আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

জিনিয়াস পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেয়র রেজাউল

দেশ ও জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে মেধাবীরাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও অতিথিরা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে উন্নীত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। আর মেধাবীরাই দেশ ও জাতিকে দিতে পারে সঠিক পথের দিশা। তাই নীতির প্রশ্নে অটুট থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ হয়ে আলোকিত সমাজ ও দেশ গড়ার ভূমিকা পালন করতে হবে।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে চট্টগ্রাম নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও শিশু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জীবনে বড় হতে হলে লেখাপড়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, আজকের মেধাবীরা আগামী দিনের সম্পদ। আজকে যারা ভালো রেজাল্ট করেছে তারা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। তাই সুস্থ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটানোর সুযোগ অবারিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের জন্য সময়োপযোগী এবং শিক্ষাবান্ধব একটি উদ্যোগ। আমি জিনিয়াসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, জাতিকে সঠিক বন্দরে পৌঁছে দিতে হলে লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হতে হবে। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী অর্জন করতে হবে। সুশিক্ষাই কেবল দেশ ও জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে। তাই সবাইকে সুশিক্ষা অর্জনে মনোযোগী হতে হবে।
জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ইফতেখার হোসেন তিশন ও বিলকিছ আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাংবাদিক সরোজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, সিপ্লাসটিভি ও চাটগাঁ নিউজের প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপু, জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন বিপ্লব মিত্র, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য লায়ন আফসার হোছাইন চৌধুরী, লায়ন অনুপ কুমার রায়, লায়ন সমর কুমার দে প্রমুখ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ বলেন, আজকের মেধাবীরা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবে। দেশের উন্নয়নে তারা মেধা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে জিনিয়াস ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।

সভাপতির বক্তব্যে এম আর আজিম বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে নানা উৎসাহমূলক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। শুরু থেকে শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে মেধা ও মননে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা শিশুদের মধ্যে যখন জ্ঞানের আলো দিতে পারবো তখনই তারা নিজেদের মধ্যে শক্তি খুঁজে পাবে।
অনুষ্ঠানে জিনিয়াস সদস্য সচিব মিয়া এমএ করিম, যুগ্ম সদস্য সচিব সুশান্ত কুমার শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদওয়ানুল হক, রাশেদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম, ইমতিয়াজ রহমান খান, সানজিদা শাহরিন, তানজিম আহমেদ, সাঈদ মো. সাইমুন সাকিবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রায় একশ’ স্কুলের কে জি থেকে অষ্টম শ্রেণির চার শতাধিক মেধাবি শিক্ষার্থীর হাতে সনদ, ক্রেস্ট, ল্যাপটপ, নগদ অর্থ ও ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা। জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পুরস্কার ও শিশু উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও অতিথিরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই অন্যতম শক্তি : চুয়েট ভিসি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন চিন্তাই করা যায় না। আর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই হবে অন্যতম শক্তি। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যখন প্রযুক্তি শুধু একটি খাত নয় বরং সমগ্র মানব সভ্যতার চালিকাশক্তি। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কম্পিউটার সায়েন্স। আধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিনোদনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার, ডেটা ও অ্যালগরিদম অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন মানুষের সিদ্ধান্ত-প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও দ্রুততর করে তুলছে।

বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী “সিএসই ফেস্ট ২০২৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ আলম এবং ডেলিনিয়েট এর ফুলস্টেক টেক লিড আরাফাত হোসাইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার ধর। এতে সঞ্চালনা করেন সিএসই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবতাহী কবির ও সমন্বিতা সরকার।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানের শুরুতে সিএসই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আনন্দ র‌্যালী হয়। এরপর কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনদিনব্যাপী উক্ত সিএসই ফেস্টে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ন্যাশনাল ড্যাটাথন, মাইক্রো-ওপস হ্যাকাথন, টেকনিক্যাল টক, সেমিনার এবং জব ফেয়ার।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ