আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

পরিবেশগত এবং সামাজিক সুরক্ষা, শ্রমের মান এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করুন

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের মাধ্যমে মুনাফার বদলে মানুষ এবং পৃথিবীকে সুরক্ষিত করার দাবী

প্রেস রিলিজ

এডিবির লাভজনক কার্যক্রমকে সুরক্ষিত করা বন্ধ করুন।

পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) এর একটি ভিন্নধর্মী জোট, নাগরিক সমাজের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি প্রতিবাদী প্রতিকী প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সুরক্ষা নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং চট্টগ্রামের সিআরবি চত্ত্বরে এই প্রচারাভিযান আয়োজন করা হয়।প্রোটেক্ট পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট ওভার প্রফিট” শিরোনামের এই ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য এডিবি’র সুরক্ষা কাঠামোর ঘাটতি এবং ত্রুটিগুলির উপর যুক্তিযুক্ত সমালোচনায় আলোকপাত করা এবং বৃহৎ আকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে যে আক্রান্ত জনগোষ্ঠির অধিকার এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তা সকলের সামনে তুলে ধরা।এই অভিনব প্রতিকী প্রচারাভিযানের মাধ্যমে, জলবায়ু কর্মীরা দাবি করেন যে, “এডিবি-এর সুরক্ষা নীতি ‘জেন্ডার, পরিবেশ এবং জীবনজীবিকা’ এর জন্য হুমকিস্বরূপ। এডিবি জীবাশ্ম গ্যাস এবং অন্যান্য ভুয়া প্রযুক্তির সমাধানে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখছে। তাই পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা, শ্রমের মান এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে।”আলোচকরা দাবী করেন যে, “এডিবি-এর সুরক্ষা নীতি আন্তর্জাতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য যে নিয়ম বা পদ্ধতি মানা হয় তেমন মান সম্পন্ন নয় কারণ এটি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে সম্মতি দেয়।” তারা আরো বলেন, “এই প্রতিবাদী কর্মসূচীটি মূলত আয়োজন করা হয়েছে এডিবি ও এর প্রকল্প অংশীদারদের অর্থায়নের ফলে সৃষ্ট যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশগত বা সামাজিক প্রভাবে তাদের দায়বদ্ধতাকে তুলে ধরা এবং শক্তিশালী জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য।”২০০৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, এডিবি জ্বালানিতে প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছে, যা আপাত দৃষ্টিতে এই অঞ্চল জুড়ে ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারকে উপকৃত করেছে। এডিবি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক সহায়তার একটি মূল উৎস, যা ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদান করে। এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য হল এডিবিকে তার সুরক্ষা নীতির সংস্কার এবং সাধারণ জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের অধিকার ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এর নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।প্রচারাভিযান অনুষ্ঠানে মন্তব্য করতে গিয়ে আইএসডেই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেন দাবি করেন, “এডিবি কর্তৃক গৃহীত সুরক্ষা নীতির ফলে সারা বিশ্বের জেন্ডার, পরিবেশ, জীবন জীবিকা, মানবাধিকার আজ হুমকির মুখে। সুরক্ষা নীতি দ্বারা মানবতাকেই সমাহিত করা হয়েছে।”। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা হবগম রানু বলেন, “এডিবি’র বিদ্যমান সুরক্ষা নীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করা।”। তিনি অবিলম্বে শক্তিশালী সুরক্ষা নীতি গ্রহণের জন্য এডিবিকে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তি দেখান যে মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় যে প্রতিকূলতাগুলোর মুখোমুখী হতে হয় সেগুলোকে উপেক্ষা করে একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল স্বচ্ছ সুরক্ষা নীতি হতে পারে না।সাধারণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং মুনাফা নয়, পৃথিবী এবং মানুষকে রক্ষা করো” শীর্ষক প্রচারাভিযানটি এডিবির সুরক্ষা নীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্নয়নের জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতিনিধিত্ব করে৷ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ প্রচারাভিযানটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত আন্দোলনের একটি অংশ যা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সুরক্ষা নীতিকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে শক্তিশালী পরিবেশগত এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য দাবী জানিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশবিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডঃ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, হারুন গফুর ভুইয়া, সালাহউদ্দীন আহমদ, শাহীন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ মিথুল দাস গুপ্ত, সেলিম জাহাঙ্গীর, জানো আলম, সাংবাদিক এম এ হোসেন, যুব সংগঠক আবু হানিফ নোমান, নারী অধিকার কর্মী ফেরদৌসী বেগম মৌসুমী, সুমাইয়া আফরোজ, এডাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী ফোরকান মাহমুদ, তরুন সমাজের প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম, মোহাম্মদ রায়হান, শুভ আহমেদ সাকিব, নাজমুস সাকিব হৃদয়, ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পূর্বধলায় নদি থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার।

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের জামধলা বাজার এলাকার একটি নদি থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। জামধলা বাজার দেউটুকুন গুদারাঘাট এলাকায় নদিতে মরদেহটি ভাসতে দেখা যায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে নদিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান জামধলা গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. সাবুল মিয়া। পরে তিনি পূর্বধলা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলমের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী ও তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টু দে সহ একদল পূলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ২৫ বছর। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন। লাশের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, মরদেহটি থানায় রাখা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পিবিআই ও সিআইডিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য জানানো হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নেত্রকোনা গন হয়রানির বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান।

নেত্রকোনায় নদী উদ্ধারের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেআইনি ও গন হয়রানিমূলক পরিমাপকার্য বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। নেত্রকোনার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

নদী উদ্ধারের নামে জন হয়রানি বন্ধের দাবিতে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ মুন্না, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুশ শাহাদাৎ নাজু, সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরী, এবিএম আব্দুল ফরাজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মচারী নদী উদ্ধারের নামে নেত্রকোনা পৌরসভাস্থ মগড়া নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের মালিকানাধীন বসতভিটা এবং দোকানপাটে অবৈধ অনুপ্রবেশপূর্বক বিনা নোটিশে সিএস নকশা মোতাবেক পরিমাপ কার্য পরিচালনা করছেন। এতে নদী তীরবর্তী সকল নাগরিকের মনে ব্যাপক আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

নদী তীরবর্তী বসবাসকারী নাগরিকগণ সরকারি আইন মোতাবেক বিআরএস খতিয়ানের খাস খতিয়ান বা এরূপ সরকারি কোন জমি ব্যতীত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ক্রয় করে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।

সরকার যেখানে বিআরএস খতিয়ান ছাড়া কোন খাজনা গ্রহণ করে না, জমা খারিজ অনুমোদন করে না, সম্পত্তি হস্তান্তর, ক্রয়-বিক্রয় অনুমোদন করে না সেই পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারীরা কিসের ভিত্তিতে দেশের প্রচলিত আইন লংঘন করে জনগণের ব্যক্তিগত সম্পত্তি সিএস নকশা মূলে পরিমাপ করার দুঃসাহস দেখায় এমন বক্তব্যই সকলের।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ