
বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় এক কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিল বকেয়া থানার অভিযোগে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে চমেক হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় চমেকের প্রায়ই ক্লাস রুম ফাঁকা। নিচ তলায় প্যাথলজি ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। শিক্ষার্থী না থাকায় অনেক শিক্ষককে ক্লাসরুমে একা বসে থাকতে দেখা গেছে।কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলবেন না বলে জানান।
চমেকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ রহমান বলেন, আমাদের ল্যাবের কাজ ছিল সকাল থেকে। বিদ্যুৎ না থাকায় সব কাজ বন্ধ। কয়েকটা ক্লাস হলেও অতিরিক্ত গরমে সেগুলোও এখন বন্ধ আছে বলে শুনেছি। দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মুনতাসির হক বলেন, সকালে ক্লাস করতে এসেছিলাম। এসে দেখি বিদ্যুৎ নেই। অনেকেই চলে গেছে। শিক্ষকরাও বলতে পারছে না বিদ্যুৎ আর আসবে কি না। আমাদের একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য আমরা কয়েকজন অপেক্ষা করছি।
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, তাদের কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবুও উনারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি। আমরা শুধু একাডেমিক ভবনের বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। ছাত্রাবাসে বিদ্যুৎ আছে।
জানতে চাইলে চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, আমাদের কিছু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল, যার কারণে বিদ্যুৎ অফিস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমরা তাদের চিঠি দিচ্ছি যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রণালয়েও আমরা চিঠি দিয়েছি। বকেয়া বিলের পরিমাণ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মূল বকেয়া বিল ৭১ লাখ টাকা। বিভিন্ন চার্জ মিলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বকেয়া আছে।