
চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এলাকা এবং প্রশাসনিক অঞ্চল খ্যাত লালদিঘীর পাড় জামে মসজিদের মেইন গেইটের সামনে দীর্ঘদিন চলতে থাকা এসব অপকর্ম যেন দেখার কেউ নেই,
লালদিঘীর পাড় হোটেল লালদিঘি(আবাঃ) পরিচালনায় বকুল খাদেম পিতা রহমত আলী খাদেম, মুন্না মিয়া পিতা বাচ্চুমিয়া ও মাহফুজ নামের সিন্ডিকেটে হোটেল লালদিঘীতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে দিব্যি দেহ ব্যাবসা।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী মহল প্রতিদিন মসজিদে নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা লজ্জায় মাথা নিচু করে বাহির হতে দেখা যায়।
এসব হোটেলে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে আরও বেড়ে যায় নারীর সংখ্যা, এমনকি কতৃপক্ষ গতকাল পবিত্র শবে বরাতের রাতেও বন্ধ করেনি এই পতিতার হাট।
অপরদিকে মন্দিরের পাশে হোটেল সুপার গেষ্ট হাউসে দিন-রাত চলে পতিতা ব্যাবসা,

জানাগেছে চট্টগ্রাম শহরের একসময়ের মাদক ও নারীপাচার মামলার আসামী আহাম্মদ আলীর ছেলে, আল-আমিন ওরফে কানা রাজু ও আনোয়ার খাদেম ওরফে আঙুর পিতা কালা মিয়া, হেলাল খাদেম পিতা মতিউর রহমান এখানেও তিন সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে চলে জমজমাট মাদক আর নারীর দেহ ব্যাবসা, এই আঙুর ও রাজুর নামেও নগরীর বিভিন্ন থানায় রয়েছে নারী ও মানব পাচারের মামলা, অপর পাশে কেসিদে রোড এলাকার কলংক নামে খ্যাত হোটেল সৌদিয়া যেন নগরীর প্রসিদ্ধ দির্ঘ কয়েক যুগের এক পতিতার হাট, বার বার পুলিশি অভিযানেও কিছুতেই কিছু হয়না হোটেল সৌদিয়ার পরিচালক ও চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া, হালিশহর, ২নং গেইট ও বহদ্দারহাট এলাকার ভয়ংকর কুখ্যাত নারী ব্যাবসায়ী মানিকের, বিভিন্ন ঝামেলার ভয়ে নাকি মানিকের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও করেনা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক ব্যাবসায়ী বলেন ভাই এসব কারনে দোখানে কোন ভাল গ্রাহকও আসেনা, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়গুলো আমরা প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনতে চায়। আগামী পবিত্র রমজান মাসে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও বিভিন্ন ব্যাবসায়ী মহল।