
সিলেটের ওসমানীনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর ভূমি অধিগ্রহণ বিলম্ব হওয়ায় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা পরিষদ ওসমানীনগর এর উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪জুন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় তাজপুর কদমতলায় সংগঠনের অস্থায়ী অফিসে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা পরিষদ ওসমানীনগর এর ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব আওয়ামীলীগ নেতা জহুর আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সদস্য প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন মোস্তান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাজপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সমাজসেবক ফারুক জাহাঙ্গীর, শাহ আব্দুল করিম, লাকী আহমদ, টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের জন্য প্রস্থাবিত ভূমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার, আবুল কালাম, হেলাল আহমদ, তাজ উল্লাহ, ব্যবসায়ী নুরুল হক, আব্দুর রশিদ, মানিক মিয়া, ইকবাল হোসেন,পারভেজ আহমদ, সুমন আহমদ, রাজু মিয়া, মিজান আহমদ, মাওলানা আজমল আলী, শিক্ষক সোহেল আহমদ, আব্দুল আলীম, আব্দুল মুমিন প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ বলেন, চলতি বছরের ৩১ডিসেম্বর উপজেলা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রজেক্ট শেষ হবে। উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ” স্থাপন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে উপযুক্ত জমির তথ্য প্রেরণ করতে ২০২৩ সালের ১১নভেম্বর সিলেট-২ আসনের তৎক্ষালিন সংসদ সদস্য মোকাব্বির খাঁন উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মোল্লাপাড়া মৌজার ১১০নং জেএল এর বিভিন্ন খতিয়ানের ৯১০,৯১৮,৯১৫,৯১৬,৯১৯,৯২০,৯২১,৯০০,৯৩৭,৯০২,৯০৩,৯১৪,৯০৪,৯১৭ নং দাগের ৩একরের অধিক ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ডিও লেটার প্রদান করেন। গেল বছরের ৪ডিসেম্বর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ৬ডিসেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসক ও ৭ডিসেম্বর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বরাবরে জমির মালিকগণ ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সাবেক এম.পি মোকাব্বির খাঁনের ডিও লেটারকৃত ভূমি বাদ দিয়ে চলতি বছরের ৬ফেব্রুয়ারী সিলেট জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা বরাবরে উপজেলার বেগমপুর ও গ্রামতলা মৌজার দু’টি ভূমির প্রস্থাবনা পাঠান। ৭মার্চ এ দু’টি প্রস্থাবনা বাতিল হয় এবং একই দিনে বিকল্প ভূমি নির্বাচন করে প্রস্থাবনা পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসক সিলেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওসমানীনগর বরাবরে নির্দেশ প্রদান করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মশিউর রহমান। উক্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ২০ মার্চ জেলা প্রশাসক সিলেট অগ্রাধিকার গণ্যে জরুরী ভিত্তিতে বিকল্প প্রস্থাব পাঠানোর জন্য ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অদৃশ্য কারণে এখনো কোন প্রস্থাবনা প্রেরণ করেননি। এতে এলাকার ছেলে মেয়েরা কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অনাকাংখিত বিলম্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। ইদানীং বন্যার কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকায় কাজটি পেছনে পড়েছে।