আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রাম:

চন্দনাইশে উপজেলা পরিষদের সভা বর্জন করল স্হানীয় পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যান মেম্বাররা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চন্দনাইশ:

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন আহমেদ আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
দায়িত্বভার গ্রহণ পরবর্তী চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ১ম মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা ভিডিও কনফারেন্স রুমে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে শুরু হয়। তবে ১ম মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলার ২টি পৌরসভার মেয়র ও ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা কেউই উপস্থিত ছিলেননা। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভা মুলতবি করেন সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান।

১ম সমন্বয় সভায় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে কেউ উপস্থিত না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার জম্মদিয়েছে চন্দনাইশে। এদিকে দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি পৌর মেয়র,কোন ইউপি চেয়ারম্যানগনকে। তবে এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. কামেলা খানম রূপা, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জসিম উদ্দীন আহমদ চেয়ারমান নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসায় দেয়া বক্তব্যে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মেয়র,চেয়ারম্যান কেউ সৎ নয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে গরীব অসহায়দের জন্য ১৭ রকমের ভাতা আসে। উপকার ভোগীদের তা দেননা চেয়ারম্যানরা। তিনি আগামীতে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। ইউপি চেয়ারম্যানরা আরো জানান, আগামী মিটিংয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তার বক্তব্যের ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আগামী মিটিংও বর্জন করবেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, সভাপতি মহোদয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সভা আহবান করা হয়েছে। মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সভাপতিকে কোন সমস্যার কথা জানান নি। পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে ২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আমাকে ম্যাসেজে জানিয়েছিলেন। আর বাকীরা কেউ কিছুই জানান নি বলে জানিয়েছেন নিবার্হী অফিসার। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভার সভাপতি সভা মুলতবি ঘোষণা করেন।

এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমাকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সার্পোট দিয়েছেন। আমাদের সাথে সবার টেলিফোনে কথা হয়। আমি কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। আমি প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়। আমি মানুষকে সম্মান দিতে জানি। মেয়র ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত না থাকার বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তবে মানুষের ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে। পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়েই আমরা আগামীতে চন্দনাইশকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন পরিবর্তন করতে হবে:ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে বিশ্বমানের স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডায়াগনস্টিক ল্যাবের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমি লন্ডনে দেখেছি, ডাক্তার রোগীর সব কিছু দেখার ও শোনার পরও জিজ্ঞেস করে, ‘আর কোনো কথা আছে কি?’ কিন্তু আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট মাত্র ২-৩ শতাংশ। যে দেশে ২-৩শতাংশ বাজেট দেওয়া হয়, সেখানে হাসপাতালগুলোতে ফ্লোরে রোগী শোয়াবে না, এটি আশা করা যায় না। বড় ধরনের কোনো হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত বেড থাকার প্রয়োজন ছিল। গলদ তো গোড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে ৮ শতাংশ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বাজেট থাকে। যদি ৮ শতাংশ বাজেট থাকতো, তাহলে সরকারি সেক্টরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালে উন্নতমানের ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটছে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি। একটি ওষুধ দিলে রোগী কেন ভালো হচ্ছে না, সেটি আমরা তদন্ত করছি না। আমরা হয়ত ৩০ শতাংশ চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগী বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের যে পরিমাণ রোগী রয়েছে, তাদের জন্য ৫০০ বেডের আরও হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব।

পাটজাত ব্যাগ পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে:মেয়র শাহাদাত

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পাটজাত ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ও অপচনশীল পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে। শুক্রবার নগরের ষোলশহরের রাষ্ট্রায়ত্ত আমিন জুট মিলসের বন্ধ কারখানা পরিদর্শনকালে মেয়র এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মেয়র আমিন জুট মিলস পুনরায় চালু করা হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করেন।

মেয়র জানান, আমিন জুট মিলস লিমিটেড চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে ২৬টি মিলের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০টি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান পাটকল।পাটকলে পৌঁছালে মেয়রকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আমিন জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান

এএইচএম কামরুল হাসান, নিরাপত্তা বিভাগীয় প্রধান আবদুল্লা আল মামুন ভূঁইয়া এবং শ্রম বিভাগীয় প্রধান মীর্জা কাইয়ুম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া ,ফখরুল ইসলাম শাহীন, আকবর হোসেন মানিক, মো. আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ