আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্মাণাধীন কালুরঘাট-চাক্তাই সড়কে ব্যয় বেড়েছে ৫০৩ কোটি টাকার উপরে

চট্টগ্রামে পাল্টে যাচ্ছে বাকলিয়া-চান্দগাঁও-মোহরার দৃশ্যপট

নিজস্ব প্রতিবেদক

লাগানো হচ্ছে ১ হাজার ৮৪টি এলইডি সড়কবাতি * পর্যটকদের জন্য করা হচ্ছে নয়নাভিরাম

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কালুরঘাট-চাক্তাই সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৫০৩ কোটি টাকার উপরে। ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) বাস্তবায়ন করছে। এটি তাদের অগ্রাধিকার প্রকল্প। চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর প্রান্তের সাথে দক্ষিণ প্রান্তের সড়ক যোগাযোগ সহজতর করতে দ্বিতীয় আউটার রিং রোড হিসেবে পরিচিত এ প্রকল্পটি গ্রহণ করে চউক। কর্ণফুলী নদীর তীরে সাড়ে ৮ কিলোমিটারের এই সড়ক চালু হলে বাকলিয়া-চান্দগাঁও-মোহরা এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে কালুরঘাট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যাবে। সহজ হবে নগরের উত্তর প্রান্তের সঙ্গে দক্ষিণ প্রান্তের সড়ক যোগাযোগ। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচলের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে চউক। এতদিন সড়ক অবকাঠামোর অভাবে কর্ণফুলীর তীরবর্তী যেসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সড়কটি চালু হলে সেসব এলাকার জীবনমানের দ্রæত উন্নয়ন হবে। কর্ণফুলী নদীর তীরে তৈরিকৃত এই সড়কের ফলে কর্ণফুলীর তীরবর্তী এলাকাটি পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর স্পট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এদিকে ইতোমধ্যেই ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিনে নদী তীরে ঘুরতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত হচ্ছে সেখানে।
জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে চার কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বাস-বে, ফুটওভার ব্রিজ, যাত্রী ছাউনি, সড়ক রক্ষায় দুই পাশে রিটেইনিং ওয়াল ও ড্রেন। লাগানো হচ্ছে ১ হাজার ৮৪টি এলইডি সড়কবাতি। পর্যটকদের জন্য করা হচ্ছে নয়নাভিরাম। এ সড়ক ঘেঁষে চান্দগাঁও হামিদচরে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র মেরিটাইম বিশ^বিদ্যালয়। এছাড়া কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার দিকে একটি সংযোগও রাখা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহন এ আউটার রিং রোড হয়ে কালুরঘাট এলাকায় পৌঁছার সুযোগ পাবে। এ সড়কে যান চলাচল শুরু হলে চাপ কমবে মূল শহরে। সড়কটি শহর রক্ষাবাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। বিশেষ করে সমদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণাধীন সড়ক কাম শহররক্ষা বাঁধের সুফল ইতোমধ্যেই মিলেছে।
এ বিষয়ে চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরের কালুরঘাট-চাক্তাই সড়কটি শহররক্ষা বাঁধ হিসেবেও সুফল দেবে। এটি এখন নগরের নতুন বিনোদন কেন্দ্র। এখনো কাজ শেষ হয়নি বটে, তবুও নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নদী দেখতে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী ভীড় করছে। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মদ্যে কাজ শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী নদী থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত চাক্তাই, রাজাখালী, বলিরহাট, ইস্পাহানি খালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২২৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। তবে দুই দফা মেয়াদকাল বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সংশোধিত বরাদ্দে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কে করা হয়েছে কার্পেটিং। বাকলিয়ার বলিরহাট, কল্পলোক এলাকার রাজাখালী খাল ও এর দুটি শাখা খাল, ফয়েজ খাল, নোয়াখালী খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্পহাউস স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ১২টি খালের মুখের ¯øুইস গেট। ফলে গত বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমেনি। বিশেষ করে ১২টি খালের মুখে ¯øুইস গেইট নির্মাণের ফলে নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-বক্সিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার পানিবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে। সেইসাথে এসব এলাকার যানজটেরও অবসান হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচলের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।
এদিকে প্রকল্পের মাধ্যমে নগরের যানজট নিরসন, কর্ণফুলী তীরবর্তী এলাকার জীবনমান উন্নয়ন, পর্যটন, আবাসনসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ও চউক এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদকালের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে সড়কবাতি লাগানো, যাত্রী ছাউনি ও নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোয়ালখালীর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা পরিদর্শন।

বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ মডেল বিদ্যালয় ও শাকপুরা দারুচ্ছন্নাত কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ফারুক এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সালমা ইসলাম।

পরিদর্শনকালে একাডেমিক কার্যক্রম, চলমান বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ এবং সার্বিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সৃজনশীলতার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন । বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাস আর ও পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করে গড়ে তোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র সমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি, যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় সবার আন্তরিক সহযোগিতায় উন্নত, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বোয়ালখালী গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ