আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্টান সম্পন্ন

চট্টগ্রাম হচ্ছে সংস্কৃতির লালন ক্ষেত্র

ওস্তাদ মোহন লাল দাস এর ৯৮ তম জন্ম -জয়ন্তী

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পিয়ারুল ইসলাম বলেছেন -চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার।ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ৬ দফা ও ১১ দফা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ৭১এর পরাজিত শক্তি স্বরযন্ত্র করে। এবং দুষ্কৃতকারীদের মদদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
১৯৭৫ সালে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে দেয়। বাংলাদেশ চলতে থাকে পরাজিত শক্তির মদদে। তারপর সকল স্বরযন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আন্দোলন সংগ্রান করে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। একারণে
আমাকে মামলা ক্ষেতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে।
তিনি গতকাল চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারী হলে ওস্তাদ মোহন লাল দাস এর ৯৮ তম জন্মজয়ন্তী
উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।স্বপন কুমার দাস এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন -প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাহফুজুল হক, বিশেষ আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী, বিশেষ অতিথি ডাক্তার মইনুদ্দিন এম ইলিয়াস -মা ও শিশু এবং জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব প্রমূখ।

তিনি আর বলেন – অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। সকল সংগঠনগুলোর জন্যে আমি কিছু কাজ করতে চাই। ওস্তাদ মোহনলাল দাস এরকম বড় মাপের ব্যক্তিত্ব, তা আমার জানা ছিল না। আমি আসাদ মোহনলাল দাস এর জন্য ফটিকছড়িতে কিছু করতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন -বর্তমানে একটি ৪৬ কোটি টাকার ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি ব্রিজের নাম অথবা ফটিকছড়ির যেকোনো একটি স্থাপনা ওস্তাদ মোহন লাল দাসের নামে নামকরনের। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য আমার প্রচেষ্টা অবরোধ থাকবে। চট্টগ্রাম হচ্ছে সংস্কৃতি লালন ক্ষেত্র।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি দাস ও তার পুত্র স্বপন কুমার দাস এর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সাজানো হয়। শেষে একটি মনগ্রজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। অতিথিবৃন্দ সমগ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
শিল্পী আব্দুর রহিম, মরণে শিল্পী শিমুল শীল, পুরানা কন্ঠে সুবর্না রহমান, জনপ্রিয় শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, সংগীত প্রযোজক ও পরিচালক -শিল্পী অভিষেক দাস, চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ শিল্পী বাউল জুয়েল দ্বীপ, বাউল লিটন নন্দী, চন্দ্রনাথ গোসাই, শিল্পী অনামিকা তালুকদার, বাউল মুজাহের, শিল্পী শামসুল হায়দার তুষার, শিল্পী নিগার সুলতানা নিহা, তৌহিদুল ইসলাম, আনন্দ প্রকৃতি ও তার দল, শিশু শিল্পী -সমৃদ্ধি বাচিক শিল্পী ছিলেন -কমিশন পান্থ (ত্রি তরঙ্গ) কবি ও সাংবাদিক ফারুক তাহের, মইনুদ্দিন এম ইলিয়াস প্রমূখ।
প্রথমদিন ওস্তাদ মহানলাল দাস এর সুযোগ্য সন্তান কবি ও সাহিত্য বিশারদ ওস্তাদ স্বপন কুমার দাসের সভাপতিত্বে নাসরিন ইসলামের সঞ্চালনায় ২৮ জুন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত গুরু ওস্তাদ মোহহলাল দাসের ৯৮ তম জন্মজয়ন্তী চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারি হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরে আলম নিজামী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক ও যুগ্ম সচিব -পীযূষ দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামেস্ট কিরন শর্মা।আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রুপম ভট্টাচার্য্য,সাংবাদিক আহমদ আলী। শেষে ওস্তাদ মহলাল দাস এর তার সুযোগ্য উত্তরসূরী স্বপন কুমার দাসের গান ও সৌর কবিতা নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরেণ্য শিল্পীগণ এবং বাচিক শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ