আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম:

চন্দনাইশে উপজেলা পরিষদের সভা বর্জন করল স্হানীয় পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যান মেম্বাররা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চন্দনাইশ:

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন আহমেদ আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
দায়িত্বভার গ্রহণ পরবর্তী চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ১ম মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা ভিডিও কনফারেন্স রুমে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে শুরু হয়। তবে ১ম মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলার ২টি পৌরসভার মেয়র ও ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা কেউই উপস্থিত ছিলেননা। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভা মুলতবি করেন সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান।

১ম সমন্বয় সভায় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে কেউ উপস্থিত না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার জম্মদিয়েছে চন্দনাইশে। এদিকে দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি পৌর মেয়র,কোন ইউপি চেয়ারম্যানগনকে। তবে এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. কামেলা খানম রূপা, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জসিম উদ্দীন আহমদ চেয়ারমান নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসায় দেয়া বক্তব্যে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মেয়র,চেয়ারম্যান কেউ সৎ নয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে গরীব অসহায়দের জন্য ১৭ রকমের ভাতা আসে। উপকার ভোগীদের তা দেননা চেয়ারম্যানরা। তিনি আগামীতে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। ইউপি চেয়ারম্যানরা আরো জানান, আগামী মিটিংয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তার বক্তব্যের ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আগামী মিটিংও বর্জন করবেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, সভাপতি মহোদয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সভা আহবান করা হয়েছে। মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সভাপতিকে কোন সমস্যার কথা জানান নি। পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে ২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আমাকে ম্যাসেজে জানিয়েছিলেন। আর বাকীরা কেউ কিছুই জানান নি বলে জানিয়েছেন নিবার্হী অফিসার। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভার সভাপতি সভা মুলতবি ঘোষণা করেন।

এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমাকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সার্পোট দিয়েছেন। আমাদের সাথে সবার টেলিফোনে কথা হয়। আমি কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। আমি প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়। আমি মানুষকে সম্মান দিতে জানি। মেয়র ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত না থাকার বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তবে মানুষের ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে। পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়েই আমরা আগামীতে চন্দনাইশকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দীর্ঘ ১বছর ২ দিন পর মুক্তি পেলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর শাহ মিজান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক আমীর শাহ মু.মিজানুর রহমান সোমবার (০৩ মার্চ) সকালে কুমিল্লা কারাগার থে‌কে মু‌ক্তি পেয়েছেন।
বিষয়টি বিকেলে নিশ্চিত করেছেন দলটি উপজেলা কাশিনগর সেক্রেটারি মাওলানা শাহআলম ।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ০২ মার্চ আওয়ামী লীগের সাজানো আলোচিত বাসে আগুন দিয়ে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলার মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুধু তাই নয় ওনাকে ৬৯টি মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। শাহ মিজানকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী মোটরসাইকেল ও গাড়ীর শোভাযাত্রা করেছে।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে শাহ মিজানকে স্বাগত জানান জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা মহানগর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। সহকারী সেক্রেটারি হোসাইন আহম্মেদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহআলম। শাহ মিজানকে শত শত নেতাকর্মী মোটরসাইকেল ও গাড়ীর শোভাযাত্রা করে কাশিনগর বাজারে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সময় কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মহাসিন কবিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কাশিনগর ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণের সহসভাপতি হাজী আবুল কাশেম, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি ইয়াকুব আলী প্রমুখ।

কাশিনগর বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় শাহ মু.মিজানুর রহমান বলেন চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে হত্যার মামলার মিথ্যা অভিযোগে আমার তিন ভাইকে আসামি করা হয়েছে। আজ জালিমের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ভাইয়ের নেতৃত্ব নতুন করে সারা দেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রামকে জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

জীবন সংগ্রামের অবিচল যোদ্ধা: ৮০ বছরের বৃদ্ধ আবুল হাসেম এখনো চালাচ্ছেন রিকশা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চৌদ্দগ্রাম বাজারের এক চিরপরিচিত দৃশ্য—৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ রিকশাচালক আবুল হাসেম। প্রচণ্ড রোদ, শীত, বৃষ্টি—কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। রমজানের রোজা রেখে, মাথার ওপর প্রখর সূর্য, তারপরও রিকশা চালিয়ে জীবিকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

পৌরসভার গোমারবাড়ির বাসিন্দা আবুল হাসেম ছয় সন্তানের জনক। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজ তিনি ও তার স্ত্রী একা। চার মেয়ে বিয়ে করে স্বামীর সংসারে, আর দুই ছেলে—আরচ মিয়া ও আবু তাহের—নিজেদের পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন। অথচ বৃদ্ধ মা-বাবার খোঁজ নেওয়ার সময় তাদের নেই।

কেন এত বৃদ্ধ বয়সেও রিকশা চালাচ্ছেন? জানতে চাইলে আবুল হাসেম বলেন,
“আমার আর আমার স্ত্রীর খাবার, ওষুধসহ সব খরচ আমাকেই চালাতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়, যা দিয়ে আমাদের সংসার মোটামুটি চলে। সন্তানেরা কেউ খোঁজ নেয় না। তাই বাধ্য হয়েই রিকশা চালাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকি, চাই না কারও কাছে হাত পাততে বা ভিক্ষা করে খেতে। আল্লাহর কাছে শুধু এই দোয়া করি, যেন নিজের পরিশ্রমেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলতে পারি।”

একসময় সংসার ও সন্তানদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা এই মানুষটিকে আজ তার নিজের রোজগারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। সমাজের প্রতিটি মানুষেরই উচিত তার মতো প্রবীণদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, তাদের দেখভালের দায়িত্ব নেওয়া। কারণ, আজকের তরুণরাও একদিন বৃদ্ধ হবে, আর তখন সমাজ যেমন ব্যবহার করবে, সেটাই তাদের প্রাপ্য হয়ে উঠবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ