
. ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ বাদামতলী শাহী জামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় অভিযোগকারী বাদী মোঃ শফিউল্লাহ খাঁন (৫৫) তার একটি হ্যান্ডব্যাগ মূল্যবান মালামালসহ পাশে রেখে নামাজ পড়া শুরু করেন। নামাজ শেষে দেখেন যে ব্যাগটি পাশে নেই। পরে তিনি ডিবি (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট তার চুরি যাওয়া মালামালগুলো উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে টিম-৫২ এর ইনচার্জ জনাব মোঃ মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মোহাম্মদ আইয়ুব উদ্দিন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত চোরদের শনাক্ত করে গত ১৫ মে দিনভর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চোরচক্রের সদস্য আসামি ১। আব্দুল মালেক (৩৭), ২। মোঃ লোকমান হাকীম (৪৫), ৩। মোঃ নয়ন (২৬) ও ৪। সেলিম উদ্দিন (৪০)-দের আটক করে তাদের হেফাজত থেকে অভিযোগকারীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন,স্মার্ট ঘড়ি, জাতীয় পরিচয়পত্র, SID card, ব্যাংক চেকবুক, ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল উদ্ধার করেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা পেশাদার মসজিদভিত্তিক চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। চট্টগ্রাম মহানগরীর বড়ো বড়ো মসজিদগুলোতে মুসল্লি হিসেবে প্রবেশ করে। যে-সকল মুসল্লির পাশে ব্যাগ ও মোবাইল ফোন থাকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার ভান করে এবং কৌশলে মুসল্লিদের মোবাইল ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। তাহাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই সংক্রান্তে ডবলমুরিং থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।