আজঃ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রাম হচ্ছে সংস্কৃতির লালন ক্ষেত্র

বিনোদন প্রতিবেদক:

oppo_2

চট্টগ্রাম সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় রেখেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পিয়ারুল ইসলাম বলেছেন -চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার।ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ৬ দফা ও ১১ দফা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ৭১এর পরাজিত শক্তি স্বরযন্ত্র করে। এবং দুষ্কৃতকারীদের মদদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
১৯৭৫ সালে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে দেয়। বাংলাদেশ চলতে থাকে পরাজিত শক্তির মদদে। তারপর সকল স্বরযন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আন্দোলন সংগ্রান করে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। একারণে আমাকে মামলা ক্ষেতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে।
তিনি গতকাল চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারী হলে ওস্তাদ মোহন লাল দাস এর ৯৮ তম জন্মজয়ন্তী
উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।স্বপন কুমার দাস এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন -প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাহফুজুল হক, বিশেষ আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী, বিশেষ অতিথি ডাক্তার মইনুদ্দিন এম ইলিয়াস -মা ও শিশু এবং জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব প্রমূখ।
তিনি আর বলেন – অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। সকল সংগঠনগুলোর জন্যে আমি কিছু কাজ করতে চাই। ওস্তাদ মোহনলাল দাস এরকম বড় মাপের ব্যক্তিত্ব, তা আমার জানা ছিল না। আমি আসাদ মোহনলাল দাস এর জন্য ফটিকছড়িতে কিছু করতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন -বর্তমানে একটি ৪৬ কোটি টাকার ব্রিজের কাজ

চলমান রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি ব্রিজের নাম অথবা ফটিকছড়ির যেকোনো একটি স্থাপনা ওস্তাদ মোহন লাল দাসের নামে নামকরনের। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য আমার প্রচেষ্টা অবরোধ থাকবে। চট্টগ্রাম হচ্ছে সংস্কৃতি লালন ক্ষেত্র।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি দাস ও তার পুত্র স্বপন কুমার দাস এর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সাজানো হয়। শেষে একটি মনগ্রজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। অতিথিবৃন্দ সমগ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চসিক মেয়র শাহাদাত পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখা থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা প্রদান সংক্রান্ত ডি.ও পত্রটি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো (কপি সংযুক্ত)। বর্ণিত ডি.ও পত্রের বিষয়ে সদয় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। পরে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা কারচুপি করেছিলেন।
মামলার এজাহারে শাহাদাত অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী

ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেন।রায় ঘোষণার সাতদিন পর ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ নভেম্বর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শাহাদাত হোসেন।

এর আগে চসিকের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে প্রথম মেয়র হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মেয়র ছিলেন বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনিও প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। ১৯৯৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা তিন দফায় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে প্রয়াত মেয়র এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী একবার প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।

এরপর ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির মোহাম্মদ মনজুর আলম এবং ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন। এদের কাউকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আদালতের রায়ে ২০২১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। ওই বছরের ৫ নভেম্বর থেকে তিনি চসিকের দায়িত্ব নেন।

চট্টগ্রামে জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে নাবিক নিখোঁজ।

লুসাই কন্যা কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে এক নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। খবর পেয়ে তার সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলাচ্ছে নৌ-পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুলাল মিয়া নামে ওই নাবিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নগরের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এক নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দুলাল মিয়া নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার আবদুর রবের ছেলে। মাছ ধরার জাহাজ এফভি পারটেক্স -১ এ কর্মরত ছিলেন তিনি।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত দুই জাহাজের ফাঁকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যান ফিশ মাস্টার দুলাল মিয়া। রাতে খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আজ দুপুর পর্যন্ত ওই নাবিকের সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ