আজঃ রবিবার ২২ জুন, ২০২৫

যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলাম, তখন আবার এই তান্ডব

অর্থনীতিকে পুরোপুরি পঙ্গু করতে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক তান্ডবলীলা চালানো হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ার পরেও তাদের সেই শাটডাউন কেন শেষ হচ্ছে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরি পঙ্গু করতে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক তান্ডবলীলা চালানো হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের সহিংসতার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণরূপে পঙ্গু করে দেয়া এবং দেশকে আবার ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করা। সেই জন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। তিনি আজ সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের দেখতে শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালে এই কথা বলেন।কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র জন্যই এত মানুষ হতাহত হলো। এইভাবে আর কেউ যেন কোন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, সেই দিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে করে দেব এবং করে দিচ্ছি। যাদের অঙ্গহানী হয়েছে, তাদের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধ্যমত আমরা করে দেব। অপরাধটা কি করেছি? এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ আর কেউ যেন এই দেশে চালাতে না পারে, সেই জন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত কয়েকজনের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।আহতদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মহাখালীতে অবস্থিত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। ঐসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।সরকার প্রধান একইসঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞও পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র ফল আজকের এই অবস্থা। জালিয়ে পুড়িয়ে সব একদিকে ছারখার। আর কত মানুষ প্রাণ হারাল, কতগুলো মানুষ পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ার পরেও তাদের সেই শাটডাউন কেন শেষ হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।তিনি বলেন, ২০০১ সালেও বিএনপি-জামায়াত এই রকম তান্ডবলীলা চালিয়েছিল। সেসময় আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। কত মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে, হাত-পা কেটে দিয়েছে, চোখ তুলে নিয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন ও নারীদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আবার ২০১৩, ‘১৪ ও ‘১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে । চারিদিকে আগুন লাগানো, গাড়ির মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা। আবার ২০২৩ সালে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা। নেতা-কর্মী মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা, বার বার পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা-এটা কোন ধরনের রাজনীতি আমি জানি না।তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, যেখানে আমি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি, মানুষের জীবন মান উন্নয়ন করেছি। ২০০৮ সালের আর আজকে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ এক নয়। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে সেবা দেয়, সেইগুলোর উপর বেশি তান্ডবলীলা চালানো হয়। আর কোন মায়ের কোল খালি হোক, তা আমি চাই না। আমিতো বাবা-মা সব হারিয়েছি। আমিতো জানি হারাবার কত কষ্ট।তিনি বলেন, সেই কষ্ট বুকে নিয়েই ’৭৫ এর পর রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে এক রকম জোর করেই ’৮১ সালে বাংলার মানুষের জন্য দেশে ফিরে আসি।নিজের ছোট ছোট সন্তানদের রেখে দেশে ফিরে আসার স্মৃতি রোমন্থন করে বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে জাতির পিতার কন্যা বলেন, আমি আমার সন্তানদের জন্য কতটুকুই বা করতে পেরেছি, নিজেরা চাকরি-বাকরি করে নিজেদের লেখাপড়া করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য করেছি। আজ অন্তত বাংলার মানুষের ভাত কাপড়, চিকিৎসা, কাজের ব্যবস্থা সবইতো করে দিচ্ছিলাম। যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলাম, তখন আবার এই তান্ডব করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে করিডোর ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্বাধুনিক কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলেন করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডের বৈঠক খানায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন।

সম্মেলন থেকে এনসিটিকে ডিপি ওয়ার্ল্ড নামক বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং রাখাইনে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এই সিদ্ধান্ত বাতিলে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বক্তারা। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২০ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত বন্দর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়, ৩০ জুন চট্টগ্রাম বন্দর গেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ।

সংবাদ সম্মেলনে এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এনসিটি ইজারার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকার সেই প্রত্যাশা উপেক্ষা করছে। তিনি গত ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “প্রতিহত” শব্দের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হুমকি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত অশনিসংকেত।

সভায় বক্তারা জানান, এনসিটি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ও কৌশলগত কনটেইনার টার্মিনাল, যা সম্পূর্ণভাবে বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং বর্তমানে শতভাগ বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। তারা বলেন, এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দিলে দেশের ৪৫% কনটেইনার পরিচালনার ক্ষমতা বিদেশিদের হাতে চলে যাবে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ।তারা আরো বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনাল ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ের হাতে ইজারা দেওয়ার পর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি, বরং টার্মিনালটির সক্ষমতার ১০-১২ শতাংশও ব্যবহার হচ্ছে না। এনসিটির ক্ষেত্রেও একই পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে বক্তারা করিডোর প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনে ‘মানবিক সাহায্য’র নামে করিডোর দেওয়ার গুঞ্জনে বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূরাজনৈতিক সংকটে জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে আরও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

বক্তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এনসিটি ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যকারিতা মূল্যায়ন, করিডোর পরিকল্পনা পরিহার, এবং কৌশলগত বিষয়ে শ্রমিক ও জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র সাবেক সাধারণ

সম্পাদক কাজী নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, চট্টগ্রাম স্কপের যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ উদ্দিন শাহিন, শ্রমিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলার নেতা মহিন উদ্দিন, বিএফটিইউসি’র চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ এবং বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক বাউ আহাম্মদ ভূঁইয়া প্রমুখ।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তপন দত্ত, এ এম নাজিম উদ্দিন ও কাজী নুরুল্লাহ বাহার।

ক্রমান্বয়ে স্বাভাভিক হচ্ছে বন্দরের কন্টেইনার জট।

চট্টগ্রাম বন্দরে একের পর এক কন্টেনাই জট ক্রমান্বয়ে স্বাভাভিক হচ্ছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বন্দরের কার্যক্রম চলতে থাকায় দু’দিনের মধ্যে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না বলে জানা গেছে। এর আগে ঈদুল আজহার টানা সরকারি ছুটিতে খালাস ঠিকমতো না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪৫ হাজার কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে।

তবে ছুটি শেষে জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং খালাস আগের নিয়মে ফিরে যাচ্ছে। বন্দরকেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরুর পর বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডেলিভারি এবং রফতানি কনটেইনার প্রবেশের হার বেড়েছে।

বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজারেরও বেশি আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে সর্বোচ্চ ক্রমান্বয়ে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে) কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমাণ থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত রোববার কর্মদিবস শুরুর প্রথম দিনেই পুরোদমে ডেলিভারি শুরু হয়েছে। আইসিডিগুলো থেকেও কনটেইনার আসছে। ডেলিভারি রেট বেড়েছে। সোমবারও পুরোদমে কার্যক্রম চলছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ছুটি শেষে খোলার প্রথমদিন রোববার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের অভ্যন্তরে আমদানি-রফতানি পণ্যবোঝাই ও খালিসহ মোট কনটেইনার ছিল ৪৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে)।

সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ২৪৩৬ টিইইউস কনটেইনার। জেটিতে ১০টি জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস চলছিল। জাহাজগুলোতে মোট ৪২০০ টিইইউস কনটেইনার আছে। এছাড়া জেটিতে প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষমাণ আছে আরও ১০টি জাহাজ, যাতে কনটেইনার আছে ১০ হাজার টিইইউস।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, সরকারি ছুটির শেষদিন অর্থাৎ গত শনিবার থেকেই বন্দরে কাজের গতি বেড়েছে। স্টেকহোল্ডাররা সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন, সবার কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত ৫ জুন থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়, যা ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০দিন ছিল। এত দীর্ঘ ছুটির কারণে বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাবের আশঙ্কা করে আসছিলেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। এ আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে সম্ভাব্য অচলাবস্থা মোকাবিলায় ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এ সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুমাত্র ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আগের মতোই ২৪ ঘণ্টা সচল আছে বন্দর।তবে ছুটিতে কলকারখানা বন্ধ থাকায় এবং বেসরকারি ডিপোগুলোতে শ্রমিক সংকটের কারণে কনটেইনার ডেলিভারির হার ‘অস্বাভাবিক’ কমে গিয়েছিল। এতে কনটেইনার খালাসের জন্য নোঙ্গর করা জাহাজকে জেটিতে অতিরিক্ত একদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছিল।

বন্দর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, সরকারি ছুটি শুরুর দিন গত ৫ জুন বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪ হাজার ১২২ টিইইউস। এদিন জাহাজে রফতানি কনটেইনার তোলা হয়েছিল ৯ হাজার ৭২০ টিইইউস আর আমদানি কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল ৫ হাজার ৪১১ টিইইউস।

কিন্তু ঈদুল আজহার আগের দিন ৬ জুন থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। এদিন মাত্র ৫২১ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। ঈদের দিন ৭ জুন বিকেল ৪টা থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হলেও বন্দর থেকে কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। তবে কনটেইনার জাহাজ থেকে ডেলিভারি হয় ৩০৮ টিইইউস।
ঈদের পরদিন ৮ জুনও কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। ৯ জুন ৪৩১ টিইইউস, ১০ জুন ১ হাজার ৩৮১ টিইইউস, ১১ জুন ১ হাজার ৭৮১ টিইইউস ডেলিভারি হয়।

ঈদের ছুটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের পরিমাণও কমে যায়। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন আমদানি কনটেইনার নামানো হয় ৫ হাজারের মতো। কিন্তু ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৪৪ টিইইউস এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার ৩১১ টিইইউস আমদানি
কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস হয়। টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটির শেষ দিন শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে জমে থাকা কনটেইনারের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৪১৬ টিইইউস। এর পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি বাদে আরও দুই হাজার কনটেইনার জমা হয়। এ হিসেবে বন্দরের ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় কনটেইনার জমে গেছে।

ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, আজ সোমবারও সারাদিন গতিতে ডেলিভারি হচ্ছে। তবে ৪৪ হাজারের বেশি কনটেইনার জমলেও বন্দরের কাজে তেমন প্রভাব পড়েনি। এখন যেভাবে কাজের গতি বেড়েছে, এই জটটাও আশা করছি আর থাকবে না।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ