আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মতবিনিময় সভায় নতুন উপাচার্য ‘সিআইইউ হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

উচ্চশিক্ষার প্রসারে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিকে (সিআইইউ) ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) পদে সদ্য যোগ দেওয়া অধ্যাপক ড. এম এম নুরুল আবসার। সম্প্রতি নগরের জামাল খান ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিআইইউর শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই কথা জানান তিনি। এ সময় উপাচার্য তার শিক্ষকতা জীবন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণপদে ২৫ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরেন সবার কাছে।
তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেখানে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকে। সিআইইউ তেমন-ই একটি প্রতিষ্ঠান, যার ভেতর রয়েছে অনেক দক্ষ গবেষক, শিক্ষক এবং উদ্যোগী ব্যক্তিরা। যাদের নিরলস পরিশ্রমে এই বিশ^বিদ্যালয় উচচশিক্ষায় দেশ-বিদেশে আরও সুনাম কুড়িয়ে আনবে বলে আমার বিশ^াস।
সিআইইউর রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমেদ চৌধুরী, তিন অনুষদের ডিন- অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের, সার্মেন রড্রিক্স এবং নাজনীন আকতার, ইংরেজি অনুষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর বিন সরোয়ার, বিজনেস অনুষদের উপদেষ্টা ড. আইয়ুব ইসলাম, স্কুল অব ল অনুষদের উপদেষ্টা সিফাত শারমীন, সিআইইউর ফ্যাকাল্টি মেম্বার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রূপগঞ্জে সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়-কর্ণগোপ সড়কের শাখা রাস্তা বরপা-শান্তিনগর সড়কের নোয়াগাঁও এতিমখানা মোড় এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তারাবো পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে মোস্তফা মিয়া ওই রাস্তার মাটি কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এখনই রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করতে না পারলে পরবর্তীতে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে পড়বে। রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার কাজ এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ায় মোস্তফা মিয়া ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। রূপগঞ্জ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামকে জানিয়েও এলাকাবাসী কোন সুফল পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মোস্তফা মিয়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তার রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি হলেও এর প্রতিকার কেউ করতে পারছে না।

জানা গেছে, ১৯৯২সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভূমি হুকুম দখল করে এসএসআইসি-৮ প্রকল্পের আওতায় এখানে ৩০ফুট প্রস্থে সেচ খাল ও ১০ফুট প্রস্থে রাস্তা নির্মাণ করে। পরে তারাবো পৌরসভা এ রাস্তাটিকে ইটের সলিংয়ে উন্নীত করে। এলাকাবাসী যখন রাস্তাটিকে প্রসস্ত ও পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে, ঠিক তখনই স্থানীয় প্রভাবশালী ও আওয়ামীলীগ সমর্থক মোস্তাফা মিয়া ভূমি হুকুম দখলকৃত সেচ খাল ভরাট করে রাস্তাটি দখলে নিয়ে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাফা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাাইফুল ইসলাম বলেন, সেচ খালের জমি ও রাস্তা দখলকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। বেদখলকৃত সকল সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

রাবিতে ৪ হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়া গোপ মডেল স্কুল’ নাম দেন তাঁরা।

এর আগে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যান। পরে তাঁরা হলটির নামফলক, উদ্বোধনী ফলকসহ শেখ মুজিবের চিহ্ন–সংবলিত স্থাপনাগুলো রড, হাতুড়ি ও কোদাল দিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় তাঁরা হলটির নতুন নাম ‘বিজয় ২৪’ ঘোষণা করে রং দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নাম লিখে দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নামফলক পরিবর্তনের সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দিকে স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাইরে থেকেও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হলে অবস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রীরা হল ফটকে টাঙানো নতুন নাম ফলকের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

হলের ভেতর থেকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হলের নাম পরিবর্তন আমরা করব। বাইরে থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে কেন সেটি করবে? যেহেতু আগে থেকে ব্যানার নিয়ে আসা হয়েছে, এর মানে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এ বিষয়ে আমাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তন করেছেন। তবে এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও অংশীজনদের আলোচনার মাধ্যমেই করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ