আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

জিনিয়াস পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেয়র রেজাউল

দেশ ও জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে মেধাবীরাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও অতিথিরা।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে উন্নীত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। আর মেধাবীরাই দেশ ও জাতিকে দিতে পারে সঠিক পথের দিশা। তাই নীতির প্রশ্নে অটুট থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ হয়ে আলোকিত সমাজ ও দেশ গড়ার ভূমিকা পালন করতে হবে।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে চট্টগ্রাম নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও শিশু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জীবনে বড় হতে হলে লেখাপড়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, আজকের মেধাবীরা আগামী দিনের সম্পদ। আজকে যারা ভালো রেজাল্ট করেছে তারা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। তাই সুস্থ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটানোর সুযোগ অবারিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের জন্য সময়োপযোগী এবং শিক্ষাবান্ধব একটি উদ্যোগ। আমি জিনিয়াসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, জাতিকে সঠিক বন্দরে পৌঁছে দিতে হলে লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হতে হবে। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী অর্জন করতে হবে। সুশিক্ষাই কেবল দেশ ও জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে। তাই সবাইকে সুশিক্ষা অর্জনে মনোযোগী হতে হবে।
জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ইফতেখার হোসেন তিশন ও বিলকিছ আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাংবাদিক সরোজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, সিপ্লাসটিভি ও চাটগাঁ নিউজের প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপু, জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন বিপ্লব মিত্র, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য লায়ন আফসার হোছাইন চৌধুরী, লায়ন অনুপ কুমার রায়, লায়ন সমর কুমার দে প্রমুখ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ বলেন, আজকের মেধাবীরা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবে। দেশের উন্নয়নে তারা মেধা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে জিনিয়াস ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।

সভাপতির বক্তব্যে এম আর আজিম বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে নানা উৎসাহমূলক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। শুরু থেকে শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে মেধা ও মননে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা শিশুদের মধ্যে যখন জ্ঞানের আলো দিতে পারবো তখনই তারা নিজেদের মধ্যে শক্তি খুঁজে পাবে।
অনুষ্ঠানে জিনিয়াস সদস্য সচিব মিয়া এমএ করিম, যুগ্ম সদস্য সচিব সুশান্ত কুমার শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদওয়ানুল হক, রাশেদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম, ইমতিয়াজ রহমান খান, সানজিদা শাহরিন, তানজিম আহমেদ, সাঈদ মো. সাইমুন সাকিবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রায় একশ’ স্কুলের কে জি থেকে অষ্টম শ্রেণির চার শতাধিক মেধাবি শিক্ষার্থীর হাতে সনদ, ক্রেস্ট, ল্যাপটপ, নগদ অর্থ ও ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা। জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও অতিথিরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যে নারীর পায়ের নিচে জান্নাত—তাঁকে শুধু একটি দিনে বন্দী করে রাখো না

বিশ্বময় আজ মাতৃভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। ফুলের তোড়া, পোস্টের বহর, নকল আবেগের প্রদর্শনী। অথচ যাঁর স্তব্ধ ভালোবাসায় গড়ে ওঠে মানবতা, যাঁর নিঃশব্দ কান্নায় হয় সভ্যতার সূচনা, সেই মাকে মনে রাখা হয় শুধুই একটি দিনে? এত সংকীর্ণ আমাদের ভালোবাসা?

ইসলাম এমন একটি আদর্শ যে নারীর মর্যাদা ঘোষণা করে তখন, যখন সমাজ তাকে জীবন্ত কবর দিত। মরুপ্রান্তরের রুক্ষ বাতাসে যখন কন্যাসন্তান জন্ম এক অভিশাপ, তখন ইসলামের কণ্ঠে উঠে আসে মুক্তির জয়ধ্বনি—“মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত।”

এ শুধু একটি ধর্মীয় বাণী নয়, এ এক বৈপ্লবিক প্রতিজ্ঞা। পৃথিবীর কোনও সংবিধান, কোনও সভ্যতা, কোনও নারীবাদী ভাষ্য—মায়ের এমন আত্মমর্যাদা ঘোষণা করতে পারেনি, যতটা করে ইসলাম।

রাসূল সা.—যিনি নারীকে ‘রহমত’ বলে সম্বোধন করেন—তাঁর মুখে এক অমর বাণী:
“তোমার সবচেয়ে বেশি হকদার কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর?”
“তোমার মা।”
তারপর তবে আসে পিতা।

এ এক ত্রিস্তরের সম্মান। ইসলাম নারীর সম্মান শুধু মুখের বুলি নয়—এ এক বিধাতার দেয়া মর্যাদা, আসমানি ঘোষণা।

মা—একজন নারী যিনি নিজেকে প্রতিদিন ভেঙে নতুন করে গড়েন সন্তানের জন্য, রাতের নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে হাসি খুঁজে দেন মুখে, নিজে ক্ষুধার্ত থেকে তুলে দেন শেষ লোকমাটি।
ইসলাম বলেনি, ‘তাঁকে বছরে একদিন স্মরণ করো’। বরং বলেছেন, ‘তাঁর চরণতলে খুঁজে নাও জান্নাতের ঠিকানা।’

আধুনিক বিশ্ব যেখানে নারীকে স্বাধীনতার নামে ভোগ্যবস্তু বানিয়ে ছেড়েছে, সেখানে ইসলাম তাঁকে দিয়েছে পূর্ণ মর্যাদার স্বীকৃতি—একজন মা, একজন আদর্শ নির্মাতা, একজন প্রজন্মশিল্পী।

আজকের এই মা দিবসে আমাদের প্রয়োজন—ফুল নয়, ফেসবুক নয়—প্রয়োজন সত্যের কাছে ফেরা। ফেরার সেই নীতিতে, যেখানে নারী মানেই নিঃস্বার্থ, মা মানেই মহিমা।

আসুন, আমরা একটিবার ভাবি—একজন মায়ের যে পায়ের নিচে জান্নাত, তাঁকে কেবল একটি দিনে সীমাবদ্ধ করেতে কি আমাদের আত্মা কাঁপে না? আমরা কি সত্যিই ভালোবাসি, নাকি ভালোবাসার অভিনয় করি?

মাকে ভালোবাসা মানে ধর্মকে ভালোবাসা, জান্নাতকে ভালোবাসা। মায়ের সম্মান শুধু আবেগ নয়, এটি ঈমানের প্রমাণ।

বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্য উপদেষ্টা।

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। উপদেষ্টা শনিবার কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এইসব কথা বলেন।খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি জুম চাষে ভুট্টা,সবজি,হাঁস, মুরগি পালন,মাছচাষসহ বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বহুমাত্রিক কাজেই তাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কৃষক হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলায়, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়। সার ও বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায় সংগত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। এই মৌসুমে বোরো ধানের ব্যপক চাষাবাদ হয়েছে।সরকার আশা করছে দেশে এইবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে।

মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা,কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণফুলী,জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অনুসন্ধান বিভাগের সহকারী পরিচালক সাখওয়াত কবির এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ