
নড়াইল সদরের গোবরা এলাকায় উন্নত জাতের ব্রি ধান-১০২ কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গোবরা গ্রামের কৃষক বাদশা মোল্যার বাড়ির আঙিনায় মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ।
ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি (সিএসএ) প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে আরো উপস্থিত ছিলেন-বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন সংস্থার (আইএফডিসির) ফিল্ড সুপারভাইজার শরিফুল আলম মনি, কমিউনিটি অফিসার ফারজানা সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন গাইন, কৃষক বাদশা মোল্যাসহ এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা।

আইএফডিসির ফিল্ড সুপারভাইজার শরিফুল আলম মনি বলেন, ব্রি-১০২ জাতের ফলন যেমন বেশি, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এই জাতের ধান জিংক সমৃদ্ধ। ডায়রিয়া প্রতিরোধসহ রোগ প্রতিরোধ ¶মতা বৃদ্ধি করে। নারীদের ঋতু¯্রাবজনিত শারীরিক ঘাটতি দুর করে। ব্রি১০২ জাতের ধানে ইউরিয়া সারের ব্যবহার একেবারেই কম। যেখানে আমরা তিন কেজি সার ব্যবহার করেছি, সেক্ষেত্রে কৃষক ব্যবহার করেছেন ছয় কেজি ইউরিয়া সার। একই জমিতে উন্নত জাতের ব্রি-১০২ ধান এবং কৃষকের রড মিনিকেট জাত লাগিয়ে ফলনের পার্থক্যও বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্রি-১০২ জাতের ধানে হেক্টরপ্রতি সাড়ে নয় টন ফলন হচ্ছে। আর কৃষকদের লাগানো জাতে সাড়ে সাত টনের বেশি ফলন হয় না। মাঠ দিবসের মাধ্যমে ব্রি-১০২ জাতের ধান এবং কৃষকদের ইচ্ছে মতো লাগানো জাতের পার্থক্য বোঝানো হয়েছে।
