আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে ঈদুল আজহা উপকরনে কিনতে ব্যস্থ কোরবানিরা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

ঈদুল আজহা একেবারে শেষ মুহূর্তে দিন শেষে জমে উঠেছে কাঠের গুঁড়ি-চাটাইয়ের কেনাবেচা রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। ঈদ সামনে রেখে কাঠের গুঁড়ি, চাটাইসহ কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণ বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। এসব সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জেলা উপজেলার মোড়ে মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। নগরীর কোরবানি দাতাদের অনেকেরই কোরবানির পশু কেনা হয়ে গেছে। আর যারা এখনো কেনেন নি তাদের চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। কোরবানির পশু জবাই আর ভাগবাটোয়ারার জন্য প্রয়োজন দা,চুরির পাশাপাশি, কাঠের গুঁড়ি ও চাটাই। সাময়িক এই প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই তিন দিন আগ থেকেই নগরীর পশুর হাটগুলোর আশপাশে এবং বিভিন্ন মোড়ে এসব সামগ্রী পসরা সাজিয়ে বসেছে অস্থায়ী দোকানগুলো। চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বাসিন্দার সরওয়ার মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি বিক্রি করছেন । তিনি জানান, গাছের গুঁড়ি গুলো সাধারণত তেঁতুল গাছের হয়। তবে কেউ কেউ কড়ই গাছের গুঁড়িও কেনেন। যদিও কড়ই গাছের গুঁড়ি থেকে কাঠের গুঁড়া বেরিয়ে তা মাংসের সঙ্গে লেগে যায়। তবে বেল গাছের গুঁড়িও ভালো। সরওয়ার বলেন, ‘তেঁতুল ও কড়ই কাঠের গুঁড়ি নিয়ে এসেছি বাঁশখালী থেকে। তেঁতুল কাঠ হলে তিনশ থেকে চারশ, কড়ই কাঠ হলে দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় বিক্রি করছি। নতুন ব্রীজ এলাকায় চাটাই বিক্রি করছেন কাদের ।

 

এক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও একই জায়গায় ফুটপাতে তিনি কাঁঠালের ব্যবসা করতেন। এককথায় তিনি একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। কাদের বলেন, ‘যখন যেটা পাই সেটা করি। প্রতিবছর কোরবানিতে চাটাই নিয়ে আসি নোয়াখালী থেকে। এসব চাটাই তৈরি হয় হোগলা পাতা দিয়ে। ছয় হাত চাটাইয়ের দাম রাখছি ৪০০ টাকা। আশপাশের দোকানের আর ও পাবেন তবে সেগুলো পরিষ্কার না। আর বাঁশের চাটাইয়ে শরীর কেটে যায়। কাঠের গুঁড়ি আর চাটাইয়ের পাশাপাশি জমে উঠেছে কুড়া, খড়, ভুসি বেচাকেনাও। গম বা ছোলার ভুসি ছাড়াও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। শুকনা খড়ের আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা ঘাস বিক্রি হচ্ছে কম-বেশি ৫০ টাকা আঁটিতে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ