আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামে আবারও ডিও চক্রের কারসাজি এলাচের কেজি ৩৬শ’ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সপ্তাহ খানেক আগেও ২৯শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল মসলাজাত পণ্যটি।তবে আবারও ডিও চক্রের কারসাজিতে সপ্তাহেরও কম সময়ে এলাচের দাম বেড়ে গেছে ৫-৬শ টাকা পর্যন্ত।ডিও (সরবরাহ আদেশ) চক্রে চার হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া এলাচের দাম প্রায় হাজার টাকা কমে যায় কোরবানির ঈদের পর। কিন্তু গতকাল খাতুনগঞ্জে ৩৫শ থেকে ৩৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
হঠাৎ এলাচের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, এলাচের দাম হাজারের মত কমেছিল, এখন সেটা ৩৫শ থেকে ৩৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এটা মূলত সোনা মিয়া মার্কেট থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, এর পেছনে রয়েছেন ডিও ব্যবসায়ীরা। চক্রে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। তবে মূলে আছে একাধিক শীর্ষ ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পায় ডিও বেচাকেনা। বাড়তি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা এলাচসহ নানা মসলাজাত পণ্য মজুত করতে শুরু করেন। এতে চার হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায় এলাচের দাম। সেসময় ৪ হাজার ৫০ থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
ডিও চক্রে এলাচের দাম বাড়লেও প্রকৃত দামেই পণ্যটি বিক্রির কথা বলছেন খাতুনগঞ্জে এলাচের অন্যতম বড় আমদানিকারক ও বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি অমর কান্তি বণিক। তিনি বলেন, দাম বাড়ছে সোনা মিয়া মার্কেট থেকে, সেখানে খোঁজ নিলে আসল কারণ জানা যাবে। এখন কেউ ৩৭শ বলতেছে, কেউ ৩৮শ, তবে আমি সেসবে মাথা দিচ্ছি না। আমি সেসব কেনাবেচা বন্ধ রাখছি। আমার কাছে যা আছে, আমি ২৮শ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি।
এই বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, চাহিদা নেই, দাম বাড়ার কোনো কারণও নেই। কিন্তু ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীরা মর্জিমাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন। অনেকে নানা আইন-কানুনের কথা বলেন, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে কারও তদারকি নেই।
গেল সপ্তাহের শুরুতে খাতুনগঞ্জে সবচেয়ে ভালো মানের এলাচ ২৯শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে জানান চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন।
এদিকে কোরবানির ঠিক আগে নূর ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাজিম উদ্দিন এলাচসহ কয়েকটি পণ্যের ডিও বিক্রির পর পণ্য সরবরাহ না করে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। এরপর ধস নামে ডিও ব্যবসায়। আর্থিক জালিয়াতির পর প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে মসলা বেচাকেনা। ঈদের পর এরসঙ্গে যোগ হয় জুন ক্লোজিংয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পক্ষের দেনা-পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। এতে বড় দরপতন ঘটে পণ্যটির। দাম কমে যায় হাজার টাকার বেশি। কয়েক দফায় হাজার থেকে এক হাজার ৭০ পর্যন্ত টাকা কমে যায় দাম। তবে জুন ক্লোজিংয়ের পর ফের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন ডিও ব্যবসায়ীরা। তাদের তৎপরতায় চাহিদা না থাকার পরও পণ্যটির দাম বেড়ে যায় ৫-৬শ টাকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে চীনা নাগরিকের মোবাইল ছিনতাই, গ্রেফতার-৩

চট্টগ্রামে এক চীনা নাগরিকের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় ইপিজেড থানাধীন সিইপিজেড অঞ্চলের প্রবেশপথ সংলগ্ন রাজু কলোনি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি ছুরি ।

গ্রেফতার তিনজন হলেন, বরিশাল কোতোয়ালী থানার রুপাতলী এলাকার মোহাম্মদ হৃদয় (২৮), চাঁদপুর জেলার সদর থানার মইশাদী মজুমদার বাড়ির রাজু মজুমদার (৩২) ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের মো. ফেরদৌস (২৯)।

তিনজনই ইপিজেড থানা এলাকায় বসবাস করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান জানান, মামলা রুজুর পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভেঙে জায়গা দখল করার চেষ্ঠা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
টিনের বাউন্ডারি ভাংচুর চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান,তার স্বামী নেই। ছেলে সন্তানদের নিয়ে অতি কস্টে জায়গাতে বসবাস করে আসছেন। ঘটনার সময় তার বাড়ির সামনে টিনের বাউন্ডারি জোরপুর্বক ভাংচুর চালায়। তাদের জায়গা দখল করার চেষ্ঠা করে। ওই সময় তাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে এবং হুমকিও প্রদান করছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এলাকার বাসিন্দা, দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছেন। থানা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। প্রশাসনিকভাবে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে এম প্রত্যাশাও করেন তিনি।

এদিকে প্রতিপক্ষরা জানান, জায়গাটিতে তাদের অংশ রয়েছে। সামাজিকভাবে বিচারের মাধ্যমে যেটি হয় সেটি মেনে নিবেন তারা। লোহাগাড়া থানার এসআই গৌবিন্দ দাশ জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। দু’পক্ষের কাগজপত্র দেখে সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ