আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

ঈদুল আজহাকে ঘিরে চট্টগ্রামে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

ঈদুল আজহাকে ঘিরে চট্টগ্রামে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা। ক্রেতারা খুঁজছেন শান দেয়া ঝকঝকে দা ও ছুরি। কেউ কেউ পরখ করে নিচ্ছেন ঠিকমতো হাঁড় কাটবে কিনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কামার পাড়ায় ঝনঝন শব্দ জানান দিচ্ছে তাদের কাজের ব্যস্ততা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও কর্মকাররা ক্ষতিকর যন্ত্রপাতির অপব্যবহার করতে দেন না বলে জানিয়েছেন। একসময় কৃষিকাজ, বাড়িঘর মেরামত ও গৃহস্থালী কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো কামারদের। ব্যবসাটা তখন ছিলো জমজমাট। হাল আমলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেই পেশা এখন কোনঠাসা হয়ে পরেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও গ্রামে গ্রামে ছিলো কামারদের অবস্থান। এখন কাঁচামালের মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসানের কারণে শত শত মানুষ এই পেশা পরিবর্তন করেছেন। তবে কামারদের দক্ষ হাতের কাজের এখনো জনপ্রিয়তা রয়েছে। যতোটা না রেডিমেড দা-ছুরির ব্যাপারে। ফলে কোরবানি এলেই আবার লোকজন ছুটে আসেন কামারদের কাছেই। এই ছুরি বা দা দিয়ে কোরবানি দেয়া গরুর যেকোনো হাড় বা শক্ত মাংস সহজে কাটাকাটি করা যায়। ভোগান্তিতে পরতে হয় না তাদেরকে। গুণগতমানের কারণে এখনো মানুষ তাদের কাছে আসে।চট্টগ্রামে সদর উপজেলার কর্নফুলী বাজারের সবচেয়ে পুরাতন কর্মকার একরাম জানান, প্রায় ৩৬ বছর ধরে এই পেশায় আছি। পেশাটার প্রতি মায়া পড়ে গেছে। ছাড়তে পারি না। এখন ১২/১৩ টাকার কয়লা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজির লোহা কিনতে হচ্ছে একশ টাকার উপরে। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের তৈরি জিনিসপত্রের দাম তেমনটা বাড়েনি। ফলে অল্প লাভেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা আনোয়ারা রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা অনিল ও অমরেশ দুই ভাই প্রায় ৩৭ বছর ধরে কামারের কাজ করছেন। পাশেই কাজ করছেন তাদের গ্রামের কৃষ্ণ মোহন। তারা জানান, একসময় ছিনাইতে ২৫ ঘর লোক কামারের পেশায় নিয়োজিত ছিলো। এখন ৮ থেকে ১০ জন এই পেশায় আছে। বাকিরা অন্য পেশায় চলে গেছে। এখানে তৈরি করা হয় দা,বটকি,চুরি,হন্দা,কুড়াল,কাঁচি, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারিত জিনিস পত্র। এসব যন্ত্রপাতি তৈরি করতে প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেয়া লাগে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, এসব যন্ত্রাদি তৈরি করতে তাদেরকে কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হয় এমন যন্ত্রপাতি তারা কখনো তৈরি করেন না। শুধুমাত্র সাংসারিক ও মাঠের কাজে ব্যবহার করা যায় এমন জিনিসই তৈরি করে আসছেন তারা যুগের পর যুগ ধরে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতে ‘যৌথ টহল’ কর্মসূচি

জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে চট্টগ্রাম নগরী থেকে সাতকানিয়া পর্যন্ত যৌথ টহলের কর্মসূচি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী সোমবার (২১ জুলাই) এর সম্ভাব্য সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ড্রোন শোসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘আগামী সোমবার একটা জয়েন্ট পেট্রোল টিম নিয়ে আমরা মাঠে নামার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এটা করব। এই টিমে র‌্যাব, বিজিবি, আর্মি, পুলিশ, আনসার, এয়ারফোর্স, জেলা প্রশাসন থাকবে। আমরা সবাই একসঙ্গে মুভ করব। সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ মাইল মুভ করে আমরা সাতকানিয়া পর্যন্ত যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশকে জানাতে চাই যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম কিংবা নাশকতার চেষ্টা কেউ করলে তারা যেন সতর্ক হয়ে যায়। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি, এটা তাদের জানাতে চাই।’এদিকে বুধবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে ড্রোন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে লাখো মানুষের সমাগমের আশা করছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ড্রোন শো জেলা স্টেডিয়ামে হবে। সেখানে ১১০০ ড্রোন উড়বে। আমরা আশা করছি সেখানে এক লাখের মতো জনসমাগম হবে। সিএমপি থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় দরকার, সবকিছুই করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ১৫টি স্থানে জুলাই শহিদদের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানেই শহিদ হয়েছে, সেখানেই স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে। চট্টগ্রামে মোট ১৫টি জায়গায় করা হবে।

মহানগরীতে যারা মারা গেছেন, সেটা করবে সিটি করপোরেশন। মহানগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে এলজিইডি করবে।’এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী ম্যারাথন, যতজন শহিদ ততগুলো বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শহিদদের মায়েদের নিয়ে সমাবেশ, হেলথ ক্যাম্প, এলাকাভিত্তিক জুলাই যোদ্ধাদের সমাগম ও প্রধান উপদেষ্টার ভিডিও বার্তা প্রচার এবং সম্মাননা প্রদানসহ আরও কর্মসূচির তথ্য জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল ৯টায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী কেন্দ্রীয় সংসদের মহাসচিবের মায়ের ইন্তেকাল

 

অছিয়ে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর বিশিষ্ট মুরিদ মরহুম জহিরুল আলম বাচ্চুর সহধর্মিণী, গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর আদর্শবাহি সংগঠন আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মানিত মহাসচিব আলহাজ্ব মাসুদ মাহমুদের মমতাময়ী মা গত ১৩ জুলাই রবিবার নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন,ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন ।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে ৫৮বছর । মরহুমা সন্তান সন্ততিসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে জান। মরহুমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দরবারে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর মহামান্য জিম্মাদার ও মুন্তাজেম আওলাদ, জাঁ-নশীনে অছিয়ে গাউসুলআজম শাহসুফি সৈয়দ সহিদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) । মরহুমার জানাজা উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ আহমদ নাভিদ হাসান মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় সংসদ, চট্টগ্রাম মহানগর, বিভিন্ন দায়রা আঞ্চলিক শাখাসহ,স্থানীয় সমাজ প্রতিনিধি নিকটাত্মীয় স্বজন জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ তানজীদ হোসাইন জানাজার নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা আবুল মনচুর মোনাজাত পরিচালনা করেন ।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ