আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চিটাগাং চেম্বারে শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে মানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম এবং দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই)’র যৌথ উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্মত পণ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে বিএসটিআই এর ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা গতকাল সোমবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, বিশেষ অতিথি কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রামের সভাপতি জনাব এস এম নাজের হোসেন বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় আলোচনায় অংশ নেন চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন’র যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানী ও কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন, ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী, বিএসপি ফুড প্রোডাক্টস লিঃ’র অজিত কুমার দাশ, এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি’র এএসএম সোলায়মান, অরবিস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল’র জাফর উল্লাহ, আবুল খায়ের গ্রুপের জহিরুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও ওমর মুক্তাদির, বিএসটিআই’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন-ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। তাই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে আগামীতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে কিভাবে মানসম্মত পণ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের মতামত জানতে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে মানসম্মত পণ্য যদি বিদেশে রপ্তানি করতে না পারি তাহলে দেশের সুনাম যেমন নষ্ট হবে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ব্যবসায়ীগণ। আবার আমদানিকৃত পণ্যের সাথে ভেজাল ও অসাধুতা অবলম্বন করে মানুষের স্বাস্থ্যহানি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া যাবে না। তাই যেকোন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে মানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তিনি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পণ্য পরীক্ষণে সময়ক্ষেপন কমিয়ে আনা, চট্টগ্রাম বন্দরে নমুনা সংগ্রহের সময় সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকেল ৬.০০ টা পর্যন্ত, শনিবারও কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে সোনালী ব্যাংকের গেটওয়ে ব্যবহার করে নমুনা পরীক্ষার ফি জমাদান এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমেও ফি জমাদান করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি জনবল সংকট নিরসনে লোকবল পদায়ন এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রামে নতুন নির্মিত বিএসটিআই ভবনে প্রতি সপ্তাহে ১দিন করে অফিস করার ঘোষণা দেন।

ক্যাব সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন-বিএসটিআই জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এজন্য এখানকার গভর্নিংবডিতে রাখা হয়েছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের। তাই আমরা ভোক্তাদের প্রতিনিধি হিসেবে এবং জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বিএসটিআই’র সাথে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে বিএসটিআই এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে ল্যাব সুবিধা। যাতে করে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের যেন চট্টগ্রাম থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় যেতে না হয়। কারণ ব্যবসায়ীদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেড়ে গেলে তার চাপ পড়বে ভোক্তাদের উপর। তিনি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও তার প্রতিকার দ্রুতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন-ব্যবসায়ীদের সততা নিয়ে কাজ করতে হবে। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ভার সকলে বহন করবে না। আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি যাতে না বাড়ে তা মাথায় নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। একই সাথে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোর জন্য এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে কমন টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এছাড়াও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এর অংশহিসেবে পণ্যের গুণগতমান বজায় রেখে কিভাবে বিদেশে রপ্তানি বাড়ানো যায় তা উদ্যোক্তাদের জানানোর জন্য চিটাগাং চেম্বারের সাথে যৌথভাবে নলেজ শেয়ারিং ও প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন চেম্বার সহ-সভাপতি।

বক্তারা বলেন-দ্রুত জনবল সংকট নিরসন, ল্যাব ফ্যাসিলিটি আধুনিকায়ন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোর সাথে সমন্বয় করা, দ্রুত ছাড়পত্র প্রদান করা, নমুনা পরীক্ষার সময় কমানো, ক্ষেত্রবিশেষে বিএসটিআই’র ছাড়পত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রহণ না করা, শনিবারও নমুনা সংগ্রহ এবং ফি জমাদান চালু রাখা, বন্দরভিত্তিক পণ্যগুলোর নমুনা পরীক্ষা জরুরীভিত্তিতে রাখার উপর মতামত তুলে ধরেন তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ২০ জনকে গ্রেফতার করা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম ওরফে আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন

লিটন (৩৮), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ(৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও কর্ণফুলী থানার জুলধা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)।

দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ, সিইপিজেডে শ্রমিকদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে সিইপিজেডের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড ও এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের মধ্যে এ ধাওয়া -পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই কারখানায় প্যাসিফিক গ্রুপের আওতাধীন। এর মধ্যে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের আওতাধীন। অন্যদিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আওতাধীন। খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা প্যাসিফিক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাদের ডাকে অন্য কারখানার শ্রমিকরা সাড়া না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। তারা ওই কারখানার শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, প্যাসিফিক গ্রুপের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সমস্যা হয়েছে একটিতে। তারা অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে বলেছিল। কিন্তু অন্য কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ না দেওয়ার জেরে এ ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে জানতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমীরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এর আগে রোববার খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন বাড়তি সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলসের শ্রমিকেরা। এরপর রাতে কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিকদের কারখানায় অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রাখা এবং অন্যায় দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার কারণে ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ ধারা ১২(১) অনুযায়ী সোমবার থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ