আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক

সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জেলার সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পাদন করতে গিয়ে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। সরকারের যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেগুলো আন্তরিকতার সাথে দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের কোন কাজে অবহেলা করা যাবে না। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অভিনন্দন জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং ও তাদেরকে জনগণের জন্য কাজ করার তাগিদ দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সারা বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলার প্রথম স্থান অর্জন করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিসি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.এন.এম ওয়াসিম ফিরোজ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), আবুল কাশেম চিশতী (রাঙ্গুনিয়া), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), মোঃ জাহেদুল হক (বোয়ালখালী), মোঃ এনায়েত হোসেন (মিরসরাই), মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরী (সীতাকুন্ড), এসএম আনোয়ার হোসেন (সন্ধীপ), ইউনুস গণি চৌধুরী (হাটহাজারী), মোঃ নাজিম উদ্দিন মুহুরী (ফটিকছড়ি), জসিম উদ্দিন আহমেদ (চন্দনাইশ), কাজী মোজাম্মেল হক (আনোয়ারা), উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলাম (সীতাকুন্ড), এবিএম মশিউজ্জামান (হাটহাজারী), মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ফটিকছড়ি), অংগ্যজাই মারমা (রাউজান), মোঃ রায়হান মেহেবুব (রাঙ্গুনিয়া), ইমরান হোসাইন সজীব (বোয়ালখালী), মিল্টন বিশ্বাস (সাতকানিয়া), মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁঞা (পটিয়া), মিল্টন বিশ্বাস (চন্দনাইশ), মুঃ ইনামুল হাছান (লোহাগাড়া), মাসুমা জান্নাত (কর্ণফুলী), মোঃ ইশতিয়াক ইমন (আনোয়ারা), জেসমিন আক্তার (বাঁশখালী), পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ (রাউজান), বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম (সীতাকুন্ড), মুঃ মাহাবুবুল আলম (চন্দনাইশ), মোহাং জহুরুল ইসলাম (বোয়ালখালী), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই) প্রমূখ। জেলার সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ