আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা-গাউছিয়া ফের হকারদের দখলে

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউছিয়া এলাকার ফুটপাত ফের হকারদের দখলে চলে গেছে। উচ্ছেদ করার পাঁচ মাস পর এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে কাপড়, কসমেটিকস, ফলমূল, মাছ, শাক-সবজি, চায়ের দোকান, চটপটি ও ফুচকার দোকানপাট বসিয়ে হকাররা সহ¯্রাধিক দোকনে পণ্য কেনা-বেচা করছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আরো জমজমাট হয়ে ওঠে কেনা-বেচা। স্থানে স্থানে রেন্ট-এ-কারের প্রাইভেটকারের স্ট্যান্ড থাকায় যানযট স্থায়ীভাবে রূপ নিচ্ছে। তাতে মহাসড়কের ভুলতা-গাউছিয়া এলাকায় যানযট লেগেই থাকে। এমন দৃশ্য প্রতিদিনের। গতকাল ১৫জুলাই সোমবার ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল হওয়ায় দুইপাশেই যাত্রী ও মালবাহী গাড়ির দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
গত ৩ফেব্রæয়ারি মহাসড়কের যানজট নিরসন করতে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেলের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মহাসড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সহ¯্রাধিক দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ ও প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে হকাররা আবারো মহাসড়ক দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির নিচে ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে ইজিবাইকের স্ট্যান্ড। একটু সামনেই গাউছিয়া মার্কেট-১ এর পাশে ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে কাপড়, কসমেটিকস, জুতা, আখের রসের দোকান, ডিমের দোকানপাট বসিয়ে হকাররা ব্যবসা করেছে। পাশেই গাউছিয়া মার্কেট-২ এর সামনে একই চিত্র দেখা গেছে।
গাউছিয়া কাঁচাবাজারের সামনে আরো ভিড়। সেখানেও পূর্বের মতোই ফুটপাতে টং বসিয়ে অর্ধশতাধিক ফলের দোকানে কেনা বেচা চলছে। সেই সঙ্গে গাউছিয়া কাঁচা বাজারের সামনে গড়ে তুলেছে গাউছিয়া-মাধবদীর লেগুনা ও মিনিবাসের স্ট্যান্ড। গোলাকান্দাইল গোলচত্ত¡রে ও ফ্লাইওভারের নিচে মহাসড়ক দখল করে গোলাকান্দাইল-কুড়িল বিশ্বরোড প্রাইভেটকার ও সিএনজির অবৈধ স্ট্যান্ড। গোলাকান্দাইল গোলচত্ত¡রের পূর্বপাশে মহাসড়কের উপর বাস স্ট্যান্ডের স্থান দখল করে গড়ে তুলেছে পিকআপ স্ট্যান্ড। সাওঘাট স্ট্যান্ডে মহাসড়ক দখল করে ইজিবাইক ও সিএনজি স্ট্যান্ড করা হয়েছে। সাওঘাট স্ট্যান্ড থেকে গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা পর্যন্ত ভ্যান গাড়ি দিয়ে মহাসড়ক দখল করেছে চালকরা। আল-রাফি হসপিটাল, ইদ্রিস আলী প্লাজা, ভাই ভাই শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাস স্ট্যান্ডের স্থান দখল করে প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ইজিবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে তারা।
পূর্বাচল গার্ডেন, মহোত্তম শপিং কমপ্লেক্স, নুরম্যানশন, আব্দুল হক সুপার মার্কেট ও তাঁতবাজারের সামনে মহাসড়ক দখল করে ৫শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে কেন-বেচা চলছে প্রতিনিয়ত। এসকল দোকানপাট থেকে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিদিন ২শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে।
এ ব্যাপারে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলী আশরাফ মোল্লা বলেন, পুলিশ মহাসড়ক দখলমুক্ত রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিনিয়তই অভিযান চলছে। অবৈধ দোকানপাট থেকে পুলিশ কোন রকম চাঁদা আদায় করে না।
রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে রূপগঞ্জ থানা পুলিশও মহাসড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়ক দখল মুক্ত রাখতে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়ার যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কের অবৈধ দখলদারদের শিগগিরই উচ্ছেদ করা হবে।
সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, মহাসড়ক দখলদাররা যে দলেরই হোক কিংবা যত শক্তিশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। যাত্রীদের চলাচলের জন্য মহাসড়ক দখলমুক্ত করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ