আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

নগরে ভূ-গর্ভস্থ বর্জ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে এক মাসের মধ্যে দরপত্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরে নির্মাণ হচ্ছে ভূ–গর্ভস্থ বর্জ্য সংরক্ষণাগার। আগামী এক মাসের মধ্যে দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে ভূ–গর্ভস্থ বর্জ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে ছয়টি স্থান চূড়ান্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।স্থানগুলো হলো মহাজন ঘাটা, জিএম গেইট, নয়া বাজার মোড়, আলমাস মোড় এবং ২ নম্বর গেইট। এছাড়া জিইসি কনভেনশন হলের পেছনে অথবা নূর আহমদ সড়কে বিএনপির অফিসের সামনে বর্তমানে যেখানে ময়লা সংরক্ষণ করা হয় তার কোনো একটিতে এই এসটিএস নির্মাণ করা হবে। এদিকে ছযটি স্থান চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে দরপত্র আহবান করা হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ফিনল্যান্ডের হাবা গ্রুপ গত বছরের আগস্ট মাসে চসিককে ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস সরবরাহের প্রস্তাব দেয়। এরপর নভেম্বর মাসে ‘হাবা–আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়েস্ট স্টোরেজ সিস্টেম’ এর আমন্ত্রণে ফিনল্যান্ড সফর করেন মেয়র। সেখানে তিনি ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস পরিদর্শন করে এর নানা দিক খতিয়ে দেখেন। জানা গেছে, বাসা-বাাড়ি বা উৎস থেকে সংগৃহীত বর্জ্য এসটিএস এ নিয়ে আসে চসিক। এরপর এসটিএস থেকে ডাম্প ট্রাকে করে হালিশহরের আনন্দবাজার ও আরেফিন নগরে অবস্থিত ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের এফআইডিসি রোড, লালখান বাজার ওয়ার্ডের টাইগারপাস, পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের বরিশাল কলোনি, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সাগরিকা, হালিশহর মুনিরনগর ওয়ার্ডের পোর্ট কানেকটিং রোডের পোর্ট মার্কেট, দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বিমানবন্দর সড়কের বিজয় নগর বা ১৫ নম্বর এলাকায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৬টি এবং চান্দগাঁও এক কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নিচে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটি এসটিএস আছে।
জাইকার তথ্য অনুযায়ী, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে দৈনিক ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন মেডিকেল বর্জ্য। উৎপাদিত বর্জ্যের মধ্যে কর্পোরেশন সংগ্রহ করে দুই হাজার টন। বাকি বর্জ্য নালা–নর্দমা, খাণ-বিল, নদী ও উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকে। এছাড়া ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্জ্য নিয়ে সমীক্ষায় চালায় ‘জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ এবং ‘ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’। এতে বলা হয় নগরে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ১০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। যার ৬৮ শতাংশই খাদ্য সংশ্লিষ্ট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস যখন ৮০ শতাংশ পূর্ণ হবে তখন অটো নোটিফিকেশন (স্বয়ংক্রিয় বার্তা) আসবে। তাছাড়া হাইড্রোলিক প্রেসারের মাধ্যমে ময়লাকে সংকোচন করে অর্ধেক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ১০ টন ময়লা ফেললে সংরক্ষণ করলে তা ৫ টন হয়ে যাবে। এতে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে। একইসঙ্গে এসটিএস থেকে ল্যান্ডফিলে নেয়ার ক্ষেত্রে চসিকের ময়লা পরিবহন খরচও কমে আসবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব সহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনায় কেন্দ্র সচিব, হল সুপার ও পর্যবেক্ষক শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ।

বুধবার (২৩-এপ্রিল) এসএসসি পরীক্ষার ভোকেশনাল আই সি টি পরিক্ষা চলাকালে অনিয়মের ঘটনায় গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব সিরাজুল ইসলাম, ওই কেন্দ্রের হল সুপার হুমায়ুন কবির ও গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক

কামরুল ইসলামকে অনিয়মের ঘটনায় ওই তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের আইসিটি পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন আইসিটি বিভাগের শিক্ষক। তার অনিয়ম ধরা পড়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি সরোজমিনে শনাক্ত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।ওই কেন্দ্রে নতুন কেন্দ্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন খালপাড় পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও হল সুপারের

দায়িত্ব পেলেন আড়াইগঞ্জ আজিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নাঈম ও গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব, হল সুপার, একজন পর্যবেক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসে’র মৃত্যুতে সূর্যগিরি আশ্রমের শোক প্রকাশ।

খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, মানবতাবাদী মহাজ্ঞানী ব্যক্তিত্ব ক্যাথলিক ধর্মগুলো পোপ ফ্রান্সিসে’র মৃত্যুতে ফটিকছড়ি হাইদচকিয়ার সূর্যগিরি আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে পণ্ডিত ড. তরুণ কুমার আচার্য, অর্চ্চনা রানী আচার্য, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য, বিপ্লব চৌধুরী কাঞ্চন, টিটু চৌধুরী, ধীমান দাশ, সমীর কান্তি দাশ, সমীর পাল, অভিবসু মল্লিক গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনপূর্বক শোক প্রকাশ করেন। পৃথিবীর সকল

মানুষের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় এই মানবতাবাদী মহাপুরুষ সবসময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন। তার মহাপ্রয়াণে বিশ্ব একজন উদার অসম্প্রদায়িক মানবতাবাদী ধর্মগুলোকে হারিয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সূর্যগিরি আশ্রমের সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে তার আত্মার সৎগতি কামনা করেছেন। আমরা পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে কাদে কাদ মিলিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সকলের কল্যাণ কামনা করছি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ