আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা:

দক্ষিণ ফটিকছড়িতে দুই দিনে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার ৩ জন

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

ফটিকছড়ি:

 

দক্ষিণ ফটিকছড়িতে দুই দিনে তিন মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ৩ জন, সোমবার ঈদুল আযহার দিনে এক পাগলা মহিষের আক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। একজন আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। পালিয়ে আসা একটি পাগলা মহিষ এই তাণ্ডব চালায়। এ সময় পাগলা মহিষটি ঘরে ঢুকে আক্রমণের পর  বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আজিম মুন্সির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই বৃদ্ধের নাম মো. মীর আহমেদ। তিনি ওই এলাকার মৃত হামিদ আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতিরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য নুরুল আলম।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই বিষয়ে বলেন, মহিষটি হঠাৎ আচমকা এসে আজিম মুন্সির বাড়ির একটা জরাজীর্ণ ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে যায়। ওই ঘরে সামনের রুমে থাকা বৃদ্ধ মীর আহমেদকে পায়। সেখানে মহিষটি তার পায়ে, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এরপর মহিষটি ওখান হতে পালিয়ে আরো ১ কিলোমিটার গিয়ে এক হিন্দু বাড়ির বসত ঘরে ঢুকে পরে এবং ক্লান্ত হয়ে ওখানে লুটিয়ে পরে। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে মহিষটিকে জবেহ করে দে। মহিষটির নির্দিষ্ট কোনো মালিকের খোঁজ পাওয়া গেছে কিনা জানা যায়নি।

এই দিকে দিন না পেরুতেই একই ইউনিয়নে ঘটে যায় আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। একই ইউনিয়ন  সমিতিরহাটে বি-দ্যুৎ পৃ-ষ্ঠ হয়ে সালাউদ্দিন তাসিন (১৭) নামে  এক স্কুল ছাত্রের মৃ*ত্যু হয়।
তার বাড়ি সমিতির হাট ৮নং ওয়ার্ডের রাজা মিয়া চৌধুরী বাড়ি,
প্রবাসী বাবুর বড় ছেলে, তাসিন সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এলাকাবাসী হতে জানা যায়  মৃত তাসিন চাচার নতুন বাড়ির উঠানে খেলার একপর্যায়ে নতুন ভবনের ছাদে বল পরে।
সেই  বলটি  আনতে গেলে ঘরের ছাদের উপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভো-ল্টেজের বিদ্যুতের লাইনের সাথে লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করেন।তার মৃত্যুতে এলাকায় ও পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এই বিষয়ে সমিতির হাটের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ইমন প্রবাসে অবস্থান করায় তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ না হলেও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দুটি বিষয়ে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আরেক দিকে ওপর এক ঘটনায় বখতপুর চারাবটতল গোলদার বাড়ি স্কুল সংলগ্ন গোলদার বাড়িতে ভোর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ টি বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সাথে সাথে ঘরের ভিতরে আটকা পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু হয়। আনোয়ার পাশা, মীর পাশা তাদের মায়ের মৃত্যুতে হতবিহ্বল হয়ে পরে। শত শত মানুষ তাদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে আসেন। এই অগ্নিকান্ডে তাদের দেখতে ছুটে আসেন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এই সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সকলের সাথে কথা বলেন এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে তিনি নগদ অর্থ প্রদান করেন। এছাড়া এই অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ছুটে আসেন নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী। তিনিও সকল ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া পুরো বসত ভিটা হেঁটে হেঁটে পরিদর্শন করেন। এই এম পি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে ছিলেন বখতপুরের চেয়ারম্যান ফারুকুল আজম বি এস সি। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আকতার নূপুর সহ আরো অনেক মহিলা নেত্রী।  এছাড়া ইউ পি সদস্য বৃন্দ, এলাকাবাসী সহ আরো অনেকে।
এইদিকে এলাকাবাসী সহ সকলে সাংসদ,উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সকল নেতৃবৃন্দের কাছে দাবী জানান আগামী অল্প দিনের মধ্যে যেন দক্ষিণ ফটিকছড়িতে একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সময় এলকাবাসী বলেন, যদি আজকে নিকটবর্তী একটি ফায়ার স্টেশন থাকত তাহলে হয়ত এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হতনা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম বন্দরে টানা ছুটিতে কনটেইনার খালাস নেমে এসেছে অর্ধেকে।

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে দৈনিক প্রায় পাঁচ হাজার কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস হয়। কিন্তুঈদুল আজহার টানা সরকারি ছুটির প্রভাবে সেটা অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। এতে বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে ও জেটিতে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেড়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকে জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বন্ধের মধ্যে যেভাবে জাহাজ ও কনটেইনার জটের আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে হয়নি।

এদিকে ছুটির প্রভাবে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি ও রফতানি কনটেইনার প্রবেশও কমে গেছে। বর্হিনোঙ্গরে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ জাহাজের জট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের অভ্যন্তরেও কনটেইনার জট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে) কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমাণ থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়।

ঈদের ছুটি শুরুর সপ্তাহখানেক আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। ২৭ মে পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার কনটেইনার বন্দরে ডেলিভারির জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। এ ছাড়া জেটিতে ভেড়ার জন্য জাহাজের অবস্থানকাল পাঁচ থেকে সাতদিনে গিয়ে ঠেকেছিল। তবে এনবিআরে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস ও ডেলিভারি ত্বরান্বিত করে। এতে ঈদুল আজহার আগে বন্দরের ভেতরে কনটেইনারের পরিমাণ ৩৬ হাজার টিইইউসে নেমে আসে। টানা বন্ধের কারণে গত এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের পরিমাণ আবারও ৪০ হাজার পেরিয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত কনটেইনার ডেলিভারিতে একটু সমস্যা ছিল। তবে আমরা স্মুথলি জাহাজ থেকে খালাস করে গেছি। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি অনেকটাই ডেভেলপ করেছে। বন্দরের অভ্যন্তরে ৪১ হাজার বা তার কিছু বেশি কনটেইনার আছে। আমাদের স্পেস এখনও পর্যাপ্ত আছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বর্হিনোঙ্গরে মাত্র ১১টি জাহাজ ওয়েটিংয়ে আছে। ছুটি শেষ হওয়ার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছুটিতে শ্রমিক সংকটে বন্দর কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তের সুফল আসেনি। কনটেইনার ডেলিভারি কমে যাওয়ায় জাহাজকে জেটিতে অতিরিক্ত একদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সূত্রমতে, ছুটি শুরুর দিন গত ৫ জুন বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪ হাজার ১২২ টিইইউস। এদিন জাহাজে রফতানি কনটেইনার তোলা হয়েছিল ৯ হাজার ৭২০ টিইইউস আর আমদানি কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল ৫ হাজার ৪১১ টিইইউস। কিন্তু ঈদুল আজহার আগের দিন ৬ জুন থেকে পরিস্থিতি পালটাতে থাকে। এদিন মাত্র ৫২১ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। ঈদের দিন ৭ জুন বিকেল ৪টা থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হলেও বন্দর থেকে কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। তবে কনটেইনার জাহাজ থেকে ডেলিভারি হয় ৩০৮ টিইইউস।ঈদের পরদিন ৮ জুনও কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। ৯ জুন ৪৩১ টিইইউস ডেলিভারি হয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার (১০ জুন) চলতি মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৭৫ টিইইউস কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস হয়, এর বিপরীতে ডেলিভারি হয় ১ হাজার ৩৮১ টিইইউস। Behind (১১ জুন) ডেলিভারি হয়েছে ১ হাজার ৭৮১ টিইইউস।

ঈদের ছুটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের পরিমাণও কমেছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন আমদানি কনটেইনার নামানো হয় ৫ হাজারের মতো। কিন্তু ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৪৪ টিইইউস এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার ৩১১ টিইইউস আমদানি কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ জুন) পর্যন্ত বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার ছিল ৩৮ হাজার ৫২ টিইইউস। বুধবার কনটেইনার ছিল ৪০ হাজার ৬৬১ টিইইউস।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ও চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক বলেন, কনটেইনার ডেলিভারি কম হচ্ছে। এতে অবশ্য আমরা খালাসে বেশি মনযোগ দিতে পারছি। এটা একটা পজেটিভ ইমপ্যাক্ট। ডেলিভারিও যে একেবারে সর্বনিম্নে নেমেছে এমন নয়। আমরা প্রথম দুই-তিনদিন বাদ দিলে গড়ে ১৩০০ করে কনটেইনার ডেলিভারি করছি। আমাদের ধারণক্ষমতা এখনও ভালো আছে।

তবে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডা’র তথ্য অনুযায়ী, ঈদের টানা ছুটিতে শ্রমিক সংকটের কারণে ৩০ শতাংশ রফতানি কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দরে পৌঁছানো যায়নি। ঈদের দিন এবং পরদিন ডিপো থেকে কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। এরপর গত চারদিনে সর্বোচ্চ ১৪৭টি ও সর্বনিম্ন ২০টি কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে ডিপো থেকে দুই হাজারের ওপর রফতানি কনটেইনার বন্দরে নিয়ে জাহাজে তোলা হয়।

এ অবস্থায় জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাসের সময় অতিরিক্ত লাগছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার বদলে জেটিতে জাহাজের গড় অবস্থানকাল অতিরিক্ত আরও ২৪ ঘণ্টায় গিয়ে ঠেকেছে। স্বাভাবিক সময়ে বর্হিনোঙ্গরে ২৫-২৬টি জাহাজ জেটিতে ভেড়ার জন্য অপেক্ষমাণ থাকে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সেটা ৫৩টি-তে পৌঁছে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দর ও ডিপো থেকে কনটেইনার ডেলিভারি অসম্ভব বেড়ে যাবে। যে চাপ তৈরি হবে, সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় হবে বন্দরের জন্য আসল চ্যালেঞ্জ। তখন ডিপো থেকে বন্দরে কনটেইনার পৌঁছানো নিয়ে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হবো বলে আশঙ্কা করছি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ আরো বলেন, বেসরকারি ডিপো থেকে আমরা ভালো রেসপন্স পেতে শুরু করেছি।

চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ২ জনের করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে নতুন করে দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নগরীর একটি বেসরকারি রোগ নিরুপণ কেন্দ্রে করা পরীক্ষায় দুইজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ হযেছে।
নতুন করে সংক্রমিত দুইজনই চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন দুইজনসহ চলতি বছরে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে।এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭ জন এবং শহরের বাইরের একজন আছেন।
এদিকে, দেশে করোনভাইরাসের সংক্রমণ যখন নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে, চট্টগ্রামের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ সেবা তখন বন্ধ।

স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ১৮টি আইসিইউ বেড থাকলেও এ হাসপাতালের সবগুলো ভেন্টিলেটর নষ্ট। সে কারণে গত এপ্রিল মাসের শুরু থেকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটি কার্যত বন্ধ রয়েছে।অথচ কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে এ হাসপাতালকেই ‘ডেডিকেটেড’ করা হয়েছে।অন্যদিকে, ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) পাঁচটি আইসিইউ শয্যা থাকলেও নেই ভেন্টিলেটর সুবিধা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ