আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

জাতীয়:

বেনজীরের ৭টি অবৈধ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক

ঢাকা অফিস:

ঢাকা:

দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ৭টি অবৈধ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক পাঁচটি পাসপোর্টের নম্বর প্রকাশ করেছে। পাসপোর্টের নম্বরগুলো হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও AND800002095। এর বাইরে আরও দুটি পাসপোর্টের সন্ধান সংস্থাটির কাছে রয়েছে এবং এগুলোর বিষয়ে আরো খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এতথ্য জানা যায়।

এর আগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র‍্যাব সদর দফতরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাঁটিয়ে ব্যবস্থা করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা।

এছাড়া সাবেক এই আইজিপির পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক থেকে দুই দফা তলব করা হলেও তারা সংস্থাটির ডাকে হাজির হননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ওইদিন দুদকে হাজিন হননি। পরে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে ১৬ দিনের সময় দিয়ে রোববার ডাকা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে গত ২২ এপ্রিল। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তলবি নোটিশ পাঠায় হয় গত ২৮ মে। এর আগে গত ৪ মে তিনি সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিস্তারিত তদন্ত করেছে। এরপরই গণমাধ্যমে তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের খবর প্রকাশ পায়।

গত ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানি ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের ওই আদেশ দিয়েছেন। ওই দুইদিনে বেনজীর ও তার পরিবারের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন।

চট্টগ্রামে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, নগরীর জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বিগত ১৬ বছর বন্ধ ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর জাদুঘরের যে বাজেট ছিল তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেহেতু জিয়া জাদুঘর, তাই এ জাদুঘরে

জিয়াউর রহমানের পুরো জীবনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি জাদুঘরের বিষয়ে সুন্দর করে জানানোর জন্য কিউরেটর নিয়োগ করা দরকার। আজ ১৯ মে সোমবার বেলা ১২টায় নগরীর জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার। যার মাধ্যমে সারা বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলা একটি শতবর্ষী আয়োজন। এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে। আগামী বছর থেকে জব্বারের বলী খেলা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

জব্বারের বলি খেলা ও নৌকা বাইচও যুক্ত হবে ক্যালেন্ডারে। বলি খেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে। আমরা বলীখেলা উদযাপন কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে নৌকা বাইচও যুক্ত হবে ক্যালেন্ডারে। তিনি পহেলা বৈশাখেও নৌকা বাইচের আয়োজন করতে কমিটিকে আহ্বান জানান। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার। যার মাধ্যমে সারা বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এর আগে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসটি তিনি লিখেন-‘আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাবো। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিলো।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাতো অনেক আগেই ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে। এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরো সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো ।

পতেঙ্গায় ধর্ষন মামলার আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ধর্ষণ মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই আসামী হলেন, মো. আনিসুল ইসলাম রিকনকে (২৮)। আনিসুল ইসলাম রিকন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সিকদার বাড়ির মো. ছাবেরের ছেলে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা থানাধীন বিজয়নগর এলাকা থেকে খুলশী থানার ধর্ষণ মামলার আসামি আনিসুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ