আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা- প্রধানমন্ত্রী

অন্তর দে কক্সবাজার:

কক্সবাজার:

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হলো কক্সবাজার জেলা।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার ৩টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ২৬১টি গৃহ উদ্বোধন করে এই ঘোষণা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এইসময় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ভাদিতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০ টি পরিবারকে প্রথম ঘর করে দিই। সেখানে জমির অভাব থাকায় ব্যারাক হাউস করে প্রত্যেকের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছিলাম।

কক্সবাজারজেলার ৯ উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন নিরূপণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৯২৫ পরিবারকে। এর মধ্যের এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬৪টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিন অবশিষ্ট ২৬১টি গৃহ উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয় নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ১৪৬, সদর উপজেলা ৭৫ এবং মহেশখালী উপজেলায় ৪০ টিসহ মোট ২৬১ টি পরিবারের মাঝে।

এতে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পাকা ঘর ও ২ শতক জমির চাবি-দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও মহেশখালী উপজেলায় হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী আর কোন ভূমিহীন পরিবার অবশিষ্ট না থাকায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় উল্লিখিত ৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদানের পাশাপাশি নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গৃহ বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর যৌথনামে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। এতে করে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন-মানোন্নয়নে কাজ করছে।

কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যের ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ২ শতাংশ করে বন্দোবস্ত করা হয়েছে ১২০ একরের বেশি জমি। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলায় আর কোন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয় কক্সবাজার জেলাকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ