আজঃ শনিবার ১৭ মে, ২০২৫

নেত্রকোনার স্বপ্নবাজ দুরন্ত চেয়ারম্যান- কাজী সাখাওয়াত

রিপন কান্তি গুন নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা:

জীবনের প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন প্রভাবিত করে জীবনকে। সেই সফল হওয়ার স্বপ্নকে হৃদয়ে আগলে রেখে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ধাপে ধাপে তার হৃদয়ে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে (২১ মে) অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম বারের মতো বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ছেন।

উপজেলা বাসীদের বিভিন্ন তথ্যসূতত্রে জানা যায়, কাজী সাখাওয়াত হোসেন পড়াশোনা শেষ করেই মাত্র ২৪ বছর বয়সে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন থেকে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিরলস পরিশ্রম, হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন আর মেধা দিয়ে ধীরে ধীরে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর টানা দুই বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিজের কার্যকলাপের জন্য তার নিজ ইউনিয়ন ছাড়াও বাকি ছয় ইউনিয়নেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা।

বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থাতেই তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

হৃদয় মাঝে জমানো স্বপ্নকে আরও উচ্চ শেখরে নিয়ে যেতে এবার ২০২৪ সালের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনেক আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে যান উচ্চাকাঙ্খী, স্বপ্ন পূরণের কারিগর এই জনপ্রিয় নেতা। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই তিনি সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের সংস্পর্শে এসে নিজ গুণে তাদের মন জয় করে ফেলেন।

স্বপ্নের কারিগর জননন্দিত এই নেতা সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ১১ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে প্রথম বারের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ছেন।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বারহাট্টা উপজেলা।উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫২৭ জন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা দুলাল দত্ত বলেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের একজন অন্যতম কর্মী হিসাবে জনগণ কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে প্রথম বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। আমার বিশ্বাস সে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সক্ষম হবে।

বাউসী ইউনিয়নের রিপন শেখ, আলতু মিয়া, রহমত আলী বলেন, সাখাওয়াত ভাই উপজেলা চেয়ারম্যন হওয়ার আগে থেকেই উপজেলার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন। মানুষের বিপদে তিনি দিনে-রাতে, ঝড়-বৃষ্টিতে প্রয়োজনে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছুটে যেতেন। তাই আমাদের মত গরীব খেটে খাওয়া সমগ্র উপজেলার মানুষ তাকে ভালবাসে এই নির্বাচনে যোগ্য চেয়ারম্যান হিসেবে আমরা তাকে নির্বাচিত করেছি। তিনি আমাদের গরীবের বন্ধু, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী- ”ফাটা কেষ্ট’।

নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল শুধু এক ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হিসাবে সীমাবদ্ধ না থেকে বারহাট্টার সাত ইউনিয়নের জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সেবা করে যাওয়া। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণের ভালবাসায় আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বারহাট্টা উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ভিশন উপজেলায় দৃশ্যমান করতে চাই।’

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি’র ঘোষিত ফলাফলে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ১১ হাজার ১৭১ ভোট বেশি পাওয়ায় কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক, সাধারণ সম্পাদক শামীম।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেত্রকোনা জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি হলেন অনিক মাহবুব চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম।

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তাদের যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের নয় সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি তথ্য জানা গেছে।

নেত্রকোনা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নয় সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জিপু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোকশেদুল আলম রাজীব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরাফাত বাবু ও আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান দোলন, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম-সম্পাদকের পদ মর্যাদা) আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান প্রান্ত।

নবগঠিত নয় সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির সদস্যবৃন্দকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ