আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনার স্বপ্নবাজ দুরন্ত চেয়ারম্যান- কাজী সাখাওয়াত

রিপন কান্তি গুন নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা:

জীবনের প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন প্রভাবিত করে জীবনকে। সেই সফল হওয়ার স্বপ্নকে হৃদয়ে আগলে রেখে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ধাপে ধাপে তার হৃদয়ে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে (২১ মে) অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম বারের মতো বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ছেন।

উপজেলা বাসীদের বিভিন্ন তথ্যসূতত্রে জানা যায়, কাজী সাখাওয়াত হোসেন পড়াশোনা শেষ করেই মাত্র ২৪ বছর বয়সে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন থেকে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিরলস পরিশ্রম, হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন আর মেধা দিয়ে ধীরে ধীরে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর টানা দুই বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিজের কার্যকলাপের জন্য তার নিজ ইউনিয়ন ছাড়াও বাকি ছয় ইউনিয়নেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা।

বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থাতেই তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

হৃদয় মাঝে জমানো স্বপ্নকে আরও উচ্চ শেখরে নিয়ে যেতে এবার ২০২৪ সালের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনেক আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে যান উচ্চাকাঙ্খী, স্বপ্ন পূরণের কারিগর এই জনপ্রিয় নেতা। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই তিনি সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের সংস্পর্শে এসে নিজ গুণে তাদের মন জয় করে ফেলেন।

স্বপ্নের কারিগর জননন্দিত এই নেতা সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ১১ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে প্রথম বারের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ছেন।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বারহাট্টা উপজেলা।উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫২৭ জন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা দুলাল দত্ত বলেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের একজন অন্যতম কর্মী হিসাবে জনগণ কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে প্রথম বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। আমার বিশ্বাস সে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সক্ষম হবে।

বাউসী ইউনিয়নের রিপন শেখ, আলতু মিয়া, রহমত আলী বলেন, সাখাওয়াত ভাই উপজেলা চেয়ারম্যন হওয়ার আগে থেকেই উপজেলার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন। মানুষের বিপদে তিনি দিনে-রাতে, ঝড়-বৃষ্টিতে প্রয়োজনে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছুটে যেতেন। তাই আমাদের মত গরীব খেটে খাওয়া সমগ্র উপজেলার মানুষ তাকে ভালবাসে এই নির্বাচনে যোগ্য চেয়ারম্যান হিসেবে আমরা তাকে নির্বাচিত করেছি। তিনি আমাদের গরীবের বন্ধু, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী- ”ফাটা কেষ্ট’।

নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল শুধু এক ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হিসাবে সীমাবদ্ধ না থেকে বারহাট্টার সাত ইউনিয়নের জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সেবা করে যাওয়া। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণের ভালবাসায় আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বারহাট্টা উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ভিশন উপজেলায় দৃশ্যমান করতে চাই।’

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি’র ঘোষিত ফলাফলে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ১১ হাজার ১৭১ ভোট বেশি পাওয়ায় কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ