
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক, কলামিষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিয়ের স্বাক্ষী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টজন মিয়া ফারুকীর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ১ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফারুকী পাড়ায় কবরে পুস্পস্তবক অর্পক, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, মিয়া ফারুকী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টজন ছিলেন বলেই ৭৪ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরর নিযুক্ত হন মিয়া ফারুকী। শুধু তাই নয় আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠানে মিয়া ফারুকী নিজেই স্বাক্ষী দেন। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বীরমুক্তিযোদ্ধা মিয়া ফারুকী সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে লেখা লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লেখক মিয়া ফারুকীকে ব্যক্তি হিসেবে নয়, সহজে মানুষ চিনতো তাঁর লেখা পত্রিকার অগনিত কালো অক্ষরের মাধ্যমে। যে সব অক্ষরে ওঠে আসতো সমাজের নানা প্রকারের অসঙ্গতির বার্তা। ওই সব বার্তাতে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজতে কোন অসুবিধা হতো না। আদর্শ ব্যক্তিত্ব ফারুকীর কলম সব সময় সোচ্চার থেকেছে যে কোনো অন্যায়-অসঙ্গতির বিরুদ্ধে। মিয়া ফারুকী সাড়ে চার হাজারের উপরে লেখা (সংরক্ষণ রয়েছে-পারিবারিক সূত্র) স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছিল।
দীর্ঘদিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে প্রবল এক অভিমান নিয়ে অবশেষে ২০১৬ সালের ১ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর জি ই সি মোড়স্থ মেট্টোপলিটন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।