আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে

সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে নারী সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেলেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ক্রমাগতই হ্রাস পাচ্ছে। একটা সময় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে যে কোন নির্যাতন ঘটলে নারী অধিকার, মানবাধিকার সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হতো। কালের বিবর্তনে সেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আওয়াজ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী নানা মানবাধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বেসরকারী অনেক সংগঠন থাকলেও তারাও একাজে আগের মতো এগিয়ে আসছে না। যার কারনে নির্যাতিতরা কোন সরকারি-বেসরকারি আইনগত সহযোগিতা ও সামাজিক সমর্থন পাচ্ছে না। ফলে সহিংসতার শিকার নারীরা মানসিক স্বাস্থ্য, মর্যাদা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সর্বোপরি তাদের অধিকার নিয়ে শংকিত। অনেক ক্ষেত্রে তারা গুরুতর প্রজননস্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া সহিংসতার কারণে অনেক নারীর অকাল মৃত্যুবরণে বাধ্য হচ্ছেন। নারী ও অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর নিপীড়নের অন্যতম কারণ বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের কারণে বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যক কন্যাশিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।
তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চট্টগ্রামের কর্মরত বেসরকারী নারী অধিকার সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম নামে একটি সংগঠন তৈরীর ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের কারিতাস মিলনায়তনে চট্টগ্রামে কর্মরত নারী অধিকার সংগঠনগুলোর এক সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নারী নেত্রী, ইলমার প্রধান নির্বাহী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারুর সভাপতিত্বে সভায় আলোচনায় অংশনেন চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও অর্জন মহিলা উন্নযন সমিতির সভাপতি আবিদা আজাদ, বনফুেলর নির্বাহী পরিচালক রেজিয়া বেগম, সিএসডিএফ’র সমন্বয়কারী কামরুন নাহার শম্পা, নিকর মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি নূরুন নাহার, নীলাম্বর মহিলা উন্নয়ন সমতির সভানেত্রী রৌশন আরা, জাগ্রত নারীর সভানেত্রী আইনুন নাহার, সমতা মহিলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী মোমেনা আক্তার নয়ন, সৌরিতা জাগ্রত মহিলা সমিতির সভানেত্রী সষ্ণিতা বড়য়া, স্যুট এর নির্বাহী পরিচালক জেবুন্নেছা বেগম চৌধূরী, সাহাপুর সংস্থার প্রধান নির্বাহী ফরিদা ইয়াসমিন, এসডিএফ এর সভাপতি ফেরদৌসি বেগম মৌসূমী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন এবং সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা খুবই জরুরি। তাই নারী অধিকার সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহনের জন্য ভবিষ্যতে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম গঠন করে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ