
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকমন্ডলীর সাথে অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এ চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, ওকলে শিপিং’র রিচার্ড ওকলে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
ওকলে শিপিং’র রিচার্ড ওকলে বলেন-বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক জাহাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আবার অস্ট্রেলিয়াও শিপবিল্ডিং সেক্টর উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এছাড়াও নদীমাতৃক বাংলাদেশেও রয়েছে শিপবিল্ডিং এর চাহিদা। তাই এই সেক্টরের সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন-অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অফুরন্ত সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোর আয়োজন করছে। এক্সপোতে আরএমজি, টেক্সটাইল, লেদার, ফুটওয়্যার, পাটজাতপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটি, রিসাইক্লে প্রোডাক্টস, ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজমসহ দেড় শতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করবে। এতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা নেটওয়ার্কিং এর সুযোগ পাবেন যা রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এসময় তিনি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের উক্ত এক্সপোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন-বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরিপোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাদুকা, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছোট ছোট জাহাজ রপ্তানি হচ্ছে। ফলে শিপ বিল্ডিং সেক্টরে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগের। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে শিপবিল্ডিং, ব্লু ইকোনমি-সহ রপ্তানিমূখী বিভিন্ন সেক্টরে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান। এছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠেয় এক্সপোতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।