
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর উত্তল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাথে দেশের সকল প্রকার নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকায় হাতিয়ায় ২৪২ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র জন সাধারণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সব ধরনের নৌযান ঘাটে নৌঙর করে রাখা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে হাতিয়ায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে হাতিয়া উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ,ও সিপিপির কর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এদিকে হাতিয়া উপকূলীয় এলাকা ৯ নং বিপদ সংকেতের আওতায় থাকায় হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিটে তিনটি করে সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং নদীর তীরের লোকজন কে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সিপিপির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান,হাতিয়ায় সিপিপির সকল ইউনিটের সদস্যদের কে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে বাইরের সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে এবং যাত্রীরা আটকে পড়ে আছে। এবং হাতিয়ায় কয়েকটি ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।এতে ফসলের জমি ও মাছের প্রজেক্ট গুলো পানিতে ডুবে কৃষক ও মাছ চাষীগণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।