আজঃ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু যান ও পথচারী চলাচলে প্রস্তুত

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

কালুরঘাট রেলসেতু যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য অবশেষে প্রস্তুত হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে ব্রিজের উপরে কার্পেটিংয়ের কাজ। প্রথমবারের মতো সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজও শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর উভয় পারের মানুষ চলাচল শুরু করেছে। শতবর্ষী এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়াকওয়ে দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পেরে তারা খুশি। এখন সেতুর ওপর ট্রেন এবং যানবাহন চলাচলের সময় পাশের ওয়াকওয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে পথচারীরা। কারিগরি দিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, ব্রিজের ওপরে কার্পেটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে সেতুতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া ওয়াকওয়ের কাজ। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে পথচারীদের জন্য সেতুর ওয়াকওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে উভয় পারের মানুষ জোর করে ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাচল করছে। জুলাই থেকে সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি। রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানান, বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে গত ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে সময় লাগে। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ থাকায় রেল ট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমে পাত ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় রেল ট্র্যাক মেরামতের প্রয়োজনে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হতো। তবে এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়েছে। এরপর ওই কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণ করা হয়। এতে সড়ক ও রেলপথ উভয়ই আগের চেয়ে শক্ত থাকবে। বর্ষা মৌসুম কিংবা কুয়াশার পানি না জমে কংক্রিট ঢালাইয়ের অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ সিস্টেম দিয়ে নদীতে পড়লে রেল ট্র্যাক, ক্লিপ ও সেতুর ইস্পাতের পাটাতন ক্ষয় হবে না। বিশেষ প্রযুক্তি ও বুয়েটের পরামর্শে নতুন করে নির্মাণ করায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারযোগ্য থাকবে বলে মনে করছেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ টিমের তত্ত্বাবধানে সেতুটির সংস্কার কাজ করছে ম্যাঙ। গত ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৮ জুন রেলওয়ের সাথে ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের চুক্তি হয়। প্রথম দফায় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা পেছানো হয় সেতুটির সংস্কার কাজ। তবে সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যটন নগরী কসবাজার রুটে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী (কসবাজার এঙপ্রেস) ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী কসবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরও আগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর সংস্কাররত কালুরঘাট সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে ট্রায়াল রানের ট্রেন কসবাজার যায়। এখন সেতুর উপর দিয়ে কসবাজার রুটে প্রতিদিন দুটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং একটি স্পেশাল ট্রেন এবং দোহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মদনে লেখক কবি ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা মদন উপজেলায় মদন পৌর সদরে আল মদিনা মার্কেট কবি লেখক ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আড্ডায় মধ্যমণি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক কবি প্রাবন্ধিক বাবু রাখাল বিশ্বাস। এ সময় সাহিত্য আড্ডাটি উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম শফিক। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক আজহারুল ইসলাম হিরু সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় চারণকবি লেখক মুকলেছ উদ্দিন,মহানবীর উপর মহাকাব্য রচয়িতা এমএ লতিফ তালুকদার,লেখক,কবি তালুকদার সারোয়ার

আরেফিন,কবি ও সাংবাদিক মোশারফ হোসেন প্রমুখ। প্রায় ৩ ঘন্টা কবি সাহিত্যিকের আড্ডায় আমাদের লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পাক্ষিক সাহিত্য সভা করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরিশেষে সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি বাবু রাখাল বিশ্বাস বলেন,সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা বর্তমান প্রজন্মসহ সবার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হোক তিনি এই প্রত্যাশা করেন।

বরমা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাকলিয়ায় আটক

চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলা বরমা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধুসুদন দত্তকে আটক করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। বাকলিয়া থানা পুলিশের বিশেষ একটি দল গোপন অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাকলিয়া থানাধীন বহদ্দার হাট বলির হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বরমা ইউনয়িনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধুসুদন দত্তকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। আটককৃত মধুসুদন দত্ত ৫নং বরমা ওয়ার্ড আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, বরমা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধুসুদন দত্তকে আটক করা হয়েছে। তিনি বরমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জেনেছি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধুসুদন দত্ত বরমা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান অপসারিত হলে মধুসুদন দত্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ