আজঃ সোমবার ১৭ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে মশার উৎপাতে অতিষ্ট মানুষ পাঁচ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৬৯ জন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা জুড়েই মশার উৎপাতে বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে বর্ষার শুরুতেই মশার উৎপাত ফের বেড়েছে।
সিটি করপোরেশন মাঝে মাঝে মশা মারার নানা তোড়জোড় দেখালেও দিনশেষে সেগুলো অকার্যকর হয়েই থাকছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বর্ষা, এসেছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবের মৌসুম। এদিকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি থেকে মে) আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষা শুরু হলেও তাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ। কোরবানির ছুটির পর তারা মশা নিধনের বিশেষ কর্মসূচিতে নামবেন। তবে কবে নাগাদ সেই কার্যক্রম শুরু হবে, এর কোনো সদুত্তর নেই চসিকের কমকর্তাদের কাছে।
চসিকের কর্মকর্তাদের মতে, জুন থেকে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবের মৌসুম শুরু হলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গিয়ে সেটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই প্রবণতা বিবেচনায় রেখেই তারা মশা নিধনের জোরালো পদক্ষেপ নেবেন। তবে মশা নিধনের ওষুধ, লোকবলসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামের এবার কোনো ঘাটতি নেই বলে তারা দাবি করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এবারও মশার তীব্র উপদ্রবের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী। সিভিল সার্জনের কার্যালয় ডেঙ্গুর প্রভাব মোকাবিলায় এখনই মশা নিধনসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এখনো হাত গুটিয়ে আছে। মশা মারার কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো গতি নেই, রুটিন কাজেই তারা সীমাবদ্ধ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের কাছে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ছিল কোরবানি। আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। কোরবানির আগেই আমরা আগের জমে থাকা বর্জ্য অপসারণ করেছি। মশা নিধনের কাজের জন্য আমাদের যে লোকবল আছে, সেটাও আমরা বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহার করেছি। এবার আমরা বড় আঙ্গিকে মশা নিধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করব।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮২ জন। আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের তালিকাভুক্ত করে এ হিসাব দিয়েছিল সিভিল সার্জনের কার্যালয়। তবে যারা আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিয়েছিলেন, তারা তালিকাভুক্ত হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেত বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি থেকে মে) আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মুঈন মাশুক জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।
২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা। এতে বলা হয়, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের ৬৫ শতাংশ পুরুষ, প্রতি পাঁচজনে একজন শিশু। আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগই শহরে বাস করে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ২৭১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন পাঁচজন। ২০২২ সাল থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। ওই বছর চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর চিত্র ভয়ংকর আকার ধারণ করে। আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।
এ বছরও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী, যার প্রতিফলন দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর ফেসবুক পেজের যেকোনো পোস্টেই মশা মারার আকুতি জানান নেটিজেনরা।
নগরীর আসকারদিঘীর পাড়ের বাসিন্দা তানভীর ইলাহি বলেন, আমাদের বিল্ডিংয়ের সঙ্গে লাগোয়া নালায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে। দুই বছর ধরে সিডিএ বাঁধ দিয়ে রেখেছে। ময়লা-আর্বজনা জমে আছে। বারবার বলার পরও বাঁধ সরানো হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। সেই পানি বিভিন্ন গর্তে, বিল্ডিংয়ের কোণায় জমে থাকে। আবার সিটি করপোরেশন বলছে, জমে থাকা পানিতে মশা হবে। তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে এ দায় কার?
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, গত তিন বছরের মধ্যে গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারে আমাদের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে যায়। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে এ বছর কী পরিস্থিতি হবে, সেটা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তবে ভালো কিছু যে হবে না, সেটা সহজেই অনুমেয়।
নগরবাসীর অভিযোগ, কেবল ডেঙ্গুর প্রকোপ চরম আকার ধারণ করলেই সিটি করপোরেশন মশা নিধনের তোড়জোড় শুরু করে। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমলে তারা আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার মৌসুম চলে গেলে তখন মশার উপদ্রব বাড়লেও সিটি করপোরেশন লোক দেখানো কিছু কর্মসূচি ছাড়া আর কিছুই করে না। অথচ বছরজুড়ে মশা নিধনের কর্মসূচি চালু রাখলে নগরবাসী স্বস্তি পেত।
সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে মশা নিধনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেই কর্মসূচি বর্ষার আগ পর্যন্ত প্রতি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নিয়মিত করার কথা ছিল। কিন্তু ওষুধস্বল্পতা ও পরে এ খাতের কর্মীরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতির কাজে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় মশা নিধনের কার্যক্রম থমকে যায়।
এ অবস্থায় গত দুই মাসে চসিকের মশা নিধনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে। চসিকের কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নালা-নর্দমা আর ভবনের আশপাশে ওষুধ ছিটানো হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। রুটিন কাজের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। এতে মশার উপদ্রব সেভাবে কমছে না।
তবে এবার ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি গত বছরের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়ন্ত বা পূর্ণবয়স্ক মশা এবং লার্ভা নিধনের জন্য তিন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় লার্ভা মারার জন্য।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, চসিকের কাছে এ মুহুর্তে ২০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড ও তিন হাজার লিটার ফরমুলেশনবিহীন লার্ভিসাইড (লার্ভা মারার ওষুধ) মজুত আছে। ১৬ হাজার লিটার এলডিইউ (কালো তেল) মজুত আছে। এ ছাড়া ভেষজ ওষুধ ‘মসকুবার’ মজুত আছে ৮০০ লিটার। মশকনিধন কার্যক্রমে গতি আনতে ৬০টি ফগার মেশিন ও ১০০টি স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত।

উৎসবমুখর পরিবেশে নেত্রকোণা জেলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দিনভর ভোট শেষে সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার আমিনুল ইসলাম খান। কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে জাহিদ হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম

নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া যুগ্ম সম্পাদক পদে নাজমুশ শাহাদাৎ নাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. আনিসুর রহমান নির্বিাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন- খলিলুর রহমান শেখ ইকবাল, ভজন দাস, আবুল হোসেন তালুকদার ও শ্যামলেন্দু পাল। প্রেস ক্লাবের সংবিধান অনুযায়ী, মোট ১৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটিতে জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে সভাপতি হন। সেখানে

সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা পেশায় নেই এমন দুই ধরনের ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। সাংবাদিকদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ সুজাদুল ইসলাম ফারাস, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খান কবীর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া সাংবাদিকতা পেশায় নেই এমন ব্যক্তিদের জন্য কমিটিতে ছয়টি পদ নির্ধারিত রয়েছে। তারা সবাই বিনা

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- সহসভাপতি নূরুজ্জামান নূরু, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম রফিকুল ইসলাম খান আপেল, ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার আনিছুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওসমান গণি তালুকাদার এবং সদস্য পদে আব্দুর মান্নান তালুকদার ও আব্দুল ওয়াহেদ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা নাগাদ টানা ভোটগ্রহণ হয়েছে। ৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ৬২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

ময়মনসিংহের-ত্রিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ মার্চ) স্থানীয় এক অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা মুহা. মামনুর রশীদ সিদ্দিকী। এছাড়াও মুফতি গোলাম মাজেদ ইমামী, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুল করীম, ডি.এস ইব্রাহিম আহমদ, মনি রুজ্জামান তরফদার, এইচ এম হেলাল উদ্দিন,সভাপতিত্ব করেন ত্রিশাল উপজেলা সভাপতি মাওঃ ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ ও সঞ্চালনায় ত্রিশাল উপজেলা সেক্রেটারি ফসিউর রেজাসহ অন্যান্য আলেম ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

এ অনুষ্ঠানে, প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল “আদর্শ সমাজ গঠনে রমজানের ভূমিকা।” বক্তারা পবিত্র রমজান মাসের তাৎপর্য, আত্মশুদ্ধি, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনে সিয়ামের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, রমজানের শিক্ষাকে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে বাস্তবায়ন করা হলে সমাজে নৈতিকতা, পরোপকার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পাবে।

আলোচনা শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে উপস্থিত সবার জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর পূর্তিতে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নতুনভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধ জোরদারে তারা কাজ করে যাবেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ