আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম পিটিআইতে সমন্বয় সভায় উপ-পরিচালক

মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, সারাদেশে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিম্ন ও উচ্চ আদালতে মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গ্রাম আদালতে প্রান্তিক মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ন্যায় বিচার করতে হবে। ফৌজদারী মামলা ৩০ দিনে ও দেওয়ানী মামলা ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সরকারী ছুটির দিনে মামলা পরিচালনা করা যাবে না। জেলার গ্রাম আদালতগুলোতে অনেক মামলা পেন্ডিং রয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম আদালতে মাসে কমপক্ষে ৫টি মামলা নিষ্পত্তিসহ রেজিষ্টার্ডভূক্ত করে জেলা কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে। চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও মেম্বারগণ আরও আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের সার্বিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করেন। জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদ ইশরাকের সঞ্চালনায় অনষ্ঠিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ২০২৩-২০২৪ কার্যক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জসমূহ, শিক্ষনীয় দিকসমূহ, গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, মামলার নথি প্রস্তুুত ও রেজিস্টার সমূহের ব্যবহার এবং সুবিধাভোগীর ভিডিও উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি’র এভিসিবি-৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা।
বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরীন, প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা-ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজাহান হোসাইন, পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) বলেন, মানুষ যাতে গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা না হারায় সে জন্য হারায় সে জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে বিচার প্রার্থীরা নিম্ন ও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে না। কোন কোন ইউনিয়নে মামলা একেবারেই জিরো, এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকলে ভালো, নইলে এটা আমাদেও কাম্য নয়। গ্রাম আদালতে ফরমেটগুলো গ্রহণের মাধ্যমে যথাযথভাবে মামলা পরিচালনা করতে হবে। তাহলে গ্রাম আদালত আইন বাস্তবায়ন হবে। আগে গ্রাম আদালতে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিচারিক এখতিয়ার ছিল, এখন ৩ লাখ। মিথ্যা মামলা করলে সেটিরর জরিমানার বিধান রয়েছে আইনে।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের এজলাসগুলোকে জুডিশিয়াল আদালতের এজলাসের আদলে তৈরী করা হয়েছে। এখানে ১৯১টি ইউনিয়েনের মধ্যে ১১৯টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত এজলাস রয়েছে, এগুলো সুন্দর ও পরিপাটি এবং ৩০টিতে ভবন নেই। বাকী গ্রাম আদালতের এজলাস ও ভবনগুলোর কাজ এ প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণগণকে অবহিত করতে র‌্যালি ও প্রচার-প্রচারণামূল কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে ইউপি সচিব, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম পুলিশদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গ্রাম আদালত সক্রিয় করলে গ্রামে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির সহজে, কম খরচে, স্বল্প সময়ে, সঠিক বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
এভিসিবি-৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার গ্রাম আদালতে পেন্ডিং মামলার সংখ্যা ২২৭টি, জেলায় মোট মামলা দায়ের ১০৩১টি (সরাসরি ইউপিতে দায়ের ৮৮৯টি ও জেলা আদালত থেকে প্রেরিত ১৪২টি)। বিধি-৩১,প্রাক বিচার শুনানীতেনিষ্পত্তি ৫২৯টি, বাতিল খারিজ ৪৭টি ও বর্তমানে অনিষ্পত্তিকৃত মামলা ৬৮২টি। সরাসরি দায়েরকৃত মোট ৮৮৯টি মামলার মধ্যে পুরুষ আবেদনকারী ৬৫৭ (৭৩ দশুমক ৯১ শতাংশ, নারী আবেদনকারী ২৩২ (২৬ শতাংশ এবং ১৩১ (৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ) নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী,র কিছু কথা।

আত্মহননের পর র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলছেন – শাশুড়ি তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে দেয়নি। ছেলেকে ছোট বাচ্চার মতো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।
গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সুস্মিতা বলেন – ‘ওর (পলাশ) আমার হাতের রান্না ভাল খাইত এজন্য আমার শাশুড়ি একপর্যায়ে আমার রান্নাই বন্ধ করে দিল। আমার শাশুড়ির ইথিক্স ছিল, ছেলে বিয়ে করবে বউ তাড়াতাড়ি বাচ্চা হয়ে যাবে। বউ সংসার আর বাচ্চা নিয়ে থাকবে, আর সে তার ছেলেকে নিয়ে থাকবে। আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর যে ৩৫ বছর বয়স হলো ওকে নিজ হাতে খাইয়ে দিত।

যেদিন পলাশ গেল,ওইদিন সকালেও ওর মা ওকে খাইয়ে দিছে আড়াইটা বছর ধরে আমিও দেখতেসি যে, একটা বাচ্চা ছেলেকে যেভাবে তার মা প্যামপার করে ঠিক ওভাবে,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ও কি পোশাক পরবে, ও কি পোশাক কিনবে, ও কোনটা পরে অফিসে যাবে না যাবে, ও কখন কি খাবে না খাবে, কখন ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, সবটা ওর মা নিয়ন্ত্রণ করত।
আর আমার স্বামী সেটা মেনে নিত। তো আমার একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হল, এটা তো খুব প্রক্সি।

এক পর্যায়ে আমি আইডিন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছিলাম যে, আমি তো ওর বউ। কিন্তু আমার অস্তিত খুঁজে পাচ্ছিলাম না ওদের মাঝখানে। তারা মা-ছেলে দুজনে কথা বলত, আমি যখন ওদের মাঝে যেতাম তখন থেমে যেত। এটা কেমন ব্যবহার?’তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নির্লোভী ছিল। ও সৎ ছিল। ও আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করসে। কিন্তু ও অনেক বেশি মাতৃভক্ত ছিল।

আমি সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েটও করতাম। কারণ আমিও তো একদিন মা হব। আমার সন্তানও তাহলে বাবার মত হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন দেখলাম আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি খুব আদর যত্ন করতাম ওকে, ওর মাকে। কিন্তু ওরা না আমাকে বুঝত না। আমার স্বামী আমাকে প্রচুর ভালবাসত। কিন্তু ওই যে একটা বয়সের গ্যাপ, ওই জন্য ও আমাকে বুঝত না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকে আমি বলা শুরু করি যে, কী, কোনো সমস্যা বা তোমার মেন্টালিটি এমন কেন?

তোমারই তো বউ আমি। তুমি পছন্দ করে আনসো, আমি যেহেতু আসি নাই। তাহলে তোমার কি কখনও ইচ্ছে করে না যে বউকে নিয়ে একটু থাকি বা বউকে একটু আলাদা করে সময় দেই। ও বলত যে না, বউকে আলাদা করে টাইম দেওয়ার কি আছে? মা আছে, আমি আছি, তুমি আছ- যা করব একসাথে করব। বউকে তো রাতে ভালবাসা যাবে, রাতে তো একসাথে ঘুমাই, তখনই ভালোবাসব। আমি বলতাম, বউকে মানুষ শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য ভালবাসার জন্য বিয়ে করে? বড় কোনো শখ, আহ্লাদ কিচ্ছু থাকে না?’

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। চট্টগ্রাম নগরীর র‌্যাব- ৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তার সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলা আল্লাহর মেহমানদেরকে দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে সেবা দিয়ে আসছে।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলার পবিত্র হজ্ব প্রশিক্ষণ ও পুনর্মিলনী’২৫ অনুষ্ঠান কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সূচিত হজ্ব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান হজ্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার কপার চিমনি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।

কাফেলার সদস্য মাওলানা সরওয়ার আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন।

বিশেষ অতিথিদ্বয় যথাক্রমে বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ, গারাংগিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মহিউদ্দিন, বড় মিয়া মসজিদের খতীব মাওলানা আকতার হোসেন, হাসিমপুর মুকবুলিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুন, হাচনদন্ডি মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশার, রসুলাবাদ মাদরাসার শিক্ষক শফিক আহমেদ, হাফেজ ক্বারী মিজানুর রহমান, হাবের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরিয়ত উøাহ শহিদ, হাবের সেক্রেটারী আবদুল মালেক, বিমান ব্যবস্থাপক ফারুক আল মামুন, কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াজ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণ ও পুনর্মিলনী’২৫ অনুষ্ঠানে হজের নিয়মকানুন, আবাসন, পরিবহন, চিকিৎসা, কুরবানি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করা হয়। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমেই হজযাত্রীরা সমৃদ্ধ হবেন এবং সফলভাবে হজ পালনে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহ আপনাদের সুযোগ দিয়েছেন হজ পালন করার, যা সবার ভাগ্যে জোটে না। আপনারা সৌভাগ্যবান। আপনারা নিজের, পরিবারের, চট্টগ্রাম শহর এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া করবেন।

প্রথমবার হজে যাওয়া নিয়ে অনেকের মনে ভয় থাকতে পারে, তবে এটি খুব সহজ ও আল্লাহর রহমতে পরিচালিত এক মহান ইবাদত। আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলার যারা আপনাদের গাইড করবেন, তারা অত্যন্ত আন্তরিক। প্রয়োজনীয় মাসায়েল ও দিকনির্দেশনা আপনাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন।

হজে¦র অনেক বড় শিক্ষা ধৈর্যের শিক্ষা। হজে খুব বেশি প্রয়োজন হয় ধৈর্যের। যেহেতু হজের সফর দীর্ঘ হয় এবং হজের সফরে এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যা অন্তরে রাগের জন্ম দেয়, তাই সবরের প্রয়োজন হয়।

হজ্ব এমন একটি আধ্যাত্মিক ইবাদত যাতে ইসলামের সকল ইবাদতের মূল নির্যাস নিহিত। হজ্ব কেন বড় ইবাদত এজন্য সুনির্দিষ্ট স্থান, সুনির্দিষ্ট সময়, সুনির্দিষ্ট পোষাক রয়েছে এবং একটি বিশেষ শ্রেণীর উপর ফরজ। এটি আল্লাহতায়ালা কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বশেষ ফরজ বিধান এবং এই ইবাদতের নামে আল কোরআনে একটি স্থায়ী সূরা বিদ্যমান।

হজের পর থেকে মানুষ নিজের সৎ-শুদ্ধ কিংবা পাপ-পঙ্কিলতাপূর্ণ অতীতের সমাপ্তি টেনে নতুন করে নিজের জীবনকে ঢেলে সাজায়। সে সুবাদে তার প্রতিটি কর্মকান্ডে লাগে নবজীবনের ছোঁয়া।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলা আল্লাহর মেহমানদেরকে দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে যে সেবা দিয়ে আসছে। সংগিত পরিবেশন করেন তাহিম উদ্দিন নিজাম।

শেষে বিশ্ব শান্তি, নতুন হাজিদের ও সকলের মঙ্গল-সুস্বাস্থ্য কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ