
তীব্র দাবদাহের পর ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় মধ্যরাতে স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে নামল বৃষ্টি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রবিবার মধ্যরাত থেকে আজ (২৭ মে) সোমবারেও ঝরছে বৃষ্টি সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। এতে কয়েক দিনের অব্যাহত ভ্যাঁপসা গরম কমে কিছুটা শীতলতা অনুভূত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, থেমে থেমে আসা দমকা হাওয়ায় সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী ও স্কুল- কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। অফিসগামীরাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোট পরিধান করে বের হয়েছেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ। দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিতে যাত্রী কম হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা।
নেত্রকোনা সদরের তেরী বাজার মোড়ের রিকশাচালক রহিছ মিয়া বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভোর রিকশা লইয়া (নিয়ে) বাইর অইতাম (বের হতে) পারি নাই। মাঝখানে একটু থামছিল, পরে আবার শুরু হইছে। রাস্তায় যাত্রীও কম।

বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সুজন ব্যাপারী বলেন, বৃষ্টি হওয়াতে ভ্যাপসা গরম কমেছে। তবে টানা বৃষ্টি ও এমন দমকা হাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। চলতে ফিরতে সমস্যার কারণে কাস্টমার আসছে কম।
বারহাট্টা উপজেলার বাউসী অর্দ্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তাহেরুল ইসলাম বলেন, ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি থাকায় স্কুল এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। তাই ৪র্থ ঘন্টার পর ছুটি দিয়ে দিয়েছি।
নেত্রকোনা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সোমবার সারাদিনই বৃষ্টি হবে। এমনকি মঙ্গলবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে চলেছে।