেয়রকে চট্টগ্রাম সফরের আমন্ত্রণ জানান। দুই নগর নেতৃত্বই ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ