আজঃ শুক্রবার ১৬ মে, ২০২৫

জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি চালাবে চসিক

প্রেস রিলিজ

 জলাতঙ্ক নির্মূলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ৪১টি ওয়ার্ডে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমভিভি) কর্মসূচি আগামী ৭মে থেকে শুরু হয়ে ১১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডের এমডিভি কার্যক্রমে সহযোগীতায় থাকবেন ওয়ার্ডে সচিব, সার্ভেয়র, ভ্যাক্সিনেটর, দক্ষ কুকুর ধরার লোক, ও স্থানীয় দিক নির্দেশনা প্রদর্শন করার লোক। মাইকিং এর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে (এমডিভি) কার্যক্রমের প্রচার প্রচারণা করা হবে এবং নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের মধ্যে কুকুর টিকাদানের ক্যাম্প করা হবে। ভ্যাক্সিনকৃত কুকুরকে লাল রং বা লাল ফিতার মধ্যমে চিহ্নিত করা হবে এবং ডিজিটাল মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি কুকুরের রেকর্ড নিশ্চায়ন করা হবে। গৃহিত এই কার্যক্রমের মধ্যে রোগ ও রোগীর গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে কাজ করবে ২জন দক্ষ কুকুর ধরার লোক, ১জন ভ্যাক্সিনেটর, ১জন ডাটা কালেক্টর, ১জন লোকাল দিক নির্দেশনা কর্মী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম পর্যবেক্ষন করবেন এমডিভি সুপার ভাইজর, ওয়ার্ড সচিব ও এমডিভি এক্সপার্ট। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করা হবে এবং যে সকল কুকুর টিকার আওতায় আসে নাই তা পরবর্তী দিন টিকার আওতায় আনা হবে। গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিডি) সম্পর্কীত অবহিতকরণ ও প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য উঠে আসে। সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে দেখি কুকুর খুব আগ্রাসী থাকে এবং দলবদ্ধভাবে প্রায়শ পথচারীদের ধাওয়া করে।
এজন্য জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। আশা করি এমডিভি কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে জলাতঙ্ক রোগ শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধূরী, জহর লাল হাজারী, নাজমুল হক (ডিউক), হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোঃ মোবারক আলী, গাজী মোঃ শফিউল আজিম, আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, মো. ইসমাইল, নূর মোস্তফা টিনু। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার এমডিজি এক্সপার্ট ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ মূল কর্মসূচি তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার (রোগতত্ত্ব) সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম ডাঃ মোঃ নুরুল হায়দার এবং জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীর বাজারে এসেছে লিচু

রাজশাহীর বাজারে উঠেছে লিচু ।রাস্তার পাশে ফুট পাতে বিক্রি করছে এই লিচু ।এই লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু ফল । বছরে একবার হয় এই লিচু ফল। জেনে নেওয়া যাক উপকারিতা কি কি?লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

লিচুতে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে লিচুতে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট।

লিচুতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।পাশাপাশি বাজারে আনারস, ডাব ও বিক্রি হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে মানুষ ডাবের পানি খাচ্ছে। আনারস খাচ্ছেন। অল্প কিছু আম ও বাজারে আসছে। আসলে বৈশাখ মানেই তো নানান রকমের ফলের সমারহ।

প্রচন্ড গরমে লিচু, আম, ডাবের পানি যেটাই খাবেন, এ যেন এক অমৃত স্বাদ। সৃষ্টিকর্তার এক অসীম নিয়ামত , এই স্বাদু ফল ।

বাঁশের নানান ধরনের ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

রাস্তার পাশে বাঁশের আড়ত দেখে দাঁড়ালাম ।কথা হলো বাঁশের আরতের মালিকের সাথে।আমাদের দেশে প্রাচীনতম একটি উদ্ভিদ বাঁশ। বাঁশ আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে। আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলগুলোতে বাঁশ দেখা যায়। বাঁশ পাওয়া যায় না এমন কোন এলাকা নেই। গ্রামের দিকে গেলে অনেক বাঁশের ঝাড় রয়েছে ।তবে এগুলো সংখ্যা কম ।

বাঁশ দিয়ে নানান রকম কাজ করা হয়। বাঁশ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায়। বাড়ির খুটি তৈরিতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বেড়া ,টং এবং ডেকোরেশন এর কাজ করতে গেলে প্রচুর পরিমাণে বাঁশের দরকার হয়। এছাড়াও এখন অনেক পরিমাণে বাড়ির কাজ হচ্ছে এজন্য বাড়িতে কাজ করতে বাঁশের প্রচুর দরকার হয়

এজন্য রাজমিস্ত্রিরা বাঁশ প্রচুর পরিমাণে কিনে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও বাঁশ এখন ঢাকা সহ বড় বড় শহরে ট্র্যাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এজন্য বাঁশের দাম অনেক বেশি। একটি বাঁশ কিনতে গেলে ৪০০ টাকা লাগে।রাজশাহীর, মৌগাছিতে প্রচুর পানের চাষ হয় । পানের বরজ বানাতে এই বাশের ব্যপক ব্যবহার হয় ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ