আজঃ মঙ্গলবার ২০ মে, ২০২৫

দরপত্রে সাড়া নেই

ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থায়ী-অস্থায়ী ১২টি পশুর হাট বসাতে চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১২টি পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর লক্ষে চসিক দুইটি গরুর বাজারের দরপত্র আহবান করলেও এখন পর্যন্ত কেউ সাড়া দেয়নি। এবার সাগরিকা গরুর বাজারের জন্য ইজারা দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৯০৭ টাকা আর বিবির হাট গরুর বাজারের জন্য ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৭ টাকা। ইজারাদার না পাওয়ায় বর্তমানে সাগরিকায় আগের ইজারাদার আর বিবিরহাটে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছে সংস্থাটি। গত ১৩ মে তৃতীয়বারের মতো দরপত্র আহ্বান করে চসিক। কিন্তু দরপত্রে অংশ নিতে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কেউ সাড়া দেয়নি।

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৯টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে চসিক। এতে বলা হয়, স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটাতে অস্থায়ীভাবে পশু বাজার ইজারা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরবর্তীতে গত ৫ মে জেলা প্রশাসন, সিএমপি কমিশনারের কাছে মতামত চায়। যদিও চিঠিটি গত ১৩ মে সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহের ভেতর বৈঠক বসবে সিএমপিতে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং সার্বিক যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশের মতামতের প্রেক্ষিতে নগরে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিবে জেলা প্রশাসন।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে গতকালই চিঠি পেয়েছি আমরা। আমাদের কাজ চলছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং সার্বিক যাচাই-বাছাই শেষে আমাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হবে।
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১২টি পশুর হাট বসাতে চসিক। এর মধ্যে তিনটি স্থায়ী এবং ৯টি অস্থায়ী হাট। অস্থায়ী এসব পশুর হাট বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছে সংস্থাটি। অবশ্য প্রস্তাবিত পশুর হাটগুলোর বিষয়ে নগর পুলিশের মতামত পাওয়ার পর চসিককে সিদ্ধান্ত জানাবে জেলা প্রশাসন। অনুমতি পাওয়ার পর দশ দিনের জন্য এসব পশুরহাট ইজারা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে নগরে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার। গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি আরও ২৩টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়েছিল চসিক। পরবর্তীতে স্থায়ী তিনটি হাট ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে ৯টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে সিটি করপোরেশনকে (চসিক) অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন দেরিতে দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত দুটি পশুর হাটের ইজারাদার পায়নি চসিক। একইসাথে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বানের সুযোগ না থাকায় ওই দুইটি হাটের ইজারা কার্যকম বন্ধ রাখে সংস্থাটি। সাতটি হাটের জন্য ইজারাদার পেলেও অনেকটা পানির দামেই ইজারা দিতে বাধ্য হয় চসিক। শেষে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১০টি স্থানে পশুর হাট বসে চট্টগ্রামে।
এবারে চসিকের প্রস্তাবিত ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট হলো— এক নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরীহাট, তিন নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, ছয় নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নুর নগর হাউজিং এস্টেট), ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন মহেশখালের দুই পাড়ের খালি জায়গা, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ ও মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, এবং ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সিএমপির মতামত পাওয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর আমরা দরপত্র কার্যক্রম শুরু করব।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সর্বস্তরের ঠিকাদারদের অনাস্থাজনিত কারণে বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ চট্টগ্রামের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে উক্ত এডহক কমিটি

অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সামছুল কাউনাইন(কুতুব) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চট্টগ্রাম জোনাল কমিটি বিলুপ্ত করে প্রস্তাবিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির তিন সমদস্য হলেন,মেসার্স ইমাম হোসেনের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মেসার্স হাবিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী এস.এম. আবু ছালেহ। চিঠিতে অনুমোদিত এডহক কমিটি ৬ মাসের মধ্যে সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচিত করার কথা বলা হয়।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতির (রেজিঃ নং-টি.ও-৩২৮(১৬)-৯৪) এর আওতাধীন বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ।

ভোলা- বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৮ দাবি নিয়ে মানববন্ধন

চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসীর সর্ব ঐক্য মানববন্ধন সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় মানববনআধন থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল ভোলাবাসীর সুবিধার্থে ইলিশা-মতিরহাট ফেরী ঘাটের কাজ বাস্তবায়ন, ভোলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস লাইন দ্বারা ভোলায় উত্তোলিত গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ভোলার চতুর্দিকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ,

বিদ্যমান জরাজীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি উদ্যোগ, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, চরাঞ্চলের উন্নয়নে গবেষণা ভিত্তিক উদ্যোগ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসির সর্ব ঐক্য মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক লায়ন আতিকুল্লাহ বাহার। যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কিরন শর্মা, সদস্যসচিব- মাহবুবুর রহমান সেলিম, যুগ্ম সচিব আলী আজগর, সদস্য (অর্থ) কাঞ্চন মাঝি,সদস্য (মিডিয়া) নুরুন্নবী শাওনসহ ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। মানবন্ধনে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম সহ ভোলার ২৫ টি পেশাজীবী সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন -অন্তবর্তী সরকার ভোলা – বরিশাল সেতু আগামী জানুয়ারি ২০২৬ উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য একনেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়ার জন্য মানব বন্ধন
থেকে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

জেলা ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস খনি রয়েছে। এখানকার গ্যাস সম্পদ রয়েছে ব্যবহারের জন্য জনপদের মানুষ দাবিদার।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ