আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জে তালশাঁসের জমজমাট ব্যবসা

বাবুল আহমেদ মানিকগঞ্জ :

মনিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে তালশাঁসের জমজমাট ব্যবসা। জ্যৈষ্ঠ মাসেই দেশে সর্বত্র আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, গাব, আঁশফল ও তালের শাঁস পাওয়া যায়।
গ্রীষ্মকালে তালশাঁসে পানি থাকে প্রায় ৮০ শতাংশ। শাঁসের পানিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, অল্প পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট।

এছাড়াও ভিটামিন এ, বি, সি এবং মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানসহ আরও রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। যে কারণে এ মৌসুমি ফল তালশাঁস সব বয়সী মানুষের পছন্দ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালের খড়-তাপের ভ্যাপসা গরমে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ গরমের মধ্যে তৃষ্ণা মেটাতে তারা খাচ্ছে সুস্বাদু তালের শাঁস।

মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় সব উপজেলার হাট-বাজারসহ আঞ্চলিক ও মহাসড়কের ধারে তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে। এ ফল খেতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় করছেন। আবার অনেকেই পরিবারের অন্য সদস্যের জন্য নিয়েও যাচ্ছেন।

প্রতিটি তাল বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। প্রতিটি তালের ভেতর তিন থেকে চারটি করে শাঁস হয়। তালশাঁস পুষ্টি গুণে ভরপুর এবং সম্পূর্ণ বিষমুক্ত হওয়াতেই মানুষের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। প্রতি ১০ ঘণ্টায় একজন তালশাঁস বিক্রেতা প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার বিক্রি করে থাকেন।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গী এলাকায় খন্দকার সেলিম নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারখানায় কাজ করে গলাটা শুকিয়ে গেছে। সে জন্য তালশাঁস খাচ্ছি। শাঁসের মূল্য একেবারেই সব শ্রেণি পেশার মানুষের হাতের নাগালে, যার ফলে সবাই ফলটি স্বাচ্ছন্দ্যে খেয়ে পারে।

তালশাঁস বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে তালশাঁস বিক্রি করি। এ শাঁসের প্রচুর চাহিদা থাকায় একা একা তাল কাটার (তালশাঁস কেটে বের করা) কাজ করাটা এখন অনেক কষ্টের হয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই সারা দিন তালশাঁস বিক্রি করি। সম্পূর্ণ ফরমালিন মুক্ত তালশাঁসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমি প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করি বলেও জানান তিনি।

ইব্রাহিম হোসেন নামে আরেক তালশাঁস বিক্রেতা বলেন, দিনে তালের কোথায় তাল পাওয়া যায় তার খোঁজ করি। পরে তা কিনে নিয়ে আসি। সেই তাল আমার ছেলে সারা দিন বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করেন। এখন আর আগের মতো দেশে তালগাছ নাই, যে কয়টা গাছ আছে, তাও আর আগের মতো তাল ধরে না। প্রতিটি তাল গাছ সারা বছর হিসাবে ক্রয় করতে হয়, এ গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে সব কিছু নিজেরই করতে হয়। একেকটি তাল গাছ ক্রয় করতে হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়, ভাগ্য ভালো হলে প্রতি গাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার তাল বিক্রি করা যায়।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. বলেন, তালশাঁসে ভিটামিন এ, বি, সি এবং মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। তালশাঁস খেলে শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ হয়। পাশাপাশি এ ফলে ত্বক ভালো রাখে, চুল পড়া বন্ধে সহায়তা করে, হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধসহ আরও নানা রোগের প্রতিষেধকের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তার চেয়ে বড় আরেকটি বিষয় হলো এ ফলে কোনো ধরনের প্রিজারভেটিভ নেই, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে পঙ্গু ও দুস্থ শ্রমিকের মাঝে চেক বিতরণ ।

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৫৭ জন পঙ্গু-দুস্থ ও অসহায় শ্রমিকের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ১ মার্চ শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে চেকগুলো বিতরণ করেন জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ। চেক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাশেম, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু,সড়ক সম্পাদক সাকিব বাবু, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ভুট্ট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ নেতা কর্মীরা। পরে এক আলোচনা শেষে ৫৭ জন পঙ্গু অসহায় ও দুস্থদের মাঝে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

রাণীশংকৈলে কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের উদ্বোধন 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বোরো ধান (উফশী) সমলয় ব্লক প্রদর্শনীর রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।  কাশিপুর ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে ৫০ একর জমিতে চারা রোপণের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়। 

এসময় ইউএনও রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, কৃষি প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, জামায়াতের সেক্রেটারি রজব আলী, কৃষক আফজাল হোসেন আফাজ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন,সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎপাদন খরচের অতিরিক্ত সময় ও ব্যয়ের  হাত থেকে রক্ষা করতে যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদ ভূমিকা রাখছে।কৃষিতে যান্ত্রিকীকায়ণের ফলে সমলয় চাষাবাদে কৃষির উৎপাদন খরচ অর্ধেকের কম নেমে এসেছে ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে।
এ সময় শতাধিক স্থানীয় কৃষক কৃষানি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ