আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আ.লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলা:

দেশব্যাপী ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২৯ মে ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বোয়ালখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিউল আলম শফিসহ ৫ প্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি শফিকুল আলম পেয়েছেন ১৫ শতাংশের কম ভোট।

বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়। ফলে নির্বাচনী বিধি অনুসারে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় হারাতে হবে জামানত। নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনি এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাদের।

বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জানা গেছে, বোয়ালখালীতে ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ জন। এর মধ্যে উপজেলার ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৬৪২ টি, যা মোট ভোটের ৩৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫১ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজ (দোয়াত-কলম) প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬০২ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিউল আলম শফি (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬১ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে পেয়েছেন ৮৩৪ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১ শতাংশ। চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নুরুল ইসলাম (টেলিফোন) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৬৭০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫ প্রার্থী। এর মধ্যে উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি শফিকুল আলম (টিয়া পাখি) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১৫ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৬ দশমিক ৭১।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য, মোহাম্মদ জাহেদুল হক (হেলিকপ্টার) প্রতীকে ৩০ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সিআইপি মোহাম্মদ শফিক (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১১০ ভোট।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চৌদ্দগ্রামে শিবির নেতা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক শিবির সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীর খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে করেছে ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার প্রদক্ষিণ করে। এরআগে চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবিরের সভাপতি

মহিউদ্দিন রনির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নায়েবে আমীর কাজী এয়াছিন, সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেল, শহীদ সাহাব উদ্দিনের পিতা জয়নাল পাটোয়ারী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবদুর রব ফারুকী, জেলা পূর্বের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম ফয়সাল, সাবেক সেক্রেটারী

ফরিদুজ্জামান রুবেল, অফিস সম্পাদক মোশারফ হোসাইন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আল আমিন রাসেল, রবিউল হোসেন মিলন, মাঈন উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, জোবায়ের মাসুম, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোজাম্মেল হক, জেলা শিবিরের সাবেক অফিস সম্পাদক রবিউল করিম মজুমদার শামীম, সাবেক সাহিত্য সম্পাদক বোরহান উদ্দিন। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পৌর এলাকার চান্দিশকরা গ্রামে নিজ বাড়িতে মায়ের সামনে থেকে উপজেলা শিবিরের সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ফ্যাসিস্ট মুজিবুল হকের নির্দেশে ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের পরামর্শে পরদিন মহাসড়কের লালবাগ এলাকায় সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীর মাথায় গুলি করে হত্যা করে। আমরা এই সরকারের নিকট অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।

রাউজান উপজেলা বিএনপির পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছেন ত্যাগীদের নেতারা

সদ্য ঘোষিত রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত ত্যাগী নেতাকর্মিরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে। এর আগেও একই বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষিত ওই কমিটি বাতিলে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাউজান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মনজুরুল আলম।
লিখত বক্তব্যে বলেন বিগত ১৭ বছর সরকারের দোসর বিনা ভোটের এমপি ও তাদের ভাষায় নব্য ফেরাউন ফজলে করিমের আনুগত্য বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল।

এমপি ফজলে করিমের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা মামলায় জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল এবং শতাধিক নেতাকর্মী গুমের স্বীকার হয়। এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার দুই সদস্য বিশিষ্ট নাম উল্লেখ করে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রবাসী ইয়াছিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন এবং

ফজলে করিমের অর্থনৈতিক কাজের যোগানদাতা হিসেবে ব্যপক পরিচিত ছিল। কিন্তু গোলাম আকবর খোন্দকারের আনুগত্য কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তার জন্য মায়াকান্না করে তাদের আওয়ামী প্রীতি ও পূর্ণবাসনের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। রাউজানের প্রতিটি ইট ভাটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূর্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ছিলো। ৫ আগষ্টের পর চাঁদাবাজী বন্ধ হলেও গত কয়েকদিন ধরে আবারও চাঁদাবাজী শুরু হয়েছে এটা কার নির্দেশে হচ্ছে সেটা রাউজান বাসী সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবী জানাচ্ছে। বক্তব্যে আরও বলেন রাউজানের ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম হৃদয় বিদারক ঘটনা ছিলো নোয়াপাড়ার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকান্ড ঘটে। যার ভিডিও ফুটেজ হত্যাকারী সনাক্ত হওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধী কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়া এবং মৃত্যুর দশদিন পরও মামলা গ্রহণ না রহস্যজনক। হত্যাকারীদেরও গ্রেফতারের দাবী জানান।
এসম উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য আবু জাফর চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ আহাম্মদ ও রাউজান উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক নুরুলহুদা চেয়ারম্যান হাবিবউল্লাহ মাষ্টার দিদার চেয়ারম্যান ডাবুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এরশাদ চৌধুরী বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল ও মোজাম্মেল হক, উত্তর জেলা সেচ্ছসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইউছুপ তালুকদার,রাউজান উপজেলা বিএনপি সদস্য মহিউদ্দিন জীবন,যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ, উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা মোঃ ছোটন প্রমুখ।।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ