
সোমবার (২৯ এপ্রিল) হোসেনপুর থানার (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত (১০শে এপ্রিল) নিহতের স্ত্রী শান্তি আক্তার(৪৭) বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনানা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার আবদুল হাকিম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে। এবং নিহত সবুজ মিয়া একই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের (মধুর বাপ) এর ছেলে।
(ওসি) জানান, রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২:৩০ মিনিটে হোসেনপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ টুটুল উদ্দিন, এস আই সুশান্ত চন্দ্র সরকার, এস আই শরিফুল ইসলাম ও সঙ্গীয় অফিসারদের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আবদুল হাকিম (২১)কে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানাধীন টিএনটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর বাগারি-চর গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়ার সাথে জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদেরই চাচাতো ভাই হাকিম এবং চাচা গফুর মাস্টারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ জমি নিয়ে মামলাও চলছে। গত (৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ফসলি জমি নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে হাকিম, গফুর মাস্টারসহ ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার ছোট ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল হাকিম (২১ )কে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৪ জনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।