আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

কক্সবাজার:

অপহৃত সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলো হতভাগা মা

আবু বক্কর সিদ্দিক বিশেষ প্রতিনিধি উখিয়া:

উখিয়া:

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ডের রুপপতি এলাকার আজগর আলী মার্কেটের পূর্ব পাশে নির্জন পাহাড়ে বসবাস করে এক রোহিঙ্গা নারী।জানা যায় গত ১৬ই জুন ২০২৪ ইংরেজি রোজ রবিবার প্রবাসী মোঃ ছিদ্দিকের পুত্র ইমামের ডইল আল করিম ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নেজাম উদ্দিন(১২) কে অপহরণ করে। অপহৃত নেজাম উদ্দিন এর মাতা সাবিনা ইয়াসমিন(৩৮) বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজির পর সে জানতে পারে যে, তার ছেলেকে তার প্রতিবেশি রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা(৪০) অপহরণ করছে।জানার পর গত ২০ই জুন ২০২৪ ইং রোজ রবিবার সকাল আনুমানিক ১১.০০টার সময় নেজাম উদ্দিন(১২) এর মা সাবিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গেলে ফাতেমা(৪০) এবং তার বাবা রোহিঙ্গা নুরুল হক(৬০), রোহিঙ্গা সাদেকা(১৯) ও তার সহযোগী আরও ৪/৫ জন নারী পুরুষ মিলে অপহৃত নেজাম উদ্দিন এর মা সাবিনা ইয়াসমিনকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করেন।এক পর্যায়ে সাবিনা ইয়াসমিন চিৎকার করলে তার চিৎকার শুনে ফাতেমার প্রতিবেশী আতিকুল্লাহ সহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।পরে ৯৯৯ এ কল করেন তারা। পরবর্তীতে পুলিশি সহায়তায় সাবিনা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার ছেলে নেজাম উদ্দিন(১২) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজ নেজাম উদ্দিন এর মা সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় রোহিঙ্গা নুরুল হক(৬০) ও রোহিঙ্গা ফাতেমা(৪০)রোহিঙ্গা সাদেকা(১৯)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আতিক উল্লাহ বলেন রোহিঙ্গা ফাতেমার বাড়িতে মহিলার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখি যে, একটা মহিলাকে হাত পা-বেঁধে মাঠিতে ফেলে তার বাবা, বোন ও ৪/৫ জন মিলে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতেছে।এ-সময় আমি তাঁকে উদ্ধার করতে চাইলে তখন তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। তখন আমি নিজেই আমার অন্য প্রতিবেশীদের ডাকি ও ৯৯৯ এ কল করি পুলিশের সহায়তায় ভিকটিম সাবিনাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি।

জালিয়া পালং ইউনিয়ন এর স্থানীয় রুপপতি এলাকার বাসিন্দা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আব্দুল হকের পুত্র লুৎফর রহমান জানান এই রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা(৪০) ও তার বাবা এবং আরও অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।শোনা যায় সে ও তার বাবা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিষিদ্ধ সংঘটন আল ইয়াকিনের সাথে যোগ স্বাজসে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যা স্থানীয়দের দৃষ্টিগোছর হলে সাধারণ মানুষদের অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়।তার বাড়ি গহীন পাহাড়ের মধ্যে হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি পড়েনি তার এসব কর্মকাণ্ডে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে এই রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা (৪০) তার স্বামীঃ মাহমুদুল হক মালয়েশিয়া প্রবাসী সে স্থানীয় ছেলে তাই সে এই এলাকায় সহজে চলাচল করে এবং তার কর্মকাণ্ডের প্রতি তেমন কেউ নজর দেয় না এই ঘটনার পর থেকে এক এক করে তার সব কর্মকাণ্ড বেরিয়ে আসছে, সে মানব পাচার,মাদক পাচার, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিষিদ্ধ সংঘঠন আল ইয়াকিন এর ইন্টারনাল সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

স্থানীয় জনসাধারণের দাবী আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সাথে অপহৃত শিশু নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে থানায় অস্ত্র লুটে জড়িত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার।

চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় সংঘটিত অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর পুলিশ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।

‘ব্লেড মাসুম’ দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জানিয়ে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদের নেতৃত্বে এসআই জসীম উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, তল্লাশিতে মাসুমের কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে

জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িচালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরনো মামলাও রয়েছে।

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জেলা জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জুলাই।

ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন মামলার ধার্য তারিখে অন্তবর্তী জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাদের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন।

ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের

আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্র্বতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ